যত খাবেন কমবে ওজন এই ১০ টি খাবারে!

ওজন কমানোর জন্য বেশিরভাগ মানুষ চিন্তিত থাকেন। কী করলে ওজন কমবে, কীভাবে চললে একটু কম মোটা দেখাবে, কী কী না খেলে ওজন কমবে আরও কত কি! ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় অনেক কাজ করে থাকেন ওজন কমানোর জন্য। অনেক বিধি নিষেধ মেনে চলেন। কিন্তু এত কিছুর পরও ওজন কমে না।

অথচ অনেক নিয়ম-কানুন মেনে নিয়ে অনেক অভ্যেস ত্যাগও করে ফেলেছেন ইতোমধ্যে কিন্তু, মজার ব্যাপার কি জানেন, আপনি আপনার খাবার তালিকায় কিছু খাদ্য যোগ করে অনায়াসেই কমিয়ে নিতে পারেন ওজন। অবাক হলেও সত্য যে কিছু খাবার খেয়ে আপনি ওজন কমাতে পারেন সহজেই।

আসুন জেনে নেই কি সেই খাবার যা খেলে কমবে ওজন, সুন্দর থাকবেন আপনি –

১. ডিমের সাদা অংশ



ডিম খেলে ওজন বাড়ে কথাটি সম্পূর্ণ ভুল। তবে ওজন কমাতে চাইলে ডিমের কুসুম এড়িয়ে চলাই ভালো। সকালে একটি/ দুটি ডিমের সাদা অংশ খেলে তা অনেকটা সময় ধরে পেটে থাকে এবং কম ক্ষুধার উদ্রেক করে। এতে অন্যান্য খাওয়া কম হয়।

ডিম প্রোটিনের খুব ভালো একটি উৎস। এতে করে শরীরের জন্যও বেশ ভালো। ডায়েট যারা করেন তারা একটি ডিম রাখুন সকালের নাস্তায়। পুরো দিনটি শরীরে কাজ করার ক্ষমতা পাবেন। পাশাপাশি ওজন কমাতে পারবেন।
২. মুগ ডাল



মুগ ডালে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, বি, সি ও ই আছে। এছাড়াও রয়েছে ক্যালশিয়াম, আয়রন এবং পট্যাশিয়াম। প্রোটিন এবং ফাইবার রিচ খাবার হওয়ার দরুণ এক বাটি মুগ ডাল খেলে পেট অনেকক্ষণ ভর্তি থাকে। তবে পরিমাণ মেপে খাওয়াই ভালো।
৩. কাঠবাদাম



কাঠবাদাম স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো একটি খাদ্য। এতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ও মিনারেল আছে তা পুরো দিন শরীরে এনার্জি সরবরাহ করে। কাঠবাদামের ফাইবার ক্ষুধা কমায়। সকাল শুরু করুন একমুঠো কাঠবাদাম দিয়ে।

ডাক্তাররা শরীরের সুস্থতার পাশাপাশি দেহের চর্বি নিয়ন্ত্রণে কাঠবাদাম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে লবণাক্ত কাঠবাদাম এড়িয়ে চলুন।
৪. আখরোট



খিদে পেলে চার-পাঁচটা আখরোট খেয়ে নিন। পেট তো ভরবেই সেই সঙ্গে আপনার শরীর পাবে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। অন্যান্য ড্রাই ফ্রুটের তুলনায় আখরোটে কোলেস্টেরলের পরিমাণও কম। তবে খেয়াল রাখবেন আখরোটে অনেক বেশি পরিমাণে ক্যালোরি রয়েছে, ফলে আখরোট খেয়ে ওজন কমে বলে সারাদিন ধরেই আখরোট খেলেন, তাহলে হিতে বিপরীত হবে।

৫. আপেল



আপেল সম্পর্কে একটি প্রচলিত কথা হল ‘দিনে মাত্র একটি আপেল খেলে ডাক্তারের প্রয়োজন হয় না’। কিন্তু আপেল যে ওজন কমাতেও অনেক বেশি কার্যকরী একটি খাবার এটি অনেকেই জানেন না। একটি আপেলে ৪-৫ গ্রাম ফাইবার থাকে। তা ক্ষুধার উদ্রেক কমায়। এবং শরীরে জমে থাকা ফ্যাট কাটতে সাহায্য করে। যখন হুটহাট ক্ষুধা লাগে তখন অনেকেই অস্বাস্থ্যকর হাবিজাবি খাবার খান যা শরীরের জন্য ভালো না এবং ওজনও বাড়িয়ে তোলে। সুতরাং মুটিয়ে যাওয়া দূর করতে একটি আপেল রাখুন সাথে।

৬. ফুলকপি


অবাক লাগলেও সত্যিই ফুলকপি ওজন কমাতে সাহায্য করে। লো ক্যালোরি খাবার হওয়ার পাশাপাশি এতে ফাইবারও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। তাই পেট অনেকক্ষণ ভর্তি থাকে। তা ছাড়াও এতে ইন্ডোল, গ্লুকোসাইনোলেট এবং থায়োসাইনেট রয়েছে যা শরীর থেকে টক্সিন বের করতেও সাহায্য করে।

৭. দারুচিনি



মাঝে মাঝে আমরা কিছু খাবারে সামান্য চিনি দিয়ে থাকি খাবারটিকে হালকা মিষ্টি ও সুস্বাদু করার জন্য। পরবর্তীতে চিনির বদলে দারুচিনি গুঁড়ো দিয়ে দিন। খাবারে ভিন্ন স্বাদ যোগ করার পাশাপাশি এটা ওজন কমাতে সাহায্য করবে।

৮. রসুন





যেকোনো খাবারে রসুনের ছোঁয়া বদলে দেয় তার পুরো স্বাদ, কিন্তু এই রসুন ওজন কমাতেও একইভাবে সাহায্য করে। রসুনে মজুত অ্যালিসিন উচ্চ কোলেস্টেরল ও ইনসুলিন নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি ব্লাড শুগারও কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও অ্যাপেটাইট কনট্রোল করতেও রসুন উপযোগী। ফলে ওজন খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণে থাকে।



৯. আমন্ড



আমন্ডও ওজন কমাতে সাহায্য করে। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে জলে ২-৩টে আমন্ড ভিজিয়ে রাখবেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে ভিজিয়ে রাখা আমন্ড খেয়ে নেবেন। সারাদিনে খিদে পেলেও চিপসের পরিবর্তে চোখ বন্ধ করে আমন্ড বেছে নিতে পারেন। তবে ওই আখরোটের মতোই একসঙ্গে বেশি পরিমাণে খাবেন না তাতে ফল উল্টো হবে।
১০. টমেটো


টমেটো খেলে শরীরে কোলেসিসটোকিনিন নামে এক ধরনের হরমোন নিঃসৃত হয় যা স্টম্যাক এবং ইনটেস্টাইনের মধ্যে যে ভাল্ভ রয়েছে তা টাইট করে দেয়। ফলে পেট ভর্তি লাগে। তাই অনায়াসেই ওভারইটিং এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হয়। আর প্রয়োজনের অতিরিক্ত না খেলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনাও থাকে না।

১১. ক্যাপসিকাম



ক্যাপসিকামে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি। এই ভিটামিন সি খুব সহজে ও খুব দ্রুত ওজন কমাতে সহায়তা করে। লাল, হলুদ কিংবা সবুজ যে কোন ধরণের ক্যাপসিকাম খেতে পারেন রান্নায় ব্যবহার করে। সব থেলে ভালো উপায় হচ্ছে সালাদে ক্যাপসিকাম খাওয়া। ওজন কমতে বেশ সাহায্য করবে।
১২. অলিভ অয়েল



অলিভ অয়েলে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট রয়েছে, যা পেট ভর্তিভাব তৈরি করে। ফলে যখন তখন খিদে পাওয়া প্রবণতাও কমে যায়। এছাড়াও এতে পলিফেনল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা শরীরে মজুত ফ্রি র্যাডিরলস্ দূর করতে সাহায্য করে।

১৩. ওটস



ওটস আমরা সবাই চিনি। কিন্তু খেতে খুব বেশি সুস্বাদু নয় তাই অনেকেই এড়িয়ে চলি। সকালের নাস্তায় এক বাটি ওটস খেলে ওজন খুব দ্রুত কমে যায়। ওটস হচ্ছে ওজন কমানোর খুব ভালো একটি খাদ্য উপাদান। ওটসে রয়েছে প্রচুর ফাইবার।

ওজন সমস্যায় ভোগা সকল রোগীকে ডাক্তাররা ওটস খাবার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
১৪. লেবু-মধুর পানীয়



