১০ পদের মজাদার লোভনীয় শীতের ঘরোয়া পিঠার রেসিপি

শীতের পিঠার রেসিপি নিয়ে আজকের আয়োজন। শীত মানেই শীতের পিঠা । বিকেলে কিংবা সকালের নাস্তায় শীতের পিঠার জুড়ি নেই। পিঠা পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুজে পাওয়া আমার কাছে মনে হয় কঠিন কাজ । তাইতো আজ নিয়ে এলাম ১০ পদ শীতের পিঠার রেসিপি । কম খরচে ও খুব সহজেই ঘরেই তৈরী করতে পারেন এসকল পিঠা। যদিও সকল খাবারের মুল উপকরণ সাজসজ্জা বা ডেকরেশন। যাই হোক আর কথা না বাড়াই। চলুন শিখে নেই মাজাদার শীতের পিঠার রেসিপি গুলো।

রেসিপি ০১: নারকেলের তিল পুলি

উপকরণ

✿ কুরানো নারকেল ২ কাপ
✿ ভাজা তিলের গুঁড়া আধা কাপ
✿ খেজুরের গুড় ১ কাপ
✿ আতপ চালের গুঁড়া ২ টেবিল চামচ
✿ এক চিমটি এলাচ গুঁড়া
✿ দারচিনি ২-৩টা,
✿ আতপ চালের গুঁড়া ২ কাপ
✿ পানি দেড় কাপ
✿ লবণ স্বাদমতো
✿ ভাজার জন্য তেল দুই কাপ।

প্রণালী

কুরানো নারকেলে গুড় দিয়ে ১৫-২০ মিনিট রান্না করতে হবে। একটু শক্ত হয়ে এলে এলাচ, তিল ও চালের গুঁড়া ছড়িয়ে আরও একটু রান্না করতে হবে। তেল উঠে পুর যখন পাকানোর মতো শক্ত হবে, তখন নামিয়ে ঠান্ডা করে লম্বাভাবে সব পুর বানিয়ে রাখতে হবে। এবার চালের গুঁড়া সেদ্ধ করে ভালোভাবে চুলার আঁচ কমিয়ে নাড়তে হবে, যাতে খামিরে কোনো চাকা না থাকে।
একটু ঠান্ডা হলে পানি ছিটিয়ে ভালো করে ছেনে রুটি বানাতে হবে। রুটির এক কিনারে পুর রেখে বাঁকানো চাঁদের মতো উল্টে পিঠে আটকে দিতে হবে। এবার টিনের পাত অথবা পুলিপিঠা কাটার চাকতি দিয়ে কেটে নিতে হবে। কিনারে মুড়ি ভেঙে ও নকশা করা যায়। গরম তেলে মচমচে করে ভাজতে হবে।


রেসিপি ০২: চিতইপিঠা

উপকরণ

✿ চালের গুড়া ২ কাপ।
✿ পানি ও
✿ লবণ পরিমাণমতো।

প্রণালী

চালের গুড়ায় পানি মিশিয়ে তরল মিশ্রণ তৈরি করুন। খেয়াল রাখবেন বেশি পাতলা বা বেশি ঘন যেন না হয়। তবে পাতলা গোলা করলে পিঠা সুন্দর নরম হয়। যে পাত্রে পিঠা ভাজবেন সেটাতে সামান্য তেল মাখান। এখন পাত্রটি হালকা গরম করে ২ টেবিল চামচ চালগোলা দিয়ে ঢেকে দিন। ২-৩ মিনিট পর পিঠা তুলে ফেলুন। বিভিন্ন রকম ভর্তা, ভুনা মাংস দিয়ে এই পিঠা খেতে বেশ মজা।


রেসিপি ০৩: ভাপা পিঠা

উপকরণ

✿ সিদ্ধ চালের গুঁড়া ২ কাপ,
✿ ভেঙে নেওয়া খেজুরের গুড় ১ কাপ,
✿ নারিকেল কোরানো ১ কাপ,
✿ লবণ স্বাদমতো।

প্রণালী

চালের গুঁড়িতে লবণ মিশিয়ে হালকা করে পানি ছিটিয়ে ঝুরঝুরে করে মেখে নিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, যেন দলা না বাঁধে। এবার বাঁশের চালনিতে চেলে নিন। ভাপা পিঠা বানানোর হাঁড়িতে পানি দিন। এবার মুখ ছিদ্র ঢাকনা বসিয়ে আটা দিয়ে আটকে দিন। যাতে বাষ্প বের হতে না পারে। চুলায় বসিয়ে জ্বাল দিন। পাতলা সুতার দুই টুকরা কাপড় ও ছোট দুটি বাটি নিন। এবার বাটিতে চালা চালের
গুঁড়ি দিয়ে মাঝখানে গর্ত করে গুড় ও নারিকেল দিন। আবার চালের গুঁড়া দিয়ে ঢেকে দিন। এবার এক টুকরা পাতলা সুতির কাপড় ভিজিয়ে পিঠার বাটি ঢেকে উল্টে মুখ ছিদ্র ঢাকনার ওপর পিঠা রেখে সাবধানে বাটি খুলে পিঠা ঢেকে দিন। সিদ্ধ হলে পিঠা উঠিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

বি. দ্র. ভাপা পিঠা তাজা গুঁড়ি অর্থাৎ সঙ্গে সঙ্গে গুঁড়ি করে বানালে ভালো হয়। শুকনা গুঁড়ি দিয়ে বানালে অনেকক্ষণ আগে গুঁড়ি পানি ছিটা দিয়ে রেখে পরে বাঁশের চালানিতে চালতে হবে।


রেসিপি ০৪:দুধচিতই

উপকরণ

✿ চালের গুড়া ২ কাপ।
✿ পানি ও
✿ লবণ পরিমাণমতো।
✿ ১ লিটার দুধ ।
✿ গুড় ২ কাপ ।

প্রণালী

চালের গুড়ায় পানি মিশিয়ে তরল মিশ্রণ তৈরি করুন। খেয়াল রাখবেন বেশি পাতলা বা বেশি ঘন যেন না হয়। তবে পাতলা গোলা করলে পিঠা সুন্দর নরম হয়। যে পাত্রে পিঠা ভাজবেন সেটাতে সামান্য তেল মাখান। এখন পাত্রটি হালকা গরম করে ২ টেবিল চামচ চালগোলা দিয়ে ঢেকে দিন। ২-৩ মিনিট পর পিঠা তুলে ফেলুন। ১ লিটার দুধ জ্বাল দিয়ে সামান্য ঘন করুন।
আলাদা করে দেড়কাপ পানিতে ২ কাপ গুড় জ্বাল দিয়ে গুড়ের সিরা তৈরি করুন। সিরায় পিঠা ছেড়ে চুলায় দিয়ে কিছুক্ষণ জ্বাল দিন। ঠাণ্ডা হলে দুধ দিয়ে কিছু সময় ভিজিয়ে রাখুন।সকালে এই পিঠা খেতে মজা।

রেসিপি ০৫: সিদ্ধ পুলি পিঠা

উপকরণ

✿ আতপ চালের গুঁড়া ৪ কাপ,
✿ খেজুরের গুড় পরিমাণমতো,
✿ কোরানো নারকেল ২ কাপ।

প্রণালী

আতপ চালের গুঁড়া হালকা ভেজে পরিমাণমতো পানি দিয়ে খামি করে নিন। কড়াইতে গুড় ও নারকেল একসঙ্গে চুলায় দিয়ে জ্বাল দিতে হবে। মিশ্রণটি শুকিয়ে আঠা আঠা করে নামিয়ে রাখুন। খামির হাতে নিয়ে গোল গোল করে বেলে মাঝখানে পুর দিয়ে অর্ধচন্দ্রাকারের আকার দিয়ে মুখটি বন্ধ করে দিন। এভাবে সব পুলি পিঠা বানিয়ে ভাপে সিদ্ধ করে গরম গরম পরিবেশন করুন। ঠাণ্ডা পুলি খাওয়ার মজাই আলাদা।

রেসিপি ০৬: দুধপুলি

উপকরণ

✿ চালের গুঁড়া ৫০০ গ্রাম,
✿ দুধ ২ লিটার,
✿ খেজুরের গুড় ২ কাপ (স্বাদমতো),
✿ নারকেল কোরানো ২ কাপ,

✿ গুড় ২ কাপ

প্রণালী

দুধ ও গুড় জ্বাল দিয়ে ঘন করতে হবে, নারকেল ও গুড় জ্বাল দিয়ে পুর তৈরি করতে হবে। চালের গুঁড়া সিদ্ধ করে ভালো করে মেখে নিতে হবে, এবার ছোট ছোট লুচি কেটে গোল করে মাঝখানে পুর ভরে ছোট ছোট পুলি পিঠা তৈরি করতে হবে। চুলায় দুধ থাকা অবস্থায় পিঠা দিয়ে অল্প জ্বাল দিয়ে পিঠা হলে নামিয়ে গরম অবস্থায় পরিবেশন করুন। ঠাণ্ডা করেও খাওয়া যায়।

রেসিপি ০৭: দুধে ভেজানো হাতকুলি

উপকরণ

✿ ঘন দুধ ২ লিটার,
✿ রান্না করা নারকেলের পুর ২ কাপ,
✿ খেজুরের গুড় মিষ্টি অনুযায়ী,
✿ পানি ১ কাপ,
✿ আতপ চালের গুঁড়া দিয়ে বানানো সিদ্ধ খামি ২ কাপ,
✿ কাজু কিশমিশ পরিমাণমতো,
✿ মাওয়া আধা কাপ,
✿ এলাচ গুঁড়া সামান্য