মধু ও লেবু আসলেই যে কার্যকরী, তা পরীক্ষিত এবং সারা বিশ্বে সমাদৃত ও স্বীকৃত। ওজন কমাতে দুটি প্রাকৃতিক উপাদান লেবু ও মধুর সম্পর্কে অনেকেই জানেন। ওজন কমানো ছাড়াও লেবু ও মধুর অনেক গুণাগুণ আছে। এটি শরীর থেকে টক্সিন বের করে। শরীরের ভেতরের নালীগুলোর সব ময়লা বের করে দেয়। মেটাবলিজম/হজম শক্তি বাড়ায়, ফলে ওজন কমে। ঠাণ্ডা লাগলে লেবু ও মধুর কফ বের করতে সাহায্য করে এবং ঠাণ্ডা লাগলে গলাব্যথা করলেও এটি উপকারী । এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

প্রাকৃতিক এনার্জি ড্রিংক আখের রস

সাধারণত আখের রসকে প্রাকৃতিক এনার্জি ড্রিংক বলা হয়। আখের রস খাওয়া শরীরের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী। কারণ এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা সংক্রমণের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে। এর থেকে মেলে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ এবং ফ্ল্যাভোনয়েড। যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

চিকিৎসকরা জন্ডিস আক্রান্ত রোগীদের আখের রস খাওয়ার কথা বলেন। কারণ, আখের রস লিভারে সংক্রমণ হওয়া রক্ষা করে এবং বিলিরুবিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।

গবেষণায় দেখা গেছে, আখের রস প্রকৃতিগতভাবে ডাইইউরেটিক। ফলে কিডনি ভাল রাখতেও এর জুড়ি নেই।

রূপচর্চাতেও আখের রসের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আখের রসের সঙ্গে মুলতানি মাটি মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে মুখে লাগালে এক সপ্তাহের মধ্যে ব্রণ উধাও। এছাড়া আখে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রনের মতো উচ্চমাত্রার খনিজ থাকার জন্য এর রস দাঁতের ক্ষয় রোধ করে ৷ তাই চকচকে দুধ সাদা দাঁত পেতে হলে প্রতিদিন এক গ্লাস আখের রস অবশ্যই মেনুতে রাখুন।

চিংড়ির সুস্বাদু মালাইকারি

কমবেশি সবারই পছন্দের মেন্যুতে চিংড়ির আলাদা চাহিদা আছে। চিংড়ির ফ্রাই, ভুনা, বড়া, দোপেঁয়াজো ছাড়াও চিংড়ির মালাইকারি অনেকে পছন্দ করেন। এবার নিউজবাংলাদেশের পাঠকের জন্য নিচে চিংড়ির মালাইকারি রান্নার রেসিপি দেয়া হলো-

উপকরণ
গলদা চিংড়ি ৫০০ গ্রাম, নারকেলের দুধ এক কাপ ( নারকেল কোরা ১/২ কাপ মতো গরম জলে ডুবিয়ে দুধ বের করে নেবেন ), কাঁচা মরিচ চেরা ৪-৫টি, গোটা গরম মশলা ৬-৭ টি (ছোট এলাচ, দারচিনি, লবঙ্গ থেঁতো করা), কাজু বাদাম ১/২কাপ ( সামান্য গরম পানিতে ১৫ মিনিট ভিজিয়ে মসৃণ করে বাটা), লবণ পরিমাণ মত, চিনি ১/২ চামচ, তেল ৩ চামচ, ঘি ২ চামচ, ক্রিম ১/২ কাপ, পেঁয়াজ বাটা ২টি বড়, আদা ও রসুন (৫টি কোয়া) বাটা ১ চামচ।

যেভাবে রান্না করতে হবে

প্রথমে চিংড়ি মাছগুলির খোসা ছাড়িয়ে ভালো করে ধুয়ে নুন হলুদ মাখিয়ে নিন। কড়াইতে সামান্য তেল দিয়ে গরম করে মাছগুলোকে ছেড়ে দিন। মাছগুলো সামান্য ভাজা হয়ে গেলে নামিয়ে নিন। এবার কড়াইয়ের মধ্যে ওই তেলেই গোটা গরমমশলা ফোড়ন দিন।

মসলার ঘ্রাণ বের হলে পেঁয়াজ বাটা ভাজতে থাকুন। লাল করে ভাজা হয়ে এলে আদা, রসুন বাটা দিয়ে কষিয়ে নিন। এবার মশলা কষানো হয়ে এলে কাজুবাদাম বাটা দিয়ে সামান্য নাড়াচাড়া করুন। নারকেলের দুধ কড়াইয়ের মধ্যে ঢেলে দিন।

এবার ভাজা চিংড়ি মাছগুলিকে এর মধ্যে ঢেলে দিয়ে সামান্য চিনি দিতে হবে। কাঁচা মরিচ চেরাগুলিকে এর মধ্যে দিয়ে হাল্কা আঁচে ১০ মিনিট ভালো করে ফুটতে দিন।

একটু ঘন হয়ে এলে ক্রিম ও ঘি দিয়ে নামিয়ে নিন। ব্যাস তৈরি হয়ে গেলো চিংড়ির মালাকারি

সহজে তৈরি করুন সুজির লাড্ডু

কোনো অনুষ্ঠান হলেই লাড্ডু খাওয়া হয়। মিলাদ কিংবা বিয়েতে লাড্ডুর প্রচলন আছে। সেগুলো সাধারণত বেসন দিয়ে ভেজে চিনির সংমিশ্রণে তৈরি করা হয়। কিন্তু সেগুলো অনেক ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসম্মত হয় না। তাই আমরা আজ আপনাদের শেখাবো কীভাবে সুজি দিয়ে মজাদার লাড্ডু তৈরি করা যায়। আর এটা বানানো খুবই সহজ। দেখে নিন সুজির লাড্ডু তৈরি নিয়ম।

উপকরণ:

সুজি ১ কাপ, চিনি স্বাদ মতো, ঘি দুই টেবিল চামচ, এলাচি ও দারুচিনি গুঁড়া আধা চা চামচ, কাজু বাদাম ও কিশমিশ আধা কাপ এবং দুধ প্রয়োজন অনুযায়ী।

পদ্ধতি:

• একটি ফ্রাইপ্যানে সামান্য ঘি দিয়ে সুজি ভেজে নিন।
• সুজি হালকা বাদামি হয়ে আসলে নামিয়ে ফেলুন এবং ঠাণ্ডা হলে ব্লেন্ডারে গুঁড়া করে নিন।
• চিনি ব্লেন্ডারে গুঁড়া করে নিন।

প্রস্তুত প্রণালি:

প্রথমে একটি গরম প্যানে ১ চা চামচ ঘি দিয়ে কাজু বাদাম এবং কিশমিশ ভেজে নিন। নামিয়ে ফেলুন। একই প্যানে সুজি, চিনি গুঁড়া, এলাচি ও দারচিনি গুঁড়া দিয়ে অল্প আঁচে নাড়তে থাকুন। এবার মিশ্রণটি চুলার থেকে নামিয়ে ১ চা চামচ ঘি দিয়ে মাখিয়ে নিন। গরম গরম থাকা অবস্থায় বাদাম ও কিশমিশ এবং সামান্য দুধ দিয়ে মণ্ড তৈরি করুন। এরপর গোল গোল করে লাড্ডু বানিয়ে ফেলুন।

খুব সহজেই অল্প সময়ে তৈরি হয়ে গেলো ঘরের তৈরি মজাদার সুজির লাড্ডু। ঠাণ্ডা হলে পরিবেশন করুন এবং পরিবারের সবাইকে নিয়ে উপভোগ করুন।

রসগোল্লা পায়েস

শীতকাল পায়েসের কাল। খেজুর গুড়ের পায়েস বাংলার ঐতিহ্য। ভোজন রসিকেরা এই শীতে খেতে পারেন নলেন রসগোল্লা পায়েস।

উপকরণ: দুধ এক লিটার, পাটালি গুড় ৫০০ গ্রাম, চালের গুঁড়ো দুই টেবিল চামচ, রসগোল্লা ১২-১৪টা।

প্রণালী: দুধ ঘন করে নিন। চালের গুঁড়ো দিয়ে ফুটিয়ে নিন। এবার পাটালি গুড় ভেঙে দুধে দিয়ে ফুটিয়ে নিন। নামিয়ে ঠাণ্ডা করে নিন। ইচ্ছেমতো পেস্তা, বাদাম ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।

বাড়তি ওজন কমানোর ৫ উপায়

অতিরিক্ত মোটা হওয়া মারাত্মক শারিরীক ঝুঁকি। এটি ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপসহ নানা জটিল রোগ সৃষ্টি করে। তাই, বিপদ এড়াতে বাড়তি ওজন কমানো জরুরি। ব্যায়াম ছাড়াও ৫টি সহজ পদ্ধতি মেনে চললে বাড়তি ওজন কমাতে সমর্থ হবেন, মেদও হ্রাস পাবে।

পরিকল্পিত খাবার তালিকা: অতিরিক্ত চর্বিসমৃদ্ধ খাবার যতটা সম্ভব বর্জন করুন। অতিরিক্ত ভাজাপোড়ার পরিবর্তে সেঁকা, বাষ্পীয় ও গ্রিল জাতীয় খাবার খান। মাংস থেকে চামড়া ও চর্বি দূর করে রান্না করুন। এর ফলে প্রচুর পুষ্টি পাবেন, হার্ট সুস্থ থাকবে। বাড়তি ওজনের ঝুঁকিও কমবে। খাবার তালিকায় নানা স্বাদের শাকসবজি, ফলমূল, মটর বা শিমের বীচি এবং বাদাম রাখুন। ফ্র্যান্স ফ্রাই-এর বদলে আলুভাজা খান। `মেয়নেজ` এর পরিবর্তে মধু ও লেবু সমৃদ্ধ খাবার এবং মাখনসমৃদ্ধ নান-এর বদলে খাদ্যতালিকায় রুটি রাখুন।

সঠিক খাবার নির্বাচন: ক্ষুধা লাগলেই আপনি হয়তো হাতের কাছে কিংবা ফ্রিজে যা-ই পান তা-ই খান। এ অভ্যাস বর্জন করুন। বরং ফলমূল, রান্না করা সবজী, স্যান্ডউইচ জাতীয় রেডিমেট খাবার ফ্রিজে বা হাতের কাছে রাখুন।

খাবারের সময় মেনে চলা: খাবারের সময় হলেই খেতে হবে, উপোস থাকা কিংবা অনিয়ম করা যাবে না। কেননা, সময়মতো খাবার গ্রহণ না করলে আপনার শরীর নিয়মিত পুষ্টি পাবে না, বিপাক ক্রিয়া কমে যাবে। এর ফলে, বাড়তি ওজনের ঝুঁকি থাকবে।

আপনি যখন আবেগজনিত অবস্থায় থাকবেন সেসময়ের বদলে শিথিলসময়ে খাবার গ্রহণ করুন, পরিপাক উত্তম হবে, ঝুঁকি কমবে।

একাগ্রচিত্তে খাবার গ্রহণ: টিভি দেখা, কম্পিউটার চালানো, কাজে ব্যস্ততা কিংবা বিশৃঙ্খল মানসিক অবস্থায় খাবার বর্জন করুণ। টেবিলে বসে ধীর-সুস্থ-একাগ্রচিত্তে খাবার গ্রহণ করুন।

মন নিয়ন্ত্রণ: রসনা বিলাস এড়িয়ে চলুন, নিয়মিত ব্যায়াম করুন। শুধুমাত্র ক্ষুধা পেলেই খাবার গ্রহণ করুন। অন্যথা হলে ঝুঁকিতে থাকবেন আপনি।

কেএফসি এর গোপন ফ্রাইড চিকেন রেসিপি


উপকরণ - হাড় চামড়া সহ চিকেন – ১ কেজি, টেস্টিং সল্ট – ১ চা চামচ, বেকিং সোডা – ১ চা চামচ, ওয়েস্টার সস – ১ চা চামচ, কাল গোল মরিচ গুঁড়া – ১ চা চামচ, চিলি সস – ২ টেবিল চামচ, কর্ণ ফ্লাওয়ার – ২ টেবিল চামচ, লবন – ১/৪ চা চামচ, চিকেন বড় বড় টুকরো করে সব উপকরণ দিয়ে মেরিনেট করে রাখুন ১০-১২ ঘন্টা । ব্যাটার, পেপ্রিকা অথবা লাল গুঁড়া মরিচ – ১ চাচামচ, সাদা গোল মরিচ গুঁড়া – ১ চা চামচ, চিলি সস – ১ টেবিল চামচ, যেকোনো আটা – ১/২ কাপ, কর্ণ ফ্লাওয়ার – ২ টেবিল চামচ, বেকিং পাউডার – ১ চা চামচ, লবন স্বাদ অনুযায়ী, টেস্টিং সল্ট – ১ চা চামচ, অল্প পরিমান পানি, ( সব উপকরণ একসাথে মিশান এবং পরিমাণ মতো পানি দিয়ে ঘন ব্যাটার তৈরি করুন । ), কোটিং, কর্ণফ্লেক্স – ১ কাপ, চিপস – ১ কাপ, ব্রেডক্রাম্ব – ১ কাপ, ( সব এক সাথে মিশিয়ে গুঁড়া করে নিন । বেশি গুঁড়া করবেন না ।), তেল ভাজার জন্য

প্রনালি– মেরিনেট করা চিকেন ১০ মিনিট স্ট্রিম করে নিন।– কোটিং একটি প্লাস্টিকের প্যাকেটে নিন ।– এবার চিকেন ব্যাটার এর মধ্যে ভাল করে ডুবিয়ে নিন ।– ব্যাটার এ ভাল করে মিশানোর পর কোটিং এর প্যাকেটে চিকেনগুলো দিয়ে ভাল করে ঝাকান ।– এবার ভাল ভাবে ডুবো তেলে অর্ধেক ভেজে নিন ।– অল্প বাদামি কালার হয়ে হয়ে আসলে নামিয়ে টিস্যুর উপর রাখুন ।– মোটা কটিং এর জন্য আবার ও ব্যাটার এর মধ্যে ভাল করে ডুবিয়ে নিন পরে কটিং এর প্যাকেট মধ্যে দিয়ে ঝাকিয়ে নিন ।– এবার ডুবো তেলে মচমচে বাদামি কালার করে ভেজে তুলুন ।ফ্রেঞ্চ ফ্রাই এর সাথে চিলি সস দিয়ে পরিবেশন করুন দারুন মজাদার KFC চিকেন ফ্রাই ।

ফিরনী ঘন করার উপায়


উপকরন: দুধ ১+১/২ কেজি (দেড় কেজি), পোলাও চাল ১/২ কাপ (আধা কাপ), গুড়া দুধ ১ কাপ, চিনি স্বাদমতো , এলাচ ৪/৫ টা, কেওড়া জল ১ টেবিল চামচ, বাদাম ( কাঠ বাদাম,পেস্তা বাদাম, কাজু বাদাম আপনার ইচ্ছা), কিশমিশ, ঘি ১ টেবিল চামচ

রান্নার পদ্ধতি : রান্নার আগে চাল ধুয়ে পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে ২/৩ ঘন্টা। এবারে চালের পানি ফেলে দিয়ে চাল হাতে আধা ভাঙা করে নিতে হবে। এখন পাতিলে দুধ দিয়ে সাথে এলাচ ও আধা ভাঙা চাল দিয়ে অনবরত নাড়তে থাকুন যেন পাতিলের নিচে চাল লেগে না যায়।(চুলার আচঁ বাড়ানোই থাকবে) এবারে চালটা যখন ৮০% সিদ্ধ হয়ে গেলে চুলার আচঁ কমিয়ে দিয়ে এলাচ গুলো উঠিয়ে ফেলে দিন।

এবারে গুড়া দুধ দিয়ে আস্তে আস্তে নাড়তে থাকবেন (ফিরনী অনবরত নাড়তে হবে না হলে নিচে পোড়া লেগে যাবে)চাল পুরো সিদ্ধ হয়ে গেলে দুধ পুরো ঘন হবার একটু আগে চিনি ও কেওড়া জল দিয়ে ভালভাবে মিশাতে হবে এবং নাড়তে থাকবেন।

এবারে নাড়তে নাড়তে ফিরনী ঘন হয়ে আসলে মিষ্টি দেখে নামিয়ে পরিবেশন পাত্রে ডেলে নিন।(খেয়াল রাখবেন যেন বেশী ঘন না হয়ে যায়, বেশী ঘন হলে ফিরনী শক্ত হয়ে জমে যাবে) এবারে আলাদা প্যান এ ঘি দিয়ে বাদাম ও কিশমিশ ভেজে ফিরনীর উপরে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

মটর পনির রেসিপি

উপকরণ: মটরশুঁটি, টমেটো পিউরি, পনির, তেল বা মাখন, পেঁয়াজ কুচি, আদা রসুন, গরম মসলা, ধনে গুঁড়া, মরিচ গুড়ো ও লবণ।
পরিমাণঃ মটরশুঁটি ৫০০ গ্রাম, টমেটো পিউরি ২০০ গ্রাম, পনির ২০০ গ্রাম, তেল/মাখন ২ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ, আদা রসুন বাটা ১ চা-চামচ, গরম মসলা গুঁড়া ২ চা-চামচ, ধনে গুঁড়া ১ চা চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ

প্রণালি: সসপ্যানে তেল বা মাখন গরম করুন। তাতে পেঁয়াজ ভাজুন। বাদামি রঙ ধরা শুরু হলে আদা রসুন বাটা দিয়ে ভাজুন। ৫ মিনিট পর সব মসলা দিয়ে কষান। কষানো হলে টমেটো পিউরি দিন। এবার সেদ্ধ মটরশুঁটি দিয়ে রান্না করতে থাকুন। পানি শুকিয়ে তেল উঠে এলে পনির ছোট ছোট টুকরা করে এই কারিতে দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। গরম পরিবেশন করুন।

ত্বক উজ্জ্বল করার কিছু উপায়

১। ত্বকের জন্য সবচেয়ে উপকারি হল দুধ। দুধের সঙ্গে টম্যাটো পিউরি মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে লাগাতে পারেন ত্বকে। এই মাস্কটি সারারাত লাগিয়ে সকালে ধুয়ে ফেলতে হবে। অবশ্যই ঠান্ডা জলে।

২। ব্ল্যাকহেডস-এর সমস্যে থেকে মুক্তি পেতে ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে নিন। ত্বকের যে অংশে ব্ল্যাক হেডস-এর বাড়বাড়ন্ত সেই সমস্ত জায়গাতে লাগিয়ে রাখুন। 30 মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন।

৩। ত্বকের উজ্জ্বলতা brightness skin বাড়ানোর জন্য দু-চামচ টক দইয়ের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে পেস্ট বানান। পেস্টটি মাস্কের মতো করে লাগিয়ে ৩০ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের উজ্জ্বলতা brightness skin বেড়ে যাবে।

৪। স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বকের জন্য হলুদের থেকে ভাল কিছু হতেই পারে না। বিশুদ্ধ গুঁড়ো হলুদের সঙ্গে নারকেল তেলের মিশ্রণে পেস্ট বানিয়ে তা মুখে এবং গলায় মাখিয়ে রাখুন। ৩০-৪০ মিনিট পরে হালকা গরম জলে তা ধুয়ে ফেলুন। এই প্রক্রিয়াটি সপ্তাহে ২-৩বার করুন।

৫। তৈলাক্ত ত্বক অনেক সময়ে কাঙ্ক্ষিত উজ্জ্বলতা brightness বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়। উপরন্তু অতিরিক্ত তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা থাকে। এই ধরণের ত্বক থেকে মুক্তি পেতে হলুদের সঙ্গে অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে প্রয়োগ করুন। অচিরেই ফল পাবেন।

৬। তারুণ্য ধরে রাখতে চাইলে অব্যর্থ হল কফি বা কোকো পাউডার। এই পাউডারের সঙ্গে মধু মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখে, গলায় মাসাজ করুন। মনে রাখবেন এই পেস্টটি সব সময়েই সাধারণ তাপমাত্রার জলে ধোবেন। কখনোই ঠান্ডা বা গরম জল ব্যবহার করবেন না।

৭। ব্রণের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে খুবই উপকারী হল দারচিনি। মধুর সঙ্গে দারচিনির গুঁড়ো দিয়ে পেস্ট বানিয়ে মুখের ক্ষতিগ্রস্থ অংশের উপরে প্রলেপ লাগান। ঘণ্টা দুই এই প্রলেপ রাখার পরে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ভাল ফল পেতে একদিন অন্তর করে প্রয়োগ করুন এই টোটকা।

চুল পড়া নিয়ন্ত্রনে আনতে ৫ টি খাবার

১. বাদাম এবং বীজ

পেস্তা বাদাম, ফ্লাক্স সীড (শ্বেত বীজ), মেথি বীজ, আখরোট, তিল প্রভৃতিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা অ্যাসিড। যাতে রয়েছে এমন স্থিতিস্থাপক উপাদান যা চুলের ভেঙ্গে যাওয়া প্রতিরোধ করে।
২০১৫ সালে জার্নাল অফ কসমেটিক ডারমাটোলজিতে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যাদেরকে নিয়মিতভাবে ওমেগা-৩ এবং ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ানো হয়েছে তাদের চুলপড়া ৯০% কমেছে। এছাড়া ৯০% রোগীরই মাথায় ফের শক্ত চুল গজিয়েছে। মেথি বীজ খুশকি দূর করতে এবং স্বাস্থ্যকর চুল গজানোতে সহায়ক।

২. ডাল

নানা ধরনের ডালবীজে থাকা ফলিক অ্যাসিড রক্তে লাল কোষ বৃদ্ধিতে সহায়ক। আর রক্তের লাল কোষ আমাদের মাথার ত্বক সজীব রাখে এবং চুলের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সরবরাহ করে।

৩.স্পিনাক

এই সবুজ এবং পাতাবহুল সবজিটি চুলের জন্য খুবই ভালো। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি এবং আয়রন। চুল পড়ার অন্যতম একটি কারণ আয়রণের ঘাটতি। স্পিনাকে সেবাম, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালিসিয়াম এবং পটাশিয়ামও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। যা চুলকে উজ্বল এবং শক্ত রাখতে সহায়ক।

৪. ডিম

ডিমে রয়েছে প্রচুর বায়োটিন এবং ভিটামিন ডি। এছাড়াও রয়েছে প্রচুর পরিমাণ জিঙ্ক। চুলপড়া সংশ্লিষ্ট বেশিরভাগ গবেষণায়ই দেখা গেছে চুল পড়ার অন্যতম কারণগুলোর একটি জিঙ্কের ঘাটতি।

৫. চর্বিবহুল মাছ

স্যামন, টুনা, ম্যাকারেল জাতীয় মাছে থাকে প্রচুর পরিমাণ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। মাথার ত্বকের কোনো ধরনের প্রদাহ হলে তা প্রতিরোধ করে চুল পড়া কমায় এই পুষ্টি উপাদান। আর তাছাড়া মাছে রয়েছে ভিটামিন বি-৬ এবং প্রোটিন ও ম্যাগনেশিয়াম। এই পুষ্টি উপাদানগুলোও চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
পেঁয়াজের রস মাথায় নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে। মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং জীবাণুমুক্ত রাখতে সাহায্য করে।

ব্যবহার পদ্ধতি

১টি বড় পেঁয়াজ ভালো করে পিষে ছাকনি দিয়ে ছেকে রস বের করে নিতে হবে। তারপর এই রস পুরো মাথার ত্বক ও চুলে লাগিয়ে একঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে।
পেঁয়াজের গন্ধ বেশ তীব্র, যদি সহ্য না হয় তবে পেঁয়াজের রসের সঙ্গে গোলাপ জল মেশানো যেতে পারে। একঘণ্টা পর মাথা শ্যাম্পু দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
চুল পড়ার পরিমাণের উপর নির্ভর করে প্যাকটি সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করা যাবে।
মেহেদী, ডিমের সাদা অংশ ও টকদই :
মেহেদীর নির্যাস চুলের জন্য অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর, ডিম মাথার ত্বকে সঠিক পুষ্টি যোগাতে সহায়তা করে এবং চুলের ফলিকল মজবুত করে। টকদই চুল ও মাথার ত্বক ময়েসচারাইজ করে চুল পড়া Hair fall বন্ধে সহায়তা করে।
– মেহেদী পাতা বাটা বা গুঁড়ো চুলের ঘনত্ব ও লম্বা অনুযায়ী নিন, এতে মেশাম ১ টি ডিমের সাদা অংশ এবং ২-৩ টেবিল চামচ টকদই।
– যদি চুল অনেক শুষ্ক হয় তাহলে ভিটামিন ই ক্যাপস্যুল দিয়ে ভালো করে হেয়ার প্যাক তৈরি করে নিন।
– এই প্যাকটি চুলের গোঁড়া থেকে আগা পর্যন্ত ভালো করে লাগিয়ে নিন এবং প্রায় ২ ঘণ্টা এভাবেই রেখে দিন।
– এরপর সাধারণ ভাবে চুল ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। যদি প্রথম দিন চুল পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে ১ দিন এভাবেই রেখে তার পরের দিন শ্যাম্পু করতে পারেন তাহলে সব চাইতে ভালো ফলাফল পাবেন।
– এই পদ্ধতিটি সপ্তাহে মাত্র ১ বার ব্যবহার করলেই চুল পড়া অনেকাংশে কমে যাবে।

মেঘের মতো ডিম পোচ

সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে ডিমের একটি খাবার খুবই জনপ্রিয় হয়েছে। ‘ক্লাউড এগ’ (মেঘসদৃশ্য ডিম) নামক ডিমের এই পোচ ইনস্টাগ্রামে নতুন ট্রেন্ড হিসেবে সাড়া ফেলেছে।