প্রণালী

হাতে ছোট ছোট পুরির আকারে খামির নিয়ে একটু গর্ত করে তাতে পুর ভরে ভালোভাবে আটকে মুখ বন্ধ করে দিতে হবে। পিঠার মুখ ভালো করে না আটকালে দুধে ভেজালে ভেঙে যেতে পারে। এভাবে সব পিঠা বানানো হলে চুলায় গুড়-পানি দিয়ে ১০ মিনিট ফোটাতে হবে।
আস্তে আস্তে ঘন দুধ দিয়ে আরও দু-তিন মিনিট রেখে ধীরে ধীরে অল্প অল্প করে পিঠা ছড়িয়ে দিতে হবে। পিঠা সিদ্ধ হয়ে গেলে মাওয়া দিয়ে মাখাতে হবে। সুন্দর বাটি বা ডিশে বেড়ে ওপরে বাদাম ও কিশমিশ দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করতে হবে।

রেসিপি ০৮: নকশি পিঠা

উপকরণ

✿ চালের গুঁড়া ৪ কাপ,
✿ পানি তিন কাপ,
✿ লবণ সামান্য,
✿ ঘি ১ টেবিল চামচ,
✿ ভাজার জন্য তেল ৫০০ গ্রাম।

সিরার জন্য:
গুড় ১ কাপ, চিনি ১ কাপ, পানি ২ কাপ জ্বাল দিয়ে সিরা বানাতে হবে।

প্রণালী

পানিতে লবণ ও ঘি দিয়ে চুলায় দিন। ফুটে উঠলে চালের গুঁড়া দিয়ে সেদ্ধ করে কাই বানাতে হবে।
আধা ইঞ্চি পুরু করে রুটি বানিয়ে পছন্দমতো আকার দিয়ে কেটে নিন। খেজুর কাঁটা দিয়ে রুটিতে পছন্দমতো নকশা করুন।
এবার প্রথমে ডুবোতেলে ভেজে নিন। কিছুক্ষণ পর আবার তেলে ভেজে সিরায় দিয়ে ১ মিনিট রেখে তুলে নিন। ঠাণ্ডা হলে পরিবেশন করুন।

রেসিপি ০৯: লাল পুয়াপিঠা

উপকরণ

✿ আতপ চালের গুঁড়া ৩ কাপ,
✿ মিহি করে বাটা নারকেল আধা কাপ,
✿ ময়দা ১ টেবিল-চামচ,
✿ বেকিং পাউডার আধা চা-চামচ,
✿ খেজুরের গুঁড় বা রস মিষ্টি অনুযায়ী,
✿ পানি পরিমাণমতো,
✿ ডিম ২টি,
✿ এক চিমটি লবণ এবং
✿ তেল ১ কাপ।

প্রণালী
তেল ছাড়া সবকিছু মিশিয়ে অন্তত ৩০ মিনিট রেখে দিতে হবে। এবার তেল গরম হলে গোল চামচে গোলা নিয়ে একটা একটা করে ভেজে তুলুন।

রেসিপি ১০: মালপোয়া

উপকরণ

✿ খেজুর রস ১ কেজি,
✿ ময়দা ২৫০ গ্রাম,
✿ ক্ষীর ১ কাপ,
✿ খাবার সোডা ১ চিমটি,
✿ মৌরি আধা চামচ,
✿ লবণ স্বাদমতো,
✿ ঘি ২৫০ গ্রাম।

প্রণালী

রস জাল দিয়ে ঘন করে নিন। ময়দা, ক্ষীর, মৌরি, খাবার সোডা, লবণ ও পানি দিয়ে ঘন গোলা তৈরি করুন। চুলার হাড়িতে দেওয়া ঘি গরম হলে পিঠা ভেজে গরম গরম খেজুর রসে চুবিয়ে নিন।

চিকেন চটপটা রেসিপি

মুরগি দিয়ে নানা পদ রান্না করা যায়। বিশেষ দিনগুলোতে মুরগি রান্না না হলে চলে। তবে সবসময় গদবাঁধা রান্না খেতে খেতে বিরক্তি চলে আসে। এ জন্য চাই নতুন নতুন আইটেমে রান্না করা। সেরকমই একটি রেসিপি চলুন জেনে নেওয়া যাক। চিকেন চটপটা রেসিপি।

উপকরণ:

মুরগি (সেদ্ধ ও হাড় ছাড়া, ছোট টুকরো করে কাটা) ২৫০ গ্রাম, টমেটো টুকরো করা ২টি, আলু (সেদ্ধ ও ছোট টুকরো করা) ২টি, পেঁয়াজ (মাঝারি সাইজের) ১টি, কাঁচামরিচ কুচি ২টি, জিরা গুঁড়ো ২ চা চামচ, লাল লঙ্কাগুঁড়ো ১/২ চা চামচ, আমচুর পাউডার ১ চা চামচ, রিফাইন্ড তেল ১/২ চামচ, গোটা জিরা ১/২ চামচ, চাটমসলা ১ চা চামচ, লেবুর রস ২টি, ধনেপাতা কুচি ২ চা চামচ এবং লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি:

প্রথমে পাত্রে তেল গরম করে জিরা ফোঁড়ন দিন। আলু, টমেটো, পেঁয়াজ একসঙ্গে হাল্কা করে ভেজে নিন। চুলা থেকে নামিয়ে এর মধ্যে কাঁচা মরিচ, জিরা গুঁড়া, মরিচগুঁড়া, আমচুর ও চাটমসলা দিয়ে ভালো করে মেখে সেদ্ধ চিকেন দিয়ে দিন। ওপরে লেবুর রস দিয়ে ওপর-নিচ করে ঝাঁকিয়ে নিন। উপরে ধনেপাতা ছড়িয়ে দিয়ে পরিবেশন করুন।

বাড়িতেই রান্না করুন বাদশাহি চিকেন

যেকোনো অনুষ্ঠানে অতিথি আপ্যায়নে মাংস ছাড়া তো চলেই না। চিকেনের বিভিন্ন পদ রান্না করা যায়। আপনি চাইলে বাড়িতেই রেস্টুরেন্টের স্বাদে বাদশাহি চিকেন রান্না করতে পারেন। জেনে নিন তাহলে রেসিপিটা।

উপকরণ:

চিকেন-৭০০ গ্রাম
পেঁয়াজ-২টা(কাটা)
পেঁয়াজ (বাটা)- ৩টি
আদা বাটা-১/২ চা চামচ
রসুন বাটা- ১/২ চা চামচ
টক দই- ১৫০ গ্রাম
কাজু বাদাম- ২৫ গ্রাম(বাটা)
হলুদ গুঁড়ো- ২ টেবিল চামচ
জিরা গুঁড়া- ২ টেবিল চামচ
লাল মরিচ গুঁড়া- ১ টেবিল চামচ
কাঁচা মরিচ- ৪/৫টা
লবণ- স্বাদমতো
চিনি- ২ টেবিল চামচ


স্পেশাল মশলা(অর্ধেক জায়ফল, ছোট এলাচ ৪-৫টা, বড়ো এলাচ অর্ধেক, জয়িত্রী ১/২ চামচ। সবকটি মসলাকে শুকনো খোলায় ভেজে গুঁড়ো করে নিন)-১.৫ টেবিল চামচ
গরম মসলা- ১ টেবিল চামচ(১ সবুজ এলাচ, ১/২ ইঞ্চি দারচিনি, ২ লবঙ্গ)
তেল- ৫ টেবিল চামচ
ঘি- ২ টেবিল চামচ
দুধ- আধা কাপ
গোলাপ জল- ১ টেবিল চামচ

প্রণালি:

চিকেনের টুকরোগুলো ভালো করে ধুয়ে সরু সরু করে কেটে নিন। এবার চুলায় একটি প্যানে তেল ঢেলে দিন। তেল গরম হয়ে গেলে তার মধ্যে চিকেনের টুকরোগুলো লবণ দিয়ে ৫-৬ মিনিট ভাঁজুন। হালকা ভাঁজা হলে এগুলোকে একটি আলাদা পাত্রে ঢেলে রাখুন।
এরপর গরম তেলের মধ্যে গরম মসলা দিন, সুগন্ধ বের হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এরমধ্যে পেঁয়াজ টুকরোগুলো দিয়ে ভাঁজতে থাকুন যতক্ষণ না বাদামি রং ধরে। একে একে আদাবাটা, রসুনবাটা এবং পেঁয়াজবাটা যোগ করুন।
কিছুক্ষণ পর এরমধ্যে হলুদগুঁড়ো, লঙ্কাগুঁড়ো ও জিরাগুঁড়ো দিয়ে সাঁতলাতে থাকুন। টক দই, কাজু বাটা দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। মিশ্রনটি প্যানে ঢালুন এবং নাড়াচাড়া করুন যতক্ষণ না মসলা থেকে তেল বের হয়।
এবার চিকেনের টুকরোগুলো প্যানে দিন এবং ভালো করে মেশান। কাঁচামরিচ কুচি এবং স্পেশাল মসলা যোগ করুন। দুধ ও লবণ মেশান এবং নাড়াচাড়া করুন। যদি প্রয়োজন হয় পানি দিন। ১৫ মিনিট পর ঢাকনা খুলে যদি দেখেন হয়ে গেছে তাহলে ঘি ও গোলাপ জল যোগ করুন। আবার ঢাকনা দিয়ে রাখুন ৫ মিনিটের জন্য।

এরপর পরিবেশন করুন।

পনির পসিন্দা রেসিপি

সকালের নাস্তায় রুটি বা পরোটার সঙ্গে প্রতিদিন ডিম অথবা সবজি খাওয়ার ফলে একঘেয়েমি চলে আসে। ভিন্ন কিছু ট্রাই করতে পারেন। সেরকমই ভিন্ন একটি রেসিপি পনির পসিন্দা।

উপকরণ :

পনির (ভাজা অথবা কাঁচা) ১৫০ গ্রাম,
  • পেঁয়াজ (কুচি) ২ টি,
  • কাঁচা লংকা ২ টি
  • রসুন ৪টি
  • টমেটো ১ টি
  • হলুদ গুঁড়ো ১/২ চামচ
  • লঙ্কা গুঁড়ো ১/২ চামচ
  • লবণ স্বাদমতো
  • চিনি ১/২ চামচ
  • গরম মসলা গুঁড়ো ১/৪ চামচ
  • বাটার ৩ চামচ
  • কাজুবাদাম ৬-৭ টি
  • আদা বাটা ১/২ চামচ
  • কিসমিস ১০ টি
  • চার মগজ ১/২ চামচ
  • টক দই ৫০ গ্রাম
  • কসুরি মেথি পাতা ১ চামচ
  • কোরা চিজ ১ চামচ ( না দিলেও হবে ) 