ক্লাউড এগ দেখতে যেমন আকর্ষণীয়, খেতেও সুস্বাদু। অনেকেই ক্লাউড এগ-এর ছবি হ্যাশট্যাগে শেয়ার করেছেন ইনস্টাগ্রামে।

ইউটিউবে বাড়ছে এর রেসিপির ভিউয়ার। খুবই সহজ মেঘসদৃশ্য এই ডিম পোচ বানানো। যখন তখন বানিয়ে নিজে তো খেতে পারেনই, মেহমানদারিতে পরিবেশন করেও প্রশংসায় ভাসতে পারেন। আর খাওয়ার আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি শেয়ার করতে ভুলবেন না যেন; লাইকের অভাব হবে না।

চলুন জেনে নেওয়া যাক এর রেসিপি। উপকরণ হিসেবে লাগবে- ১টি ডিম, শক্ত ঝুরা পনির, এক চিমটি লবণ।

প্রথম একটি বাটিতে ডিমের সাদা অংশ থেকে কুসুম আলাদা করে অন্য একটি বাটিতে রাখুন। এবার ডিমের সাদা অংশ মিক্সারে মিক্স করতে থাকুন। ভালোমতো মিক্স হয়ে গেলে এর মধ্যে শক্ত ঝুরা পনির ও লবণ দিয়ে ভালোমতো নাড়ুন যতক্ষণ না সাদা হালুয়ার মতো দেখায়।

একটি ট্রেতে বেকিং পেপার বিছিয়ে তার মধ্যে সাদা হালুয়া কিছুটা ছড়িয়ে দিয়ে মাঝখানে গর্তের মতো করুন। এটিকে ওভেনে ৪৫০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ৪-৫ মিনিট রাখুন। এরপর বের করে এনে তার মধ্যে ডিমের কুসুম ছেড়ে দিন। এবার ওভেনে ২ মিনিট রাখলেই হয়ে যাবে ক্লাউড এগ।

প্রাণহীন চুল ও ত্বক! দারুন কার্যকরী কিছু ফলের মাস্ক

শীতের সময় রাতে বিশেষ যত্ন নেওয়া জরুরি। কারণ রাতে দীর্ঘ সময় ত্বক বিশ্রাম পায়, ফলে যে কোনো প্রসাধনী এবং ময়েশ্চারাইজার ত্বক শুষে নিতে পারে।এছাড়াও এ মৌসুমে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা জরুরি। এতে ত্বক ভিতর থেকে আর্দ্র থাকে।
ত্বকের পাশাপাশি চুলেরও বিশেষ যত্ন প্রয়োজন।
রাতে ঘুমানোর আগে চুলের গোড়ায় এবং পুরো চুলে নারিকেল অথবা জলপাই তেল হালকা গরম করে মালিশ করতে হবে। এতে মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে। সারা রাত তেল রেখে সকালে শ্যাম্পু করে ফেললেই চুল কোমল ও ঝলমলে থাকবে।
শীতে মাথায় খুশকির পরিমাণও বেড়ে যায়। তাই এ সমস্যা দূর করতে তেলের সঙ্গে আমলকীর ও লেবুর রস মিশিয়ে মাথায় মালিশ করলে উপকার পাওয়া যাবে।
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের পাশাপাশি শীতে ত্বকের বাড়তি যত্নের জন্য কিছু মাস্কও ব্যবহার তরা উচিত। এক্ষেত্রে সব থেকে উপকারী ফলের মাস্ক। ফল ত্বকে আর্দ্রতা বজায় রেখে ত্বক উজ্জ্বল করে তুলতে সাহায্য করে।
এই মৌসুমে ত্বকের জন্য উপকারী ফলের মাস্ক তৈরির পদ্ধতি –

আপেলের মাস্ক

রয়েছে প্রচুর ভিটামিন এবং এর অ্যাসট্রিনজেন্ট যা ত্বক আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। একটি আপেল ভাপে সিদ্ধ করে নিতে হবে। এরপর সিদ্ধ আপেলটির খোসা ছারিয়ে চটকে নিয়ে এর সঙ্গে এক চামচ মধু মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। ত্বকে মিশ্রণটি লাগিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলতে হবে। এ মাস্ক ত্বক নরম ও কোমল রাখতে সাহায্য করবে।

বেদানার তৈরি মাস্ক

শীতে বডি স্ক্রাব তৈরিতে বেদানা বেশ উপযোগী। বেদানা ছাড়িয়ে ছেঁচে নিতে হবে। এর সঙ্গে দুই টেবিল-চামচ কাঠবাদামের গুঁড়া এবং খানিকটা গুঁড়াদুধ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে সেটা ভেজা শরীরে হাত ঘুরিয়ে মালিশ করতে হবে। কয়েক মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

অ্যাভাকাডো

রয়েছে ভিটামিন এ, ই ও ডি। আছে বিভিন্ন খনিজ উপাদান এবং পটাশিয়াম। তাই ত্বকের রুক্ষতা দূর করতে এবং ক্ষতিগ্রস্ত ত্বক সুস্থ করতে এই ফল দারুণ উপকারী।ব্লেন্ডারে খানিকটা অ্যাভাকাডো দিয়ে এর সঙ্গে বিশুদ্ধ ক্রিম এবং মধু মিশিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করতে হবে। মাস্কটি ত্বকে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই মাস্ক ত্বকের আর্দ্রতা ফিরিয়ে ত্বক কোমল রাখতে সাহায্য করবে।

স্ট্রবেরি

স্ট্রবেরি থেঁতে নিয়ে দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। স্ট্রবেরি ত্বক উজ্জ্বল করার পাশাপাশি ভালো স্ক্রাব হিসেবে কাজ করে, যা ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে সাহায্য করে।

কমলা

শীতে নিয়মিত কমলা খেলে তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। পাশাপাশি ত্বকের জন্যেও কমলা বেশ উপযোগী। টাটকা কমলার খোসা ত্বকে ঘষে নেওয়া যেতে পারে। অথবা খোসা শুকিয়ে গুঁড়া করে সংরক্ষণ করলে দীর্ঘদিন ব্যবহার করা যায়। গুঁড়া করা খোসা দুধ ও মধুর সঙ্গে মিশিয়ে মাস্ক ও স্ক্রাব তৈরি করা যায়।

পেঁপে

সুস্থ রাখতে পেঁপের জনপ্রিয়তা নতুন করে বলার কিছু নেই। এছাড়াও ব্রণের সমস্যা সারিয়ে তুলতে এবং ত্বকের রংয়ের অসামঞ্জস্যতা দূর করতে বেশ উপকারী এই ফল।
এই মাস্ক তৈরি করতে প্রয়োজন হবে চটকে নেওয়া পাকাপেঁপে দুই চা-চামচ, এক চা-চামচ গ্লিসারিন এবং এক চা-চামচ গুঁড়া দুধ। উপদানগুলো ভালোভাবে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে সেটা মুখে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ অপেক্ষা করতে হবে। হালকা শুকিয়ে গেলে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিতে হবে।

কলা

ত্বকে আর্দ্রতা জুগিয়ে টানটান রাখতে সাহায্য করে কলা। তাছাড়া ত্বক পরিষ্কার রাখতেও সাহায্য করে এই ফল।
একটি কলা ভালোভাবে চটকে নিয়ে এর সঙ্গে খানিকটা মধু এবং গুঁড়া করা ওটস মিশিয়ে নিতে হবে। ১৫ মিনিট পর অল্প দুধ দিয়ে মুখ ভিজিয়ে নিয়ে আলতোভাবে ঘষে পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।
যে কোনো মাস্ক ব্যবহারের পর তা ধুয়ে ত্বক হালকা ভেজা থাকতেই ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিতে হবে। নতুবা ত্বক শুষ্ক হয়ে যাবে।

পনিরের পায়েস বানাবেন যেভাবে

অতিথির সামনে পরিবেশনের জন্য ঝটপট কী রান্না করা যায় ভাবছেন? মজাদার পনিরের পায়েশ বানিয়ে ফেলতে পারেন। সুস্বাদু আইটেমটি যেমন কম সময়ে তৈরি করা যায়, তেমনি স্বাদেও এটি যোগ করে ভিন্ন মাত্রা। জেনে নিন কীভাবে পনিরের পায়েস রান্না করবেন।