প্রণালি:

প্রথমে কাঁচা পনির ১ চামচ বাটার দিয়ে হাল্কা করে ভেজে নিন। ভাজা পনির হলে গরম পানিতে ১০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। কাজুবাদাম, আদা, চারমগজ, রসুন ও কাঁচামরিচ একসঙ্গে মিক্সিতে বেটে রেখে দিন। এবার কড়াইতে বাটার গরম করে পেঁয়াজ ও টমেটো কুচি ভাজতে থাকুন। নরম হয়ে এলে হলুদ গুঁড়ো, মরিচ গুঁড়ো, লবণ, চিনি ও বাটা মসলা দিয়ে নাড়তে থাকুন।
তেল ছাড়লে টকদই দিয়ে দিন। ১ কাপ মতো গরম পানি দিন। একটু ফুটতে শুরু করলে পনির দিয়ে দিন। কিছুক্ষণ পর কসুরি মেথি পাতা, গরম মসলা গুঁড়ো ছড়িয়ে নামিয়ে ঢাকনা দিয়ে দিন। কোরা চিজ ছড়িয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন পনির পসিন্দা রুটি বা পরোটার সঙ্গে।

দুধ পেরা

আমরা বিভিন্ন অনুষ্ঠান, পার্বণ বা বাড়িতে অতিথি এলে মিষ্টি জাতীয় বিভিন্ন আইটেম তৈরি করে থাকি। সেরকমই একটি স্পেশাল আইটেম দুধ পেরা। চলুন কীভাবে বানাবেন জেনে নিই-

উপকরণ

কনডেন্সড মিল্ক ২০০ গ্রাম
গুঁড়ো দুধ ১/২ কাপ
ঘি অথবা বাটার ১/২ চামচ
স্যাফ্রন অল্প (চাইলে নাও দিতে পারেন)
এক চিমটি জায়ফল গুঁড়ো
ছোট এলাচ গুঁড়ো ১টি

প্রণালি

প্রথমে কনডেন্সড মিল্ক, গুঁড়ো দুধ, ঘি একটি ওভেন প্রুফ কাচের বাটিতে ভালো করে মিশিয়ে নিন। ১ মিনিট ওভেনের ভেতর রেখে বের করে নিন। এর সঙ্গে ছোট এলাচ গুঁড়ো, জায়ফল গুঁড়ো, স্যাফ্রন মিশিয়ে ১ মিনিট ওভেনে দিন। বের করে আরো একটু নেড়ে নিয়ে আবার ওভেনে দিন। যদি দেখেন মিশ্রণটি তরল হয়ে আছে তাহলে আরো একবার ৩০ সেকেন্ডের জন্য ওভেনে দিন।
মিশ্রণটি যখন একটু শক্ত হয়ে আসবে তখন বের করে নিতে হবে। হাতের তালুতে একটু ঘি মাখিয়ে গোল গোল করে পাকিয়ে নিন। ঠান্ডা হয়ে এলে একটা কৌটায় করে ফ্রিজে রাখুন। খেয়াল রাখবেন যেন বাতাস ঢুকতে না পারে।
গ্যাসে তৈরি করলে ১৪ থেকে ১৫ মিনিট রাখতে হবে।

জেনে নিন কাঠ বাদামের দুধ তৈরির প্রণালী

বিভিন্ন পুষ্টিগুণে ভরা কাঠ বাদাম ও কাঠ বাদামের দুধ। এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে। শরীরের ফোলাভাব কমায়। যৌবন ধরে রাখতে সাহায্য করে। মানবদেহে আরো অনেক উপকার করে থাকে। তাই প্রচলিত দুধের চেয়ে আমন্ড দুধ বা কাঠ বাদামের দুধ অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর। এছাড়া কাঠ বাদামে গ্লুটেন থাকেনা, শর্করার পরিমাণ কম থাকে ও কোলেস্টেরল লেভেলকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। সয়া দুধ হরমোনের লেভেলে সমস্যা সৃষ্টি করে কিন্তু কাঠ বাদামের দুধ এই সমস্যা সৃষ্টি করেনা এবং দামেও সস্তা। তাই এই দুধ সাধারণ দুধের পরিবর্তেও ব্যবহার করা যায়। কাঠ বাদামের দুধ খুব সহজে ঘরেই তৈরি করা যায়। আসুন জেনে নেই কিভাবে তৈরি করা যায় কাঠ বাদামের দুধ।

উপকরণ:


কাঠ বাদাম ১ কাপ কাঁচা
পানি ২ কাপ বা বাদাম ভেজানোর জন্য যতটুকু প্রয়োজন, সেই পরিমাণ
বাদাম ভিজানোর জন্য এজটি বোল
ছাঁকনি
পরিমাপের কাপ
ব্লেন্ডার বা ফুড প্রসেসর
সূতি কাপড়ের টুকরা ২টি পরিষ্কার
কাঁচের জার ১টি
যদি বেশি মিষ্টি স্বাদ চান তাহলে মধু বা চিনি বা অন্য কোনো সিরাপ সামান্য পরিমাণে নিতে পারেন

প্রণালি:

বাদামগুলো বোলে নিয়ে পানি দিতে হবে যাতে বাদামগুলো পুরোপুরি ডুবে থাকে। বাদাম পানি শোষণ করে ফুলে উঠবে।
বোলটিকে কাপড় দিয়ে ভালো করে ঢেকে দিতে হবে।
এই অবস্থায় সারারাত অথবা ২ দিন রেফ্রিজারেটরে রেখে দিন।
তারপর পানি থেকে বাদামগুলোকে ছেঁকে নিয়ে কলের পানিতে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন।
এরপর বাদামগুলোকে ব্লেন্ডারে নিয়ে ২ কাপ পানি দিন।
বাদামগুলোকে থেমে থেমে কিছুক্ষন ব্লেন্ড করুন।
তারপর ২ মিনিট সময় ধরে একাধারে ব্লেন্ড করুন।
এতে খুব ভালো একটি মিশ্রণ তৈরি হবে যা দেখতে সাদা বা স্বচ্ছ হবে।
মিশ্রণটি সূতি কাপড় দিয়ে ছেঁকে কাপে নিন।
২ কাপ আমন্ড দুধ পাওয়া যাবে।
এই দুধ যদি পর্যাপ্ত মিষ্টি না লাগে তাহলে এতে মিষ্টি করার জন্য মধু বা চিনি বা অন্য কোনো সিরাপ মিশিয়ে নিতে পারেন।
এই দুধ কাঁচের জারে নিয়ে মুখ বন্ধ করে ফ্রিজে রাখুন ২ দিন পর্যন্ত ভালো থাকবে।

শরীরের বিষ দূর করুন খাবারের মাধ্যমে

আমাদের শরীরে প্রতিনিয়ত নানা ধরনের বিষাক্ত উপাদান প্রবেশ করে, যা প্রায়ই এড়িয়ে যাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে। এসব উপাদান দেহ থেকে বের করে দেওয়ার জন্য কিছু খাবারে জোর দেওয়া উচিত।
কিছু খাবারের মাধ্যমে এসব উপাদান দেহ থেকে বের করে দেওয়া সহজ হয়।

ফল

বিভিন্ন টাটকা ফলে প্রচুর পরিমাণে জলীয় উপাদান থাকে। এ ছাড়া বিভিন্ন ফলে আছে ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইবার, যা শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদানগুলো নির্মূলে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে চোখ ও ত্বক উজ্জ্বল করে এবং হজম শক্তি বাড়ায়।

সবুজ খাবার

সবুজ শাকসবজি দেহের অভ্যন্তরের বিষাক্ত উপাদান দূর করতে খুবই কার্যকর। তবে খেয়াল রাখতে হবে, এটি যেন রাসায়নিক ও বিষমুক্ত হয়। নইলে হিতে বিপরীত হতে পারে।

তেতো খাবার

নানা ধরনের তেতো খাবার আমাদের শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান বের করে দিতে ভূমিকা রাখতে পারে। এ ক্ষেত্রে চিরতার পানি অথবা করলা কিংবা নিমপাতার রসের জুড়ি নেই।

লেবু ও কমলা

লেবু ও কমলায় আছে একগুচ্ছ ডিটক্স ডাইট, যা টক্সিন নামক বিশেষ জৈব। এটি বিষ নির্মূলে সহায়তা করে। এ ছাড়া লেবুর ক্ষার শরীরে অম্লতার ভারসাম্য ফিরিয়ে আনে। প্রতিদিন এক ফালি লেবুর সঙ্গে গরম পানি আপনার শরীর থেকে বিষ নির্মূল করবে।

রসুন

রসুনে রয়েছে এলিসিন নামক রাসায়নিক উপাদান, যা রক্তে শ্বেত রক্তকণিকা উৎপাদন ও টক্সিন নির্মূলে সাহায্য করে। রসুন কাঁচা কিংবা রান্না করে খেলেও উপকার মিলবে।

গ্রিন টি

গ্রিন টি-তে কেবল অ্যান্টিঅক্সিডেন্টই নয়, আরো বহু উপকারী উপাদান রয়েছে। দেহের ভেতর প্রবেশ করা ক্ষতিকর রাসায়নিক নির্মূলে গ্রিন টি যথেষ্ট কার্যকর। তরল এই খাবার শরীরের বিভিন্ন অংশের কর্মক্ষমতা বাড়াতে ভূমিকা রাখে।

আদা

চর্বিসহ নানা ধরনের খাবার থেকে দেহে বাড়তি ক্ষতিকর উপাদান জমা হয়। শরীরে জমা হওয়া এসব বাড়তি উপাদানগুলো বের করে দিতে সহায়তা করে আদা।