উপকরণ
ঝুরঝুরে পনির- আধা কাপ
কনডেন্সড মিল্ক- ৩/৪ কাপ
দুধ- আধা লিটার
কিশমিশ- কয়েকটি
বাদাম কুচি- ১ চা চামচ (সাজানোর জন্য)
এলাচ গুঁড়া- ১ চা চামচ
প্রস্তুত প্রণালি
চুলায় প্যান গরম করে পনির ও দুধ দিয়ে দিন। নাড়তে থাকুন ঘনঘন যেন দলা বেধে না যায়। এবার কনডেন্সড মিল্ক দিয়ে আরও ৩-৪ মিনিট নাড়ুন। এলাচ গুঁড়া, কিশমিশ এবং বাদাম কুচি দিয়ে দিন। কিছুক্ষণ জ্বাল দিয়ে নামিয়ে বাটিতে ঢালুন। উপরে বাদাম কুচি ও কিশমিশ ছড়িয়ে দিন। ঠাণ্ডা হলে পরিবেশন করুম মজাদার পনিরের পায়েস।

ব্রাউনি বানাবেন যেভাবে

গরম গরম ব্রাউনি খুব সহজে বাসায়ই বানিয়ে ফেলা যায়। মজাদার ব্রাউনি পরিবেশন করা যায় আইসক্রিমের সঙ্গে। জেনে নিন কীভাবে বানাবেন।







উপকরণ
ময়দা- ১/৪ কাপ
টক দই- ১/৪ কাপ
বেকিং সোডা- ১/৪ চা চামচ
চকলেট চিপস- ১ টেবিল চামচ
তেল- ১/৪ কাপ
চিনি- স্বাদ মতো
কোকো পাউডার- ১/৮ কাপ
ভ্যানিলা এসেন্স- ১/২ চা চামচ
প্রস্তুত প্রণালি
একটি কাচের বড় বাটিতে চিনি ও তেল দিয়ে ভালো করে ফেটান। এবার একে একে ময়দা, বেকিং সোডা, কোকো পাউডার ও চিনি দিয়ে ভালো করে মেশান। ভ্যানিলা এসেন্স ও চকলেট চিপস দিয়ে দিন। চাইলে মেল্টেড চকলেটও দিতে পারেন। ১৮০ ডিগ্রী প্রিহিটে দিয়ে দিন মাইক্রোওয়েভ। ৭-৮ মিনিট পর বেকিং প্যানে মিশ্রণটি নিয়ে দিয়ে দিন ওভেনে। উপরে বাদাম কুচি ছিটিয়ে দিতে পারেন। ১৮০ ডিগ্রী সেলসিয়াসে ৩০ থেকে ৩৫ মিনিট বেক করুন। এবার বাটি বের করে একটি টুথপিক ঢুকিয়ে দেখুন ব্রাউনি নরম হয়েছে কিনা। গরম গরম ব্রাউনি পরিবেশন করুন চকলেট সস অথবা ভ্যানিলা আইসক্রিম দিয়ে।

ত্বকের ধরন ভেদে শীতকাল উপযোগী ঘরোয়া স্ক্রাব

তবে শীতকালে স্কিন কেয়ারটা  একটু  আলাদা হয়ে থাকে। তাই স্ক্রাবিং করতে হলে, স্ক্রাবগুলো হতে হবে শীতকালের উপযোগ। এছাড়াও ফেস, বডি,  হাত পায়ের জন্য দরকার  আলাদা আলাদা স্ক্রাব।
তো চলুন জেনে নিই, কীভাবে ঘরে বসেই বানাবেন শীতকালের জন্য উপযোগী  (A to Z) স্ক্রাব।
কীভাবে স্ক্রাব করবেন? প্রথমে মুখ পরিষ্কার করে নিন ফেসওয়াসের সাহায্যে। এবার স্ক্রাব নিয়ে স্কিনে সার্কুলার মোশনে ম্যাসাজ করতে থাকুন। সবসময় ঘড়ির কাটার উলটো দিকে ম্যাসাজ করবেন। ৩-৪ মিনিট ম্যাসাজ করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। স্ক্রাবিং করার পর স্কিনে অবশ্যই ভালো কোনো ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিবেন।
জেনে নিলেন তো স্কিনে কী উপায়ে ম্যাসাজ করতে হয়। এবার একে একে মুখ থেকে শুরু করে হাত-পায়ের জন্য পারফেক্ট স্ক্রাবার তৈরি উপায় জানব।

(১) ফেস স্ক্রাব 

ফেস স্ক্রাব টি আপনি ব্যবহার করবেন শুধুমাত্র মুখেই। কারন, মুখের ত্বক অনেক পাতলা হয়। তাই, সেটি খেয়াল রেখেই সবসময়  স্ক্রাব ব্যবহার করতে হবে।
  • চালের গুঁড়ো
  • অ্যালোভেরা জেল
  •  মধু
যেভাবে তৈরি করবেন – 
চালের গুঁড়ো এর সাথে মধু এবং এলোভেরা জেল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। বেশী ঘন হয়ে গেলে একটু পানি মিশিয়ে নিন এবং ব্যবহার করুন।

(২) হাত-পায়ের জন্যে স্ক্রাব

  • দারুচিনি
  • মধু
  • লেবুর রস
  • অলিভ অয়েল
যেভাবে তৈরি করবেন-
দারুচিনি গুঁড়ো  করে নিন। দানা-দানা ভাব যেন থাকে। এবার দারুচিনির সাথে বাকি উপকরণ মিশিয়ে নিন।   হাত এবং পায়ে ভালো করে লাগিয়ে নিন।

(৩) বডি স্ক্রাব

  • চিনি
  • আমন্ড বাদাম
  • গুঁড়ো দুধ
  • টমেটোর রস

যেভাবে তৈরি করবেন – 
আমন্ড বাদাম গুড়ো করে নিন। এবার বাকি সব উপকরণ এক সাথে মিশিয়ে নিন।

(৪) লিপ স্ক্রাব 

  • চিনি
  • অলিভ অয়েল
  • ভ্যানিলা ফ্লেভার
যেভাবে তৈরি করবেন-
সব উপকরণ একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে ঠোঁটে ব্যবহার করুন।

(৫) নখের জন্যে স্ক্রাব 

শুনতে একটু অদ্ভুত লাগলেও, নখেও স্ক্রাবিং এর প্রয়োজন রয়েছে। নখ এবং নখের আশেপাশের মড়া চামড়া দূর করে নখকে শক্ত করে তুলতে স্ক্রাবিং জরুরী।
  • অলিভ অয়েল
  • লেবুর রস
  • ছোট ব্রাশ
যেভাবে তৈরি করবেন –
অলিভ অয়েল এবং লেবুর রস ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। একটি কটন বলের সাহায্যে নখে মিশ্রন টি কিছুহ্মন লাগিয়ে রাখুন। এবার ছোট ব্রাশের সাহায্যে নখ এবং নখের চারদিক ঘষে নিন এবং ধুয়ে ফেলুন।

(৬) হাত ও পায়ের তালুর জন্যে স্ক্রাব 

হাত ও পায়ের তালুও শীতের রুক্ষতা থেকে রেহাই পায় না। যার ফলাফল হাত ও পায়ের তালু শক্ত হয়ে যাওয়া, চামড়া ওঠা, ফেটে যাওয়া। এজন্য এই সব স্থানেও স্ক্রাবিং প্রয়োজন।
  • চিনি
  • অলিভ অয়েল
যেভাবে তৈরি করবেন –
চিনি এবং অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি হাত-পায়ের তালুতে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করুন ৫ মিনিট।

চমচম বানাবেন যেভাবে

অতিথিদের সামনে হাতে বানানো চমচম পরিবেশন করলে কেমন হয়? ঐতিহ্যবাহী চমচম মিষ্টি বানিয়ে ফেলতে পারেন ঘরেই। জেনে নিন কীভাবে।

উপকরণ

দুধ- ১ লিটার
সুজি- ১ চা চামচ
ময়দা- ১ টেবিল চামচ
চিনি- স্বাদ মতো
এলাচ- কয়েকটি
মাওয়া তৈরির উপকরণ
গুঁড়া দুধ- আধা কাপ
ঘি- ২ চা চামচ
পানি- ২ চা চামচ

প্রস্তুত প্রণালি

দুধ জ্বাল দিয়ে ছানা তৈরি করুন। লেবুর রস অথবা ভিনেগার ব্যবহার করুন দুধ থেকে ছানা তৈরি করার জন্য। ছানা তৈরি হলে নামিয়ে ভালো করে পানি ঝরিয়ে নিন। এজন্য ছেঁকে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ঝুলিয়ে রাখতে পারেন। ১ ঘণ্টা পর ভালো করে চেপে চেপে পানি বের করুন।
মাওয়া তৈরি করুন দুধ, ঘি ও পানি একসঙ্গে জ্বাল দিয়ে। সিরা তৈরি করুন এবার। চুলায় ২ কাপ চিনি ও ৫ কাপ পানি দিয়ে জ্বাল দিতে থাকুন। এলাচ দেবেন কিছুক্ষণ পর। বলক আসলে নামিয়ে নিন।

ঘরেই করুন পার্লারের মত বডি পলিশ

হলুদ ও চিনির পলিশ:
১ টেবিল-চামচ হলুদগুঁড়ার সঙ্গে দুতিন টেবিল-চামচ মোটা দানার চিনি মিশিয়ে নিতে হবে। দুধ অথবা গোলাপ জল পরিমাণ মতো মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে নিন। তবে খেয়াল রাখতে হবে চিনি যেন পুরোপুরি গলে না যায়। এটি বডি এক্সফলিয়েটর হিসেবে কাজ করবে। চিনি ত্বক এক্সফলিয়েট করবে আর হলুদ ত্বকে উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনবে।

গোলাপের পাপড়ি, মধু ও ওটসের স্ক্রাব: গোলাপের পাপড়িবাটা, মধু ও ওটসের মিশ্রণে তৈরি এই স্ক্রাবার ত্বক পলিশ করার পাশাপাশি ময়েশ্চারাইজও করবে। গোলাপের পাপড়ি ত্বকের রং উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে, মধু ত্বকে আর্দ্রতা জোগায় ও ত্বক উজ্জ্বল করে এবং ওটস কাজ করে এক্সফলিয়েটর হিসেবে। এই তিন উপাদানের মিশ্রণ তৈরি করতে সঙ্গে খানিকটা কাঁচাদুধ মিশিয়ে নেওয়া যেতে পারে। সপ্তাহে দুবার এই স্ক্রাব ব্যবহারে ত্বকের রং উজ্জ্বল হবে।

গুঁড়াদুধ ও দারুচিনি: ত্বকের জন্য দারুচিনি কতটা উপকারী সে সম্পর্কে অনেকেই অজ্ঞাত। দারুচিনিতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না এবং বলিরেখা কমায়। ব্রণ ও ব্ল্যাক হেডসের সমস্যাও দূর করে। গুঁড়াদুধ ত্বকের লোমকূপ পরিষ্কার করে ত্বক উজ্জ্বল করে তোলে। গোলাপ জল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে এই মিশ্রণ ব্যবহার করা উপকারী।

লবণ ও ডিমের সাদা অংশ: লোম কূপ পরিষ্কারের পাশাপাশি ত্বকের রং উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে ডিমের সাদা অংশ। তাছাড়া ব্রণের দাগ দূর করতেও এই উপাদান কার্যকর। সামুদ্রিক লবণ ত্বক এক্সফলিয়েট এবং টানটান করতে সাহায্য করে। এই মিশ্রণে বাড়তি পানি বা গোলাপ জলের প্রয়োজন নেই। ময়েশ্চারাইজার সমৃদ্ধ ফেইস ওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে এই প্যাক ব্যবহারের পর।
প্রতিটি বডি পলিশের যে কোনোটি ব্যবহারের পর অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। নতুবা ত্বক শুষ্ক হয়ে যাবে।

পারফেক্ট কাঁচকলার চিপসঃ

পারফেক্ট কাঁচকলার চিপসঃ

যা প্রয়োজনঃ

কাঁচকলা -- ৫-৬টি
হলুদ গুড়া-- ১ চা চামচ
লবন-- স্বাদমতো
তেল-- ভাজার জন্যে


যেভাবে করবেনঃ

বড়ো-সড়ো একটি বাটিতে বরফ জলে লবন ও হলুদ মিশিয়ে নিন। কলা ছিলে চিপস কাটার দিয়ে গোল গোল করে কেটে সরাসরি ঠান্ডা জলে ফেলুন। সব কাটা হলে মিনিট দশেক ঠান্ডা জলে রাখুন। দশ মিনিট পর জল ছেঁকে কিচেন ক্লথের উপর রাখুন অতিরিক্ত জল শোষন করে নেয়ার জন্যে।

কড়াইয়ে তেল গরম করে নিন। খুব ভালোভাবে তেল গরম করতে হবে, একদম ধোঁয়া ওঠা ভাব হবে। এবার অল্প করে এক লেয়ার কলা মিনিট খানেক অথবা গোল্ডেন করে ভেজে পেপার টাওয়েলের ওপর তুলে রাখুন। এভাবে সবগুলো ভেজে নিন।

পরিবেশনের আগে লবন / বিট লবন ছিটিয়ে পরিবেশন করুন...।।

রেসিপি: মিষ্টি স্বাদের নারকেল রাইস

শিশুদের জন্য পুষ্টিকর ও সুস্বাদু কোনও আইটেম রান্না করতে চাইছেন? ঝটপট নারকেল রাইস রান্না করে ফেলতে পারেন। নারকেলের দুধ ও চিনি দিয়ে তৈরি নারকেল রাইস শিশুদের পাশাপাশি পছন্দ করবেন অতিথিরাও। জেনে নিন রেসিপি।

উপকরণ
চাল- ২৫০ গ্রাম
দুধ- ১০০ মিলি
জাফরান- ১ চিমটি
চিনি- ১০০ গ্রাম
নারকেলের দুধ- ২০০ মিলি

প্রস্তুত প্রণালি
নারকেল দুধ গরম করে চাল দিয়ে দিন। মৃদু আঁচে রাখুন চুলায়। চাল অর্ধেক সেদ্ধ হওয়ার পর দুধ, চিনি ও জাফরান দিন। জ্বাল সামান্য বাড়িয়ে দিন। চাল পুরোপুরি সেদ্ধ হয়ে গেলে নামিয়ে পরিবেশন করুন সাজিয়ে। চাইলে বাদাম কুচি কিংবা কিশমিশ দিতে পারেন পরিবেশনের আগে।

সুজি দিয়েই তৈরি হবে দারুণ এই পাউরুটি!

বাড়িতে তৈরি গরম গরম ব্রেডের মজাই আলাদা। আর সেটায় যদি থাকে অন্যরকম একটা টুইস্ট তবে কেমন হয় বলুন তো? ময়দা নয়, আজ দেখে নিন সুজি দিয়ে তৈরি করা একটি ব্রেডের রেসিপি। স্বাদটা হবে একেবারেই অন্যরকম।

উপকরণ
– সাড়ে তিন কাপ সুজি
– মাখন ওপরে ব্রাশ করার জন্য অল্প করে
– দুধ ওপরে ব্রাশ করার জন্য অল্প করে
– ময়দা অল্প করে
– এক টেবিল চামচ ফ্রেশ ইস্ট
– এক চিমটি চিনি
– দেড় চা চামচ লবণ
– এক টেবিল চামচ ক্যাস্টর সুগার
– সিকি কাপ অলিভ অয়েল
তৈরি করতে সময় লাগবে দেড় ঘন্টার মতো।

প্রণালী

১) ওভেন প্রি-হিট হতে দিন ১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

২) ইস্ট একটা ছোট বাটিতে নিয়ে ভেঙ্গে নিন। এতে অল্প করে কুসুম গরম পানি এবং চিনি দিয়ে মিশিয়ে নিন। এটাকে আলাদা করে রেখে দিন দুই মিনিট।

৩) বড় একটা বোলে সুজিটুকু নিন। এতে মিশিয়ে নিন লবণ এবং ক্যাস্টর সুগার। এতক্ষনে ইস্টে ফেনা উঠে যাবার কথা। সুজির মিশ্রণের মাঝে একটা গর্ত করে ওতে ঢেলে দিন ইস্টের মিশ্রণটুকু।এরপর এক কাপ কুসুম গরম পানি দিয়ে মাখাতে থাকুন।

৪) আধা কাপ কুসুম গরম পানিতে অলিভ অয়েল মিশিয়ে সেটা একটু একটু করে খামিরে দিয়ে ডো তৈরি করতে থাকুন। যতক্ষণ না নরম চটচটে হয়ে যায় ততক্ষণ মাখাতে থাকুন। এরপর একটা সমান জায়গায় নিয়ে এটাকে টেনে টেনে মাখিয়ে নিন যতক্ষণ না মসৃণ একটা ডো তৈরি হয়।

৫) একটা ব্রেড টিনে মাখন ব্রাশ করে নিন। এর ওপর ছিটিয়ে দিন কিছুটা ময়দা। ডোটা লম্বা করে নিয়ে কেক টিনের ভেতরে রাখুন। একটা ভেজা মসলিন কাপড় দিয়ে ঢেকে রেখে দিন ২৫-৩০ মিনিট। এই সময়ে ডোটা ফুলে যাবে। ওপরে একটু দুধ ব্রাশ করে দিন।

৬) এরপর এটাকে একটা বেকিং ট্রেতে রেখে ওভেনে দিন। ১৫-২০ মিনিট বেক করুন। এরপর বের করে ওপরে ব্রাশ করে দিন একটু বাটার। কেক টিন থেকে বের করে ঠাণ্ডা হতে দিন।

ঠাণ্ডা হয়ে গেলে স্লাইস করে নিন সুজির ব্রেড। এবার টাটকা পরিবেশন করে ফেলুন চা অথবা কফির সাথে।

বিয়ে বাড়ির জর্দা!