বাদাম ও বীজ

কয়েক ধরনের বাদাম ও বীজ শরীরের বিষাক্ত উপাদান বের করতে ভূমিকা রাখে। এর মধ্যে শণ বা তিসি বীজ, কুমড়ার বীজ, কাজুবাদাম, আখরোট, তিলের বীজ এবং সূর্যমুখী বীজ চমৎকার কাজ করে।

কোলেস্টেরল-বৃত্তান্ত জেনে রাখুন



কোলেস্টেরল থাকলেই যে আতঙ্কিত হতে হবে এমন কোনো কথা নেই। এর ভালো-খারাপ আছে।

বিপদের আশঙ্কা তখনই করতে হবে, যখন দেহে ‘লো ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন’ বা এলডিএল কোলেস্টেরল মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যাবে। সব মিলিয়ে অতিমাত্রায় কোলেস্টেরল থাকাটাই ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করেন চিকিৎসকরা। এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে নেওয়া যাক

কোলেস্টেরল বেশি থাকলে যা হয়

এটি আসলে রক্তের এক বিশেষ ধরনের ফ্যাট। মাত্রা ছাড়ালে তা মারাত্মক হয়ে ওঠে। যদি রক্তে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত কোলেস্টেরল থাকে, তবে তা রক্তবাহী ধমনিতে জমা হতে থাকে। সেই সঙ্গে সংকুচিত হয়ে আসে রক্ত চলাচলের পথ। পরিণামে অ্যাথেরোসক্লেরোসিসের মতো ভয়াবহ রোগ দেখা দেয়। অনেক সময় রক্ত জমাট বাঁধার মতো মারাত্মক সমস্যা দানা বাঁধে। কোলেস্টেরল বেশি হওয়ার কয়েকটি কারণ রয়েছে।

বংশগত

উত্তরাধিকার সূত্রে দেহে অতি কোলেস্টেরলের মালিক হতে পারেন আপনি। বংশে কারো দেহে এলডিএলের মাত্রা বেশি থাকলে অন্যদেরও একই সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ অবস্থাকে বলা হয় ‘ফ্যামিলিয়াল হাইপারকোলেস্টেরোলেমিয়া’। আমেরিকার ন্যাশনাল হার্ট, লাং অ্যান্ড ব্লাড ইনস্টিটিউট জানায়, সাধারণত জন্মের সময় ‘হাইপারকোলেস্টেরোলেমিয়া’ দেখা দেয়। এর কারণেই কম বয়সে হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা ঘটে।

খাবার

উচ্চমাত্রার ফ্যাটপূর্ণ খাবার দেহে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এই বিশেষ ফ্যাটের সাধারণ উৎসটিই হলো খাবার। মাংস ও প্রাণিজ খাবারে অনেক কোলেস্টেরল থাকে। তাই বিজ্ঞানীরা ফ্যাট বা স্যাচুরেটেড ফ্যাট গ্রহণে সীমা আনার পরামর্শ দেন।

কায়িক শ্রম না করা

অলস জীবনযাপনে কোলেস্টেরল সঞ্চয় হতে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ অ্যান্ড হিউম্যান সার্ভিসেস পরামর্শ দেয়, প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিটের মাঝারি শ্রমের ব্যায়াম করা উচিত। কিংবা এক সপ্তাহে মোট ৭৫ মিনিটের কঠিন শরীরচর্চা করতে হবে।

লক্ষণ

বেশি কোলেস্টেরল মানেই উচ্চ রক্তচাপ। এ কারণে দুটোকেই ‘নীরব ঘাতক’ বলা হয়। নীরব বলার কারণ হলো, আপনি হয়তো টেরও পাবেন না যে ভয়ংকর মাত্রায় কোলেস্টেরল নিয়ে ঘুরছেন আপনি। অগোচরে ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। তাই নিজ উদ্যোগেই নিজের কোলেস্টেরলের মাত্রা পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে।

ঝুঁকি

হার্ট অ্যাটাক, উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোক, ক্রনিক কিডনি ডিজিস ও বুকে ব্যথার মতো সমস্যা প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে। ওষুধপথ্যসহ জীবনযাপন পরিবর্তনের নানা পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রতিরোধ

কাজেই আগে থেকে প্রতিরোধের ব্যবস্থা গ্রহণই বুদ্ধিমানের কাজ। সচেতন হয়ে কোলেস্টেরলের আনাগোনা ঠেকিয়ে রাখতে হবে। সুষম খাদ্য তালিকাকে অবহেলা করা যাবে না।

যে কারনে খাবেন আমলকির রস



আমলকির বহুবিধ গুণ। ত্বক ডিটক্স করার জন্য আমলকির তুলনা হয় না।

রক্ত পরিশ্রুতও করে আমলকি। তা ছাড়া বিভিন্ন ভিটামিনের সমাহার ত্বক এবং চুলে পুষ্টিও জোগায়। এক ঝলকে দেখে নিন আমলকির কী কী উপকারিতা রয়েছে।

১. প্রতিদিন এক চামচ আমলকির রস মধু দিয়ে খেলে সর্দি-কাশির প্রকোপ থেকে রেহাই মিলবে। পাশাপাশি মুখের আলসার হওয়ার সম্ভাবনা কমবে।

২. নিয়মিত আমলকির রস খেলে কোলেস্টরল নিয়ন্ত্রণে থাকে। তা ছাড়া, এর মধ্যে রয়েছে অ্যামিনো অ্যাসিড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা হৃৎপিণ্ডের কর্মক্ষমতা বাড়ায়।

৩. ডায়াবিটিস রোগীদের কাছে খুবই উপকারি আমলকির রস। হাঁপানি কমাতে এর জুরি মেলা ভার।

৪. বিশেষজ্ঞদের মতে, আমলকি হজম ক্ষমতা বাড়ায়। বিপাকে সাহায্য করে।

৫. শরীর থেকে টক্সিন বা বিষাক্ত পদার্থ ছেঁকে বার করে দেয় আমলকির রস। লিভার ভাল রাখে।

৬. ভিটামিন সি ছাড়াও আমলকির রসে রয়েছে আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এটি পরিপূর্ণ পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ পানীয়।

৭. আমলকির রসে রয়েছে অ্যামিনো অ্যাসিড এবং প্রোটিন যা চুলের পুষ্টি যোগায়। চুল পড়া রোধ করে।

সূত্র : ইন্টারনেট

ত্বকের দাগ দূর করতে ১৫টি পরামর্শ

১. দাগের ওপর ক্যালামিন লোশন লাগান। এটি ত্বকের অতিরিক্ত তেল শোষণ করে নেয় এবং দাগ দূর করতে সাহায্য করে।

২. পাতলা কাপড় বা ছোট তোয়ালেতে একটি বরফ টুকরা নিয়ে দাগের ওপর পাঁচ মিনিট ধরে রাখুন। এটি ধীরে ধীরে ত্বকের দাগ ও অন্যান্য জ্বালাপোড়া দূর করতে সাহায্য করবে।

৩. বাইরে বের হওয়ার আগে ভালো মানের সানস্ক্রিন (এসপিএফ ১৫+) লাগিয়ে বের হবেন। সূর্যের তাপ আপনার দাগের জন্য খুবই ক্ষতিকর।

৪. রান্নায় বা খাবার মেন্যুতে আদা ও রসুন রাখার চেষ্টা করুন। প্রচুর পরিমাণে আঁশযুক্ত ফল ও সবজি খান। নিয়মিত ৬-১০ গ্লাস পানি পান করুন।

৫. প্রতিদিন বালিশের কাভার বদলে নিন। কারণ, এটি দ্রুত ময়লা ও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমিত হতে পারে।

৬. লেবুর রস ত্বকে ব্লিচের কাজ করে। এ ছাড়া ঘুমানোর আগে দাগের ওপর ভিটামিন ই কিংবা ক্যাস্টর অয়েল লাগিয়ে রাখতে পারেন।

৭. এক ফোঁটা অ্যাপল সিডার ভিনেগার ও আট ফোঁটা পানি দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে প্রতিদিন একবার বা দুবার মুখ ধুয়ে নিন।

৮. রসুনের একটি কোয়া নিয়ে পেস্ট করে তাতে এক টেবিল চামচ ময়েশ্চারাইজার মিশিয়ে দাগের ওপর লাগিয়ে রাখুন।

৯. ক্যামোমিল, লেবুর রস ও পানি একসঙ্গে সেদ্ধ করে নিন। এই মিশ্রণ ত্বকে ব্রণ বা অন্য সমস্যা থেকে সৃষ্টি হওয়া দাগ দূর করতে সবচেয়ে কার্যকর।

১০. সামান্য পরিমাণে ভিনেগার এবং তিনটি আলু (থেঁতলে নেওয়া) একসঙ্গে মেশান। সারা রাত দাগের ওপর দিয়ে রাখুন।

১১. তিনটি গাজর থেঁতলে মুখে ১৫-২০ মিনিটের জন্য লাগিয়ে রাখুন। তার পর দুধ দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

১২. সবুজ, অর্থাৎ কাঁচা পেঁপে থেঁতলে ১৫ মিনিটের জন্য মুখে লাগিয়ে রাখতে পারেন।

১৩. সামান্য পরিমাণ মধু, লেবুর রস ও এক চিমটি হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে নিয়মিত ত্বকে লাগান। এই মিশ্রণ ত্বকের জন্য বেশ উপকারী।

১৪. চন্দন গুঁড়ার সঙ্গে অল্প পানি মিশিয়ে ত্বকে লাগান। চন্দন গুঁড়া ত্বককে পরিষ্কার, উজ্জ্বল, ব্রণ, দাগমুক্ত রাখতে সাহায্য করে।
১৫. তিনটি স্ট্রবেরি একটি পাত্রে নিয়ে থেঁতলে নিন। ভিনেগার দিয়ে পেস্ট করে নিন। ত্বকের যেখানে দাগ আছে, সেখানে লাগিয়ে সারা রাত রেখে দিন। বালিশের ওপর একটি তোয়ালে দিয়ে শুয়ে পড়ুন। সকালে উঠে ভালো করে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

এই শীতে রুক্ষ চুল মসৃণ করতে তিনটি উপাদান

যা যা লাগবে

আধা কাপ নারকেলের দুধ,
দুই টেবিল চামচ নারকেল তেল ও
দুটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল।

প্রস্তুত প্রণালী

নারকেলের দুধ চুলে তেলের মতোই কাজ করে। যা চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত মসৃণ করে এবং আর্দ্রতা ধরে রাখে। আর নারকেল তেল চুলের গভীরে গিয়ে পুষ্টি জোগায় এবং চুলের গোড়া শক্ত করে। অন্যদিকে ভিটামিন ই ক্যাপসুল চুলের রুক্ষতা দূর করে চুলকে নরম করে এবং চুল পড়া কমায়।

যেভাবে ব্যবহার করবেন

প্রথমে একটি বাটিতে নারকেলের দুধ ও নারকেল তেল নিয়ে ভালো করে মেশান। এবার এর মধ্যে ভিটামিন-ই ক্যাপসুল দিন। এই মিশ্রণ পুরো চুলে ভালো করে লাগান। এবার একটি শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে দিয়ে চুল পেঁচিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর শ্যাম্পু করে চুলে কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। প্রতি সপ্তাহে ১দিন এই প্যাক লাগালে আপনার চুলের রুক্ষতা সহজেই দূর হবে।

ঘরে বসেই করুন গোল্ড ফেসিয়াল

গোল্ড ফেসিয়ালঃ এই ফেসিয়ালে ২৪ ক্যারাট সোনা যুক্ত ক্রিম ব্যবহার করা হয় যা সহজেই ত্বক ভেদ করতে পারে। ত্বকের পুরনো লাবণ্য, উজ্জ্ব্বলতা ফিরিয়ে আনতে গোল্ড ফেসিয়ালের জুড়ি নেই। ত্বকে লুকিয়ে থাকা ধূলো ময়লা, বিষাক্ত পদার্থ বের করে আনার ক্ষমতা সোনার অসীম। নতুন কোষ জন্মানোর জন্য সোনার অবদান অনেক। ৩৫ এর উপরে বয়স হলে এই ফেসিয়াল করলে যৌবনের সেই নরম তুলতুলে ত্বক ফিরে । এবার জেনে নিন কিভাবে ঘরে বসেই করবেন এই ফেসিয়াল। একটি গোল্ড ফেসিয়াল কিটে থাকে গোল্ড ক্লিনজার, গোল্ড ফেসিয়াল স্ক্রাব, গোল্ড ফেসিয়াল ক্রিম বা জেল, গোল্ড ফেসিয়াল মাস্ক। - প্রথমে গাঁদা ফুলের নির্যাস থেকে তৈরি গোল্ড ক্লিনজার দিয়ে মুখ ক্লিন করুন তারপর গোল্ড ফেসিয়াল স্ক্রাব দিয়ে মুখের সব মরা কোষ দূর করুন। ৩০ সেকেন্ড ধরে সার্কুলার মুভমেন্টে স্ক্রাব করুন। তারপর উষ্ণ গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। -এবার গোল্ড ক্রিম দিয়ে মুখ ম্যাসাজের পালা। এতে আছে গোল্ড ফয়েল, গোল্ড পাউডার, মধু, স্যাফ্রন, এলোভেরা আর চন্দন। যা আপনার ত্বকে বুলিয়ে দেবে কোমল পরশের ছোঁয়া। হালকা হাতে ১০ মিনিট ম্যাসাজ করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। -এবার ধীরে ধীরে গোল্ড ফেসিয়াল মাস্ক পুরো মুখে লাগিয়ে নিন। আর অপেক্ষা করুন মাস্ক শুকানো পর্যন্ত। তারপর ভেজা কটন প্যাড দিয়ে মাস্ক তুলে ফেলুন। মাস্কে বিদ্যমান হলুদ, গোল্ড ফয়েল, আর এলোভেরা আপনার ত্বকে এনে দেবে সোনালি আভা। এই ফেসিয়াল করার পর ৩০% পর্যন্ত পরিবর্তন দেখতে পাবেন।

শীতে ত্বকের যত্নে ফেসপ্যাক

হলুদ ও দুধ –

১ চা চামচ হলুদের সঙ্গে প্রয়োজন মতো দুধ মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করুন। ত্বক শুষ্ক হলে কয়েক ফোঁটা নারিকেল তেল দিন। মিশ্রণটি ত্বকে লাগিয়ে রাখুন না শুকানো পর্যন্ত। এটি বিবর্ণ ত্বকে জৌলুস ফিরিয়ে আনবে।

বেসন ও দুধ –

বেসন ও দুধ একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। ত্বকে চক্রাকারে ঘষে লাগান এটি। এই ফেসপ্যাক মরা চামড়া দূর করে উজ্জ্বল ও কোমল করবে ত্বক।

গ্রিন টি ও মধু –

যারা ব্রণের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য কার্যকর এই ফেসপ্যাক। ব্যবহৃত গ্রিন টি এর সঙ্গে মধু মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ত্বক।

দই –

প্রাকৃতিকভাবে ত্বকে উজ্জ্বলতা নিয়ে আসে দই। দই সরাসরি ত্বকে লাগাতে পারেন। বিভিন্ন উপাদানের সঙ্গে মিশিয়ে লাগালেও উপকার পাবেন।

চন্দন –

চন্দন গুঁড়ার সঙ্গে সামান্য গোলাপজল মিশিয়ে ত্বকে লাগান। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। দেখুন কেমন উজ্জ্বল দেখাচ্ছে ত্বক!

আঙুলের গিঁটের কালচে দাগ দূর করতে তিনটি উপায়

১) ব্লিচ পদ্ধতি

ঘরেই শুধুমাত্র লেবু ও মধুর মাধ্যমে ব্লিচ করে এই কালচে গিঁটের সমস্যার সমাধান করতে পারেন। লেবুর ব্লিচিং এজেন্ট কালচে দাগ দূর করে এবং মধুর প্রাকৃতিক ময়েসচারাইজার ত্বকের রুক্ষতা দূর করে মসৃণভাব ফুটিয়ে তোলে।
– ১ চা চামচ মধুতে ১ চা চামচ তাজা লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপর এই মিশ্রণটি হাতের আঙুলের গিঁটে ভালো করে লাগিয়ে নিন।
– মাত্র ১ মিনিট ম্যাসেজ করে নিন এই মিশ্রণটি আঙুলের গিঁটে এবং পায়ের পাতার কালচে দাগের উপরে।
– এরপর ১০ মিনিট এভাবেই রেখে দিন। তারপর পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে মুছে নিন। সপ্তাহে ৩ দিন ব্যবহারে খুব দ্রুত কালচে দাগ দূর হয়ে যাবে।

২) আমন্ড অয়েলের ব্যবহার

আমন্ড অয়েল অর্থাৎ কাঠবাদামের তেল ত্বকের জন্য খুবই কার্যকরী একটি উপাদান। শুধুমাত্র আমন্ড অয়েলের ব্যবহারেই এই কালচে দাগ দূর করে দিতে পারেন আপনি।
– প্রতিদিন কয়েক ফোঁটা আমন্ড অয়েল আঙুলের এই কালচে দাগের উপর এবং পায়ের পাতার কালো হয়ে যাওয়া অংশের উপরে ম্যাসেজ করুন।
– ২-৩ মিনিট প্রতিদিন এভাবে ম্যাসেজ করে নিলে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই রুক্ষতা ও কালচে ভাব দূর হয়ে যাবে।

৩) বেকিং সোডা ও গ্লিসারিনের ব্যবহার

বেকিং সোডার ব্লিচিং এজেন্ট কালচে দাগ দূর করতে বিশেষভাবে কার্যকরী এবং গ্লিসারিন ত্বকের মসৃণতা ধরে রাখবে দীর্ঘসময়।
– একটি বড় বোলে কুসুম গরম পানি নিয়ে এতে কয়েক চামচ বেকিং সোডা এবং ১ চা চামচ গ্লিসারিন এবং ১ চ চামচ গোলাপজল ভালো করে মিশিয়ে নিন।
– এই পানিতে হাত ও পা ডুবিয়ে রাখুন ৫-১০ মিনিট। এরপর কালচে দাগের উপর ভালো করে ম্যাসেজ করে নিন।
– সপ্তাহে ২ বার ব্যবহারেই ভালো ফলাফল পাবেন।

শীতে পা ফাটা দূর করুন ৩টি উপায়ে

পা ফাটার কারণ

ঠান্ডা আবহাওয়া
পানির স্বল্পতা
কারো পা প্রাকৃতিক ভাবে শুষ্ক হয় তবে ফেটে যেতে পারে
দীর্ঘ সময় কোন শক্ত স্থানে দাঁড়িয়ে থাকলে পা ফেটে যেতে পারে
অনেক গরম পানি দিয়ে গোসল করা
ডায়াবেটিস বা থাইরয়েডে সমস্যায়
বয়স বৃদ্ধির কারণে
নিয়মিত ময়েশ্চারাইজিং না করা ইত্যাদি।

১। নারকেল তেল

পা ফাটা রোধ করার সবচেয়ে সহজ এবং সস্তা উপায় হল নারকেল তেল। নারকেল তেল পা ময়েশ্চারাইজ করে ব্যাকটেরিয়া, ফাঙ্গাস দূর করে থাকে।
– ঘুমাতে যাওয়ার আগে কুসুম গরম পানিতে পা ভিজিয়ে নিন। তারপর পা ঘষে নিন।
– তারপর পা মুছে নারকেল তেল লাগিয়ে নিন।
– এভাবে সারা রাত থাকুন।
– পরের দিন সকালে পা ধুয়ে ফেলুন।
– এটি নিয়মিত করুন যত দিন পর্যন্ত না পা ফাটা সম্পূর্ণ ভাল হচ্ছে। আপনি চাইলে অলিভ অয়েলও ব্যবহার করতে পারেন।

২। পেট্রোলিয়াম জেলি এবং লেবুর রস

পেট্রোলিয়াম জেলি আপনার শুষ্ক ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে থাকে। এটি ফাটা দাগ সমান করে থাকে। এর সাথে পায়ের পাতা নরম করে তোলে।
– ১ চা চামচ পেট্রোলিয়াম জেলি, ১টি লেবুর রস মিশিয়ে নিন।
– প্রথমে পা কুসুম গরম পানিতে ১০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন।
– তারপর পা শুকিয়ে নিন।
– জেলি, লেবুর রসের মিশ্রণটি পায়ে লাগান।
– হালকা হাতে ম্যাসাজ করুন।
– এভাবে সারা রাত রাখুন। সকালে ঘুম থেকে উঠে পা ধুয়ে ফেলুন।
– ভাল ফল পেতে নিয়মিত ব্যবহার করুন।

৩। ভিনেগার

ভিনেগারে অ্যাসিটিক এসিড আছে যা পায়ের তালু এক্সফলিয়েট করে। এবং পায়ের পাতাকে নরম করে থাকে।
– ১/২ বা ১ কাপ সাদা বা আপেল সাইড ভিনেগার এবং ২ কাপ পানি দিয়ে মিশিয়ে নিন।
– এই মিশ্রণে পা ১০ থেকে ১৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন।
– তারপর হালকা হাতে ঘষে নিন।
– পা শুকিয়ে গেলে পেট্রোলিয়াম জেলি বা ময়েশ্চারাইজার দিয়ে দিন।
– এছাড়া চালের গুঁড়া, মধু, ভিনেগার, অলিভ অয়েল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন।
– পা ভাল করে ধুয়ে এটি দিয়ে কয়েক মিনিট ঘষুন। তারপর কসুমু গরম পানি দিয়ে পা ধুয়ে ফেলুন।
এটি সপ্তাহে দু বার করুন।

পায়ের কালো দাগ দূর করার সহজ উপায়

১। লেবু এবং চিনির স্কার্ব

পায়ের কালো দাগ দূর করে স্কার্ব অনেক বেশি উপকারী। কুসুম গরম পানিতে পা দুটো ভিজিয়ে রাখুন। তারপর লেবুর টুকরোর মধ্যে চিনি দিয়ে দিন। এবার এটি দিয়ে পায়ে ৫ মিনিট স্কার্বিং করুন। পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তারপর হালকা কোন ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন পায়ে।

২। লেবু

লেবু হল প্রাকৃতিক ব্লিচিং উপাদান। রোদে পড়া দাগ, পায়ের কালো দাগ লেবুর রস দূর করে থাকে খুব সহজে। পায়ের কালো স্থানে লেবুর রস দিয়ে কয়েক মিনিট ম্যাসাজ করুন। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এছাড়া এক চা চামচ মধু এবং লেবুর রস মিশিয়ে পায়ের কালো দাগে ১০-১৫ মিনিট ম্যাসাজ করুন। এটি প্রতিদিন রাতে করুন। আর দেখুন কিছুদিনের মধ্যে পায়ের কালো দাগ দূর হয়ে গেছে।

৩। দুধ

দুধের ল্যাটিক অ্যাসিড ত্বকের কালো দাগ দূর করতে বেশ কার্যকর। এটি শুধু ত্বকের কালো দাগ দূর করাই নয়, ত্বক নরম কোমল করে থাকে। দুধের সাথে গোলাপ ফুলের পাপড়ি মিশিয়ে নিতে পারেন।

৪। বেসন

বেসন, টমেটোর রস, লেবুর রস এবং শসার রস মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এই প্যাকটি পায়ের কালো দাগে লাগিয়ে নিন। কিছুক্ষণ পর শুকিয়ে গেলে আস্তে আস্তে ম্যাসাজ করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহে এক  দুই বার করুন।

৫। অলিভ অয়েল এবং চিনি

পায়ের কালো দাগ এবং মৃত কোষ দূর করতে অলিভ অয়েল এবং চিনির মিশ্রণ বেশ কার্যকর। অলিভ অয়েল এবং চিনি মিশিয়ে নিন। এবার এটি স্কার্বিং করুন। সপ্তাহে কয়েকবার করুন।
প্যাকগুলো নিয়মিত ব্যবহার করুন। প্যাক ব্যবহার করার পর হালকা লোশন লাগাতে ভুলে যাবেন না যেন।

মহিলাদের দুশ্চিন্তা ও স্ট্রেস দূর করার ঘরোয়া উপায়

মূল দরজা রাখুন খোলামেলা
দরজা দিয়ে ঘরে ঢুকেই যদি দেখেন সেখানে রাজ্যের আবর্জনা, এলোমেলো হয়ে থাকা জুতো-স্যান্ডেল, তাহলে মনটা ভালো থাকবে কী করে? এই জায়গাটা রাখুন খোলামেলা, গোছানো। এছাড়া, দরজাটাকে মেরামত করে রাখুন, যেন দরজা খুলতে বা বন্ধ করতে সমস্যা না হয়, কবজায় ক্যাঁচকোঁচ শব্দ না করে। আর ফেং শুই অনুযায়ী যেহেতু সদর দরজাকে পানির সাথে তুলনা করা হয়, তাই ডোরম্যাট রাখুন নীল।

ঘরে রাখুন গাছপালা
নতুন সূচনা, পরিবার এবং সম্পর্ক ভালো রাখতে সাহায্য করে গাছপালা। এ কারণে জীবন্ত গাছপালা রাখুন ঘরে, প্লাস্টিকের নয়। ছোট ছোট টবে গাছ, ফুল রাখতে পারেন সারা ঘরে ছড়িয়ে।

রান্নাঘরের প্রতি মনোযোগ দিন
রান্নাঘরটাকে সাজানোর ক্ষেত্রে অনেকেই মনোযোগ দেন না। কিন্তু ফেং শুই অনুযায়ী, রান্নাঘরে বেশী লাল, নীল অথবা কালো রং থাকলে ঝগড়ার সুত্রপাত হতে পারে। এছাড়া, বেসিন এবং চুলা একে অপরের মুখোমুখি থাকলেও ঝগড়া, কথা কাটাকাটি হতে পারে। এসব এড়িয়ে চলার জন্য রান্নাঘরে বেশী করে সবুজ রাখুন। ছুরি বাইরে ফেলে রাখবেন না। বন্ধ একটা কাপবোর্ডে রাখুন।

রান্নাঘরে রাখুন এক বাটি কমলা ও লবংগ
কমলা মন ও মেজাজ ভালো রাখে, আর লবঙ্গ ভারসাম্য বজায় রাখে।  

বসার ঘরে নিজের ইচ্ছের প্রতিফলন
খাবার ঘরের মত বসার ঘরটাও হালকা, শান্তিময় কিছু রং ব্যবহার করে সাজান। সোফার পিঠে হেলান দেবার জায়গাটা যেন দেয়ালের সাথে লেগে থাকে তা নিশ্চিৎ করুন। পরিবারের একটি ছবি দেয়ালে রাখতে পারেন।
খাবার ঘরে প্রশান্তি বজায় রাখুন

ডাইনিং রুম হলো পারিবারিক সম্প্রীতি গড়ে তোলা ও ধরে রাখার জায়গা। আপনি যদি একা বাস করে, তাহলে সেই জায়গায় বসে আপনি মনোযোগ দিয়ে খাওয়াদাওয়া করছেন। এই ঘরটাকে হালকা রঙে সাজান যাতে প্রশান্তির অনুভূতি পাওয়া যায়। গোল বা ডিম্বাকার টেবিল ব্যবহার করুন। চৌকো বা লম্বাটে টেবিল হলে এর কিনারাগুলো টেবিল ক্লথ দিয়ে ঢেকে দিন। ফেং শুই মতে আয়না ইতিবাচক শক্তি এনে দেয়, তাই জায়গা থাকলে এই ঘরে আয়না রাখুন। এর পাশাপাশি, এক পাত্র পানিতে চারটি বাঁশের টুকরো রাখতে পারেন এই ঘরে।

শোবার ঘরে ভারসাম্য বজায় রাখুন
শোবার ঘরে ইলেক্ট্রিকাল আইটেম কম রাখুন। বিছানার যে অবশ্যই একটি হেডবোর্ড থাকে এবং তা যেন দেয়ালের সাথে লাগানো থাকে তা নিশ্চিন্ত করুন। বেডসাইড টেবিল বিছানার দুইপাশে রাখুন, জোড়া ভাংবেন না। সবকিছুই জোড়ায় জোড়ায় রাখার চেষ্টা করুন।

নিজের ইচ্ছের প্রতি মনোযোগ দিন
ইচ্ছেশক্তির ক্ষমতা বেশ বড়। তাই আপনি নিজের চিন্তা এবং কথার দিকে মনোযোগ দিন। জানালা খুলে দিন এবং ধূপ জ্বালান। এছাড়া নীল রঙের একটি জার্নালে নিজের ব্যাপারে ভালো কিছু লিখুন, যেমন “আমি সুস্থ থাকব,” “আমি সন্তানের সাথে ভালো আচরণ করব”।

পোশাকের রঙের ব্যাপারে সচেতন থাকুন
কী রঙের পোশাক কিনছেন এবং পরছেন তার ব্যাপারে চিন্তা করুন। শীতকালে লাল রং পরতে অনেকেই পছন্দ করেন। এর সাথে নীল এবং কালো রঙ মিলিয়ে পরুন।

অতিথি চলে যাবার পর
এই মৌসুমে ছুটিছাটা বা অন্যন্য উৎসবের কারণে অনেক সময়েই অতিথির আনাগোনা দেখা যায়। অতিথি চলে গেলে জানালা দরজা খুলে দিন এবং ধূপ বা আগরবাতি জ্বালান ঘরে। এতে সব স্ট্রেস দূর হবে সহজে।

সারাদিনের কর্মব্যস্ততা শেষে ত্বকে আনুন সতেজভাব

ম্যাসাজ
সারাদিনের কর্মব্যস্ততা শেষে এটা হলও সবচাইতে সহজ ও দ্রত একটি উপায়। কিছু পরিমাণ অলিভ অয়েল হাতের তালু ও আঙ্গুলে নিয়ে নিজের আঙ্গুলের সাহায্যে পুরো মুখে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করতে হবে। এতে করে মুখের ত্বকের রক্ত চলাচল দ্রুত হবে। যার ফলে, চেহারার মাঝে থাকা ক্লান্তির ছাপ একেবারেই চলে যাবে। 

এক্সফলিয়েশন
সুস্থ ত্বকের জন্য এক্সফলিয়েশন খুবই জরুরি। নিয়মিত এক্সফলিয়েট করার ফলে ত্বকের গভীরে থাকা ময়লা ও মরা চামড়া উঠে যায়। যার ফলে ত্বক তার স্বাভাবিক রং ও কোমলতা ফিরে পায়। তবে এক্সফলিয়েট করার জন্য খুব ভালো মানের কোন স্ক্রাবার ব্যবহার করা উচিৎ। 

ফেসমাস্ক
অফিস থেকে বাসাতে এসে ঘরে তৈরি যে কোন ফেসমাস্ক ব্যবহার করা সবচাইতে উপকারী একটি উপায়। যা একই সাথে ত্বকের আর্দ্রতা ঠিক রাখতে, ত্বকের ময়লা দূর করতে, ত্বকে পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করবে। ঘরে তৈরি এই ফেসমাস্ক এর জন্য খুব বেশী উপাদানের প্রয়োজন নেই। এই ফেসমাস্ক মধু-কলা দিয়ে তৈরি হতে পারে, অথবা টমেটো-লেবুরও হতে পারে। 

স্কিন টোনার
এটা হলো ত্বকের ক্লান্তি দূর করার অন্যতম সহজ ও দারুণ একটি উপায়। কর্মব্যস্ততা শেষে ত্বকের জন্য মানানসই টোনার ব্যবহারে সতেজভাব চলে আসে মুখের মাঝে। প্রতিদিনের ব্যবহৃত ফেসওয়াশ দিয়ে মুখে ভালোভাবে পরিষ্কার করে এরপর তুলার বলের সাহায্যে ত্বকে টোনার ব্যবহার করতে হবে। টোনার ব্যবহারে ত্বকের রোমকূপ ছোট হয়ে যায় এবং ত্বক টানটান থাকে। 

গোলাপজল
ত্বকের যত্নে ও ত্বকের পরিচর্যার জন্য গোলাপজন বহুল ব্যবহৃত একটি সাধারণ ও প্রচলিত উপাদান। গোলাপজল ব্যবহারে ত্বকের হাইড্রেশন বৃদ্ধি পায়, যার ফলে ত্বকের ক্লান্তি দূর হয়ে ত্বক তার স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ও রং ফিরে পায়। একটি তুলার বলে গোলাপজল নিয়ে পুরো মুখ ও ঘাড়ে ভালোভাবে ম্যাসাজ করতে হবে। এক ঘণ্টা রেখে দেবার পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে। 

বরফের টুকরা
বাইরে থেকে ফেরার পর ত্বকে ঠাণ্ডা কিছু লাগালে তাৎক্ষণিকভাবে ত্বকে সতেজভাব চলে আসে। এর জন্যে দুই-তিন টুকরা বরফ একটি তুলার কাপড়ের মাঝে নিয়ে এরপর পুরো মুখ জুড়ে ভালোভাবে ম্যাসাজ করতে হবে। এর ফলে ত্বকে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায় এবং ত্বকে উজ্জ্বলতা চলে আসে। 

অ্যালোভেরা জেল
ত্বকের উপকারের জন্য অ্যালোভেরা জেলের গুণ অগণ্য। বিভিন্ন উপায়ে এবং বিভিন্ন প্রয়োজনে প্রাকৃতিক অ্যালভেরা জেল ব্যবহার করা যাবে স্বাচ্ছন্দ্যে। সারাদিন পর অল্প পরিমাণে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করলেও উপকার পাওয়া যাবে অনেকটা। কিছু পরিমাণ অ্যালোভেরা জেল নিয়ে মুখে ও ঘাড়ে ভালোভাবে ঘষে ১৫-৩০ মিনিত সময়ের জন্য রেখে দিতে হবে।  এরপর ঠাণ্ডা পানি অথবা সাধারণ তাপমাত্রার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। 

শসা
সারাদিনের কর্মব্যস্ততা শেষে যখন চেহারার মাঝ থেকে ক্লান্তির ছাপ দূর করার প্রশ্ন আসে, তখন শসা হলো সবচাইতে উপকারী একটি উপাদান। শসাতে থাকা বেশ কিছু প্রাকৃতিক উপাদান ত্বকের ক্ষেত্রে উপকারী ভূমিকা রাখে।  যে কারণ শসা ব্যবহারে খুব দ্রুত ভালো ফল পাওয়া সম্ভব হয়। এছাড়াও, শসাতে থাকে প্রচুর পরিমাণে পানি। যা ত্বকের কোমলতা বৃদ্ধিতে কাজ করে থাকে। শসা ব্যবহার করতে চাইলে, কিছু পরিমাণ শসা থেঁতলে নিয়ে পুরো মুখের উপরে ছড়িয়ে দিতে হবে। এইভাবে ২০-২৫ মিনিট সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করে হালকা ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। 

ফেসিয়াল ষ্টিম
ষ্টিম বা গরম পানি ভাপ নেওয়ার ফলে মুখের ত্বকের রোমকূপগুলো খুলে যায় এবং তার ভেতরে থাকা ময়লা বের হয়ে আসে। এতে করে ত্বক তুলনামূলকভাবে অনেক বেশী সতেজ মনে হতে থাকে। ষ্টিম নিতে চাইলে গরম পানির উপর মুখ ঝুঁকিয়ে রেখে মাথার উপরে তোয়ালে দিয়ে দিতে হবে। ১০ মিনিট পর্যন্ত এইভাবে থাকলেই ত্বক তার স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে পাবে।

খুব সহজে দূর করুন মুখের দুর্গন্ধ!

খুব সাধারণ এই সমস্যাটিকে সহজ কিছু কাজ ও অভ্যাস রপ্ত করার মাধ্যমে দূরে রাখা সম্ভব। এখানে উল্লেখ্য করা হলো এমন কিছু সহজ উপায়ের কথা যা একই সাথে মুখের দূর্গন্ধ দূরে রাখতে এবং মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করবে। 

প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা
সাধারণত প্রাপ্তবয়স্ক যে কারোর প্রতিদিন ৬-৮ গ্রাস পরিমাণ পানি পান করা বাধ্যতামূলক। তাই প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করার অভ্যাসটি গড়ে তুলতে হবে এবং বহাল রাখতে হবে। পানি পান করার ফলে মুখের স্যালাইভা সঠিক মাত্রায় থাকবে। যা ডিহাইড্রেশন তৈরি করতে বাধা দেবে। হ্যালিটোসিস অথবা মুখে দূর্গন্ধ তৈরি হবার এটা অন্যতম একটি কারণ। 

নিয়মিত দাঁতের পাটি পরিষ্কার করা
মুখের দূর্গন্ধ দূরে রাখার জন্য দাঁতের যথিক পরিচর্যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন দুইবেলা করে দাঁত মাজা মাধ্যমে দাঁতে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রামণ হওয়ার সম্ভবনা কমে যায় অনেকখানি। 

প্রতিবার খাবার গ্রহণের পর ফ্লস ব্যবহার করা
যে কোন ধরণের খাবার গ্রহণের পরে অবশ্যই মনে করে ফ্লস ব্যবহার করা প্রয়োজন। খাদ্য গ্রহণের পর দুই দাঁতের মাঝে খাদ্যকণা জমে থাকে। যার ফলে দাঁতে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রামণ হয়ে মুখে দূর্গন্ধ তৈরি হয়ে থাকে। শুধু তাই নয়। অনেক ক্ষেত্রে এইসকল ব্যাকটেরিয়ার সংক্রামণের ফলে দাঁত ও মুখের গামে ইনফেকশন দেখা দিতে পারে। এই সকল ধরণের সমস্যা এড়াতে চাইলে প্রতিবার খাবার পরে ফ্লস ব্যবহার খুবই জরুরি। 

প্রতি দুই মাস পরপর টুথব্রাশ বদলানো
বর্তমানে ব্যবহৃত টুথব্রাশটি কতদিন ধরে ব্যবহার করছেন আপনি? নিশ্চয় মনেও নেই শেষ কবে নতুন টুথব্রাশ কিনেছেন। কিন্তু এই ব্যাপারটিতে খেয়াল রাখা খুবই জরুরি। বিশেষত যদি আপনার মুখে দূর্গন্ধ তৈরি হবার মতো সমস্যা দেখা দেয়। কারণ, টুথব্রাশ দীর্ঘ দিন ধরে ব্যবহারের ফলে তাতে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া জন্ম নেয়। তাই প্রতি দুই মাস পরপর ব্যাবহৃত টুথব্রাশ অবশ্যই বদলে নেওয়া প্রয়োজন।

চিনিযুক্ত মিন্ট চুইংগাম পরিহার করা
খাওয়াদাওয়ার পরে অনেকেই চিনিযুক্ত মিন্ট চুইংগাম খেয়ে থাকেন মুখে ফ্রেশভাব তৈরি করার জন্য। কিন্তু চিনি থাকার ফলে এইসকল চুইংগাম মুখে অনেক বেশী ব্যাকটেরিয়া তৈরি করে থাকে। যার ফলে হিতে বিপরীত অবস্থা তৈরি হয়।

অতিরিক্ত কফি পান থেকে বিরত থাকা
অতিরিক্ত কফি পানের ফলে মুখের স্যালাইভা তৈরির প্রক্রিয়া ধীর গতির হয়ে যায়। যার ফলে মুখের ভেতরে শুকিয়ে যায় ও ডিহাইড্রেশন দেখা দেয়। যার ফলে মুখের দূর্গন্ধভাব তৈরি হয়। তাই প্রতিদিন শুধুমাত্র এক কাপ কফি পান করা উচিৎ।

জিহ্বার কথা ভুলে গেলে চলবে না
দাঁত ও দাঁতের মাড়ি পরিষ্কার করার মাঝে জিহ্বা পরিষ্কার রাখার কথা একেবারেই ভোলা যাবে না। প্রতিদিন বেলায় দাঁত মাজার সময়ে টাং স্ক্রাবার দিয়ে জিহ্বা ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এতে করে জিহ্বা পরিষ্কার থাকে এবং মুখে দূর্গন্ধ তৈরি হবার সম্ভবনা ৭০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়।

এলকোহল মুক্ত মাউথওয়াশ ব্যবহার করা
বাজারে ও বিভিন্ন সুপারশপগুলো তে যে সকল মাউথওয়াশ পাওয়া যায়, বেশিরভাগের মাঝেই ২৭ শতাংশ পরিমাণ এলকোহল থাকে। যার ফলে এই সকল মাউথওয়াশ ব্যবহারে মুখ শুষ্ক হয়ে ওঠে এবং মুখে দূর্গন্ধ তৈরি হয়। তাই যেকোন মাউথওয়াশ কেনার পূর্বে ভালমতো দেখে কিনতে হবে। 

প্রতিদিনের ওষুধ সম্পর্কে সচেতন থাকা প্রয়োজন
বিভিন্ন ধরণের ওষুধ যেমন: অ্যান্টি-ডিপ্রেসেন্ট, পেইনকিলার এবং অ্যান্টি-হিস্টামিন মুখে স্যালাইভা তৈরির প্রক্রিয়া কমিয়ে দেয়। যার ফলে মুখের ভেতর শুষ্কভাব তৈরি হয় এবং ডিহাইড্রেশন দেখা দেয়। এতে করে মুখে কটু গন্ধ তৈরি হয়ে থাকে। তাই এমন ধরণের কোন ওষুধ গ্রহণ করলে অবশ্যই অনেক বেশি পরিমাণে পানি পান করতে হবে।

সুন্দর আর ঝলমলে চুলের জন্য কলার ডিপ কন্ডিশনিং

কলার ডিপ কন্ডিশনিং রেসিপিঃ

যা যা লাগবে

-কলা(২ থেকে ৩ টি)
-নারকেলের দুধ(২ টেবিল চামচ)
-নারিকেল তেল(১ টেবিল চামচ)
-অরগানিক মধু(২ বড় টেবিল চামচ)

যেভাবে করবেন


কলাগুলোর খোসা ছিলে টুকরো টুকরো করে কেটে একটি বাটিতে রাখুন। এবার ২ টেবিল চামচ নারিকেলের দুধ কলা রাখা বাটিতে ঢালুন। ১ টেবিল চামচ নারিকেল তেল যোগ করুন এতে। এবার ২ টেবিল চামচ মধু দিয়ে দিন। সব উপাদান একটি ব্লেন্ডারে নিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করুন। পুরো উপাদান ভালোভাবে ব্লেন্ড করা হয়ে গেলে এই পেস্টটি আপনার মাথার ত্বক সহ চুলে লাগিয়ে নিন। চুলে লাগানো শেষে একটি প্লাস্টিকের ক্যাপ দিয়ে চুল ঢেকে রাখুন। ৪৫ মিনিট অপেক্ষা করার পর চুল সুন্দর করে ধুয়ে ফেলুন। খেয়াল রাখুন যেন আপনার চুল থেকে কলার প্রতিটি কণা ধুয়ে চলে যায়। এটি আপনার চুল নরম কোমল আর ঝলমলে করে তোলে। ভালো ফলাফল পেতে সপ্তাহে একবার অন্তত এই পদ্ধতি অনুসরণ করুন।
যে কারণে এই ডিপ কন্ডিশনিং ব্যবহার করবেনঃ

কলা

কলার পটাশিয়াম চুলের গোঁড়া শক্ত করে। চুলের ভাঙ্গনরোধ করে ও ড্যামেজ চুল স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করে। কলায় উপস্থিত প্রাকৃতিক তেল চুল ময়েশ্চারাইজ করে ও কলার বিদ্যমান ৭৫% পানি আপনার চুলের রুক্ষতা প্রতিরোধ করে।
নারিকেল দুধঃ
নারিকেল দুধে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফ্যাট থাকে। যা চুল সুন্দরভাবে কন্ডিশনিং করে এবং চুলের পরিমাণ বৃদ্ধি করে আর এর প্রাকৃতিক তেল চুল নারিশ করে।

নারিকেল তেল

নারিকেল তেলের ভিটামিন ই ও ফ্যাটি অ্যাসিড চুল ময়েশ্চারাইজ করে, চুলের গ্রোথ বাড়িয়ে তোলে, চুল উজ্জ্বল করে ও চুলের ক্যারোটিন লস কমিয়ে তোলে। এমনকি নারিকেল তেল চুলের খুশকি ও অন্যান্য ফাংগাল দূর করতে সাহায্য করে।

অরগানিক মধু

মধু আইরন, জিঙ্ক, সালফার ও ভিটামিন বি-তে ভরপুর যা চুলের গ্রোথ বৃদ্ধির সাথে চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখে।
এইসব উপাদানের মিলিত মিশ্রণ স্বাভাবিকভাবেই আপনার চুল সুন্দর আর ঝলমলে করে তোলে। এটি ব্যবহারে আপনার চুল আরও বেশি ম্যানেজেবল ও নজরকাড়া হয়।

চুলের যত্নে ৫টি প্রোটিন হেয়ার প্যাক

১। ডিমের হেয়ার প্যাক

১টি ডিম এবং ৫ চা চামচ টকদই মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এটি চুলে ভাল করে লাগান। ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। আপনার যদি তৈলাক্ত চুল হয়, তবে ডিমের সাদা অংশ, রুক্ষ চুল হলে ডিমের কুসুম আর নরমাল চুলের জন্য আপনি সম্পূর্ণ ডিম ব্যবহার করতে পারেন। ডিম আপনার চুলে পুষ্টি যোগায়। টকদই চুলকে সিল্কি, ঝলমলে করে তোলে।

২। বেসন এবং শিকাকাই হেয়ার প্যাক

৩ চা চামচ শিকাকাই গুঁড়ো এবং ৩ চা চামচ বেসন মিশিয়ে নিন। এর সাথে কিছু পরিমাণে পানি মেশান। এই প্যাকটি চুল এবং চুলের গোড়ায় ভাল করে লাগিয়ে নিন। ১ ঘন্টা পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। শ্যাম্পু করার প্রয়োজন নেই। বেসন এবং শিকাকাই প্রাকৃতিক শ্যাম্পু হিসেবে কাজ করবে।

৩। অ্যাভোকাডো এবং নারকেল দুধের হেয়ার প্যাক

১টি পাকা অ্যাভোকাডো এবং ৫ টেবিল চামচ নারকেল দুধ মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এর ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশাতে পারেন। এই প্যাকটি চুল এবং চুলের গোড়ায় ভাল করে লাগিয়ে নিন। ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে নিন। নারকেলের দুধে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে যা নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। এছাড়া খুশকি, আগা ফাটা রোধ করে থাকে এই প্যাক।

৪। মেথি, দুধ এবং নারকেল তেলের প্যাক

৫। মেয়নেজ এবং ডিমের প্যাক

১টি ডিমের সাদা অংশ এবং ২ টেবিল চামচ মেয়নেজ মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এর সাথে আপনি ১ টেবিল চামচ টকদই মিশিয়ে নিতে পারেন। ৩০ মিনিট এই প্যাক লাগিয়ে রাখুন। তারপর শ্যাম্পু করে ফেলুন। মেয়নেজ এবং ডিম দুটিতেই প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে যা চুলের পুষ্টি দিয়ে থাকে। মেয়নেজ চুলকে নরম, ঝলমলে করে তোলে।
বাড়িতে এসব প্রোটিন প্যাক নিয়মিত ব্যবহারে চুল হয়ে উঠবে স্বাস্থ্যজ্বল ঝলমলে সুন্দর।

রূপচর্চায় দই ব্যবহার




ত্বক উজ্জ্বল করে
১ টেবিল চামচ দইয়ের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মেশান। ভালো করে নেড়ে মিশ্রণটি ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। আধা ঘণ্টা পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকে ফিরে আসবে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা।

ত্বকের ময়লা দূর করে
বড় হয়ে যাওয়া লোমকূপের ভেতর থেকে ময়লা বের করে ত্বক পরিষ্কার রাখে দই। ১ টেবিল চামচ মধুর সঙ্গে পরিমাণ মতো দই মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। মিশ্রণটি ত্বকে লাগিয়ে রাখুন ১৫ থেকে ২০ মিনিট। ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ত্বকের ধরন অনুযায়ী ময়েশ্চারাইজার লাগান।

বলিরেখা দূর করতে
১ টেবিল চামচ দইয়ের সঙ্গে অর্ধেকটি কলা চটকে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। আধা ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন ঠাণ্ডা পানি দিয়ে। মুখ মুছে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।

তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে
দইয়ের অ্যাসিডিক উপাদান ত্বকের অতিরিক্ত তেল দূর করে ব্রণমুক্ত রাখে ত্বক। দইয়ের সঙ্গে ১ চিমটি জয়ফল গুঁড়া মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেল ধুয়ে ফেলুন।

খুশকি দূর করতে
১ টেবিল চামচ দইয়ের সঙ্গে ১ টেবিল চামচ বেসন মিশিয়ে তৈরি করুন হেয়ার প্যাক। মিশ্রণটি চুলের গোড়ায় লাগিয়ে রাখুন। আধা ঘণ্টা পর