বিয়ে বাড়ির জর্দা!

বিয়ের সিজন চলে এল বলে। শরতেই শীতের আগমনী বার্তা টের পাওয়া যায়। তাই এই সময় শুরু হয়ে যায় বিয়ের প্রস্তুতি। আর বাংলাদেশের বিয়ে মানেই হচ্ছে আচ্ছামতো খাওয়া-দাওয়া। পোলাও মাংসের পাশাপাশি রয়েছে ডেজার্ট। ডেজার্টের নাম শুনলেই চোখে ভাসে জর্দা। কমলা রঙের জর্দায় নানা পদের মিষ্টি, কিসমিস, মোরব্বা। নিশ্চিত আপনার জিভে এখন পানি চলে এসেছে। কিন্তু সামনে বিয়ের দাওয়াত নেই তাই খাওয়ার উপায় নেই। টেনশন না করে আপনি নিজেই নিচের রেসিপি ফলো করে তৈরি করে ফেলুন না।
উপকরণ:
পোলাওয়ের চাল বা চিনি গুঁড়া চাল – ২ কাপ
পানি- দেড় কাপ
চিনি- ১ কাপ (বেশি মিষ্টি চাইলে বাড়াতে পারেন, তবে মিষ্টি বেশি হলে ভাত শক্ত হয়ে যায় ঠাণ্ডা হওয়ার পর)
ঘি-৪ টেবিল চামচ
দারুচিনি- ২টি টুকরা
লবঙ্গ ৫-৬ টি
এলাচ- ৫টি
কমলা বা মাল্টার রস- ১ কাপ ।
নারিকেল কোড়ানো- আধ কাপ (ইচ্ছা )
লাল- কালো কিসমিস, কাঠ বাদাম কুচি, মোরোব্বা কুচি- ২টেবিল চামচ করে।
জর্দার রঙ- ১/২ চা চামচ
কমলার খোসা কুচি- ১ টেবিল চামচ ।
চাল সেদ্ধ করার জন্য পানি- ৬ কাপ
চাল সেদ্ধ করার জন্য তেল- ১ টেবিল চামচ
মাওয়া সাজানোর জন্য (ইচ্ছা)
প্রণালি:
১: প্রথমে চাল ধুয়ে ভিজিয়ে রাখুন আধ ঘন্টা। এবার ছয় কাপ মতো পানি, দুটি তেজপাতা, সামান্য লবণ, ১চা চামচ তেল ও জর্দার রঙ চাল চুলায় দিয়ে সেদ্ধ করে নিতে হবে। চাল বেশি সেদ্ধ বা শক্ত যেন না হয়। ৭৫-৮০ শতাংশ সেদ্ধ হয়ে গেলে চালনিতে ঢেলে ছেকে নিন। পানি ভাল ভাবে ঝরিয়ে ট্রেতে বিছিয়ে রাখুন যেন বাতাসে পানিটা শুকিয়ে যায়।
২: এখন একটি প্যানে ঘি গরম করে মিড়িয়াম আঁচে, আস্ত গরম মশলাগুলো দিন। ফুটে উঠলে কিশমিশ, বাদাম, নারিকেল ও মোরাব্বা দিয়ে নেড়ে চিনি, পানি ও কমলার রস দিয়ে নেড়ে দিন। বলক আসলে সেদ্ধ ভাত দিয়ে নেড়ে নেড়ে মেশান সব। এবার ঢেকেদিন চুলার আচঁ মিড়িয়াম থেকে কমিয়ে দিন। ২০মিনিট রান্না করুন।
৩: ২০মিনিট পর কমলার খোসা কুচি ও ১ টেবিল চামচ ঘি দিয়ে হালকা নেড়ে মেশান। আবার ঢেকে ২০ মিনিট দমে রাখুন। ভাত একদম ফুটে গেলে নামিয়ে বাটিতে নিয়ে কিশমিশ ,পেস্তা-বাদাম কুচি ,মাওয়া ও ছোট লাল -সাদা মিষ্টি দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
টিপস:
মাওয়া তৈরি: গুঁড়া দুধ আধ কাপ+ ২ টেবিল চামচ ঘি +১ টেবিল চামচ চিনি দিয়ে হাতে মাখিয়ে মাইক্রোওভেনে ২৫-৩০ সেকেন্ড বেইক করে নিন । ঠান্ডা হলে ব্লেন্ড করে নিলেই ঝুরঝুরে মাওয়া তৈরি।
* * চাল সেদ্ধ করার সময় ১ চা চামচ তেল দিলে ভাত বেশি নরম হবে না এবং ঝরঝরে থাকবে।
* *খাওয়ার রং যদি ড্রাই হয় তাহলে চাল সেদ্ধর সময় পানিতে দিতে হবে আর লিকুইড হলে পরে দিতে হবে।
** ভাতে মিষ্টি বেশি হলে ভাত ঠাণ্ডা হওয়ার পর শক্ত হয়ে যায়। তাই পরিমান মতো চিনি দিন।
**ভাত সেদ্ধ করার পর পানি ঝরিয়ে থালায় নিয়ে বাতাসে ছড়িয়ে রাখবেন যেন বাড়তি পানি শুকিয়ে যায়।

রুটি জালা - মালয়েশিয়ান রেসিপি

রুটি জালা - মালয়েশিয়ান রেসিপি

অন্যদিন না হলেও ছুটির দিনের সকালের নাস্তায় সকালের মজাদার কিছু আমরা সবাই আশা করি। রুটি জালা হচ্ছে আমাদের দেশের ছিটা রুটির মত। তবে ছিটা দিয়ে না বানিয়ে একটু অন্যভাবে বানানো হয়।

সকালের বা বিকেলের নাস্তায় ছিটা রুটি অনেকেরই পছন্দ। সাধারণত চালের গুঁড়া দিয়েই বেশি তৈরি করা হয়। তবে এটা বানানো বেশ সময় সাপেক্ষ ও ভেজাল বলে অনেকেই বানাতে চান না। তবে এই রুটি জালা খুব সহজে ও কম সময়ে বানানো সম্ভব। গরু বা মুরগির মাংস বা সাধারণ ডাল দিয়ে খেতেও দারুন।

উপকরণ:

ময়দা: ২ চাপ
ডিম: ২ টি
নারিকেলের দুধ: ২ ১/২ কাপ (এর পরিবর্তে শুধু পানি দিলেও হবে)
লবন: স্বাদমত
হলুদ গুঁড়ো: সামান্য
নীচের উপকরণ গুলো ইচ্ছা হলে দিতে পারেন, না দিলেও হবে:

মরিচ গুঁড়ো: সামান্য
আদা বাটা: আধা চা চামচ
গরম মশলার গুঁড়ো: সামান্য
তেল: ২ টেবিল চামচ
প্রণালী:
ডিম ভালো করে ফেটে নিতে হবে। ময়দার সাথে নারিকেলের দুধ ছাড়া বাকি উপকরণ মিশিয়ে নিয়ে প্রথমে ডিম তারপর এর সাথে অল্প অল্প করে নারিকেলের দুধ বা পানি মিশান।

এবার একটি ছিদ্রযুক্ত কাপ নিন। অনেক সময় এরকম কাপ কিনতে পাওয়া যায়। না থাকলে একটি প্লাস্টিকের কাপের নিচের দিকে ৪/৫ টি ছিদ্র করে নিতে পারেন। মিশ্রণটি একটু পাতলা করেই বানাতে হবে। এমন হতে হবে যেন কাপের ছিদ্র দিয়ে পড়তে পারে। এবার কাপের নিচে একটা প্লেট রেখে মিশ্রণটা কাপে ঢেলে রাখুন।

এবার একটি ননস্টিক তাওয়া বা ছড়ানো প্যান চুলায় দিয়ে গরম হলে তাতে কাপটা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে জালির মত মিশ্রণটা প্যানে দিন। ১ মিনিট বা এর একটু বেশি কিছুটা সময় রেখে চ্যাপ্টা চামচ দিয়ে রুটি নামিয়ে নিন এবং চারভাজ করে রাখুন। বেশিক্ষন রাখলে শক্ত হয়ে যাবে।

এভাবে খুব সহজেই তৈরি করা যায় মজাদার এই খাবারটি। তবে খেতে হবে অবশ্যই গরম গরম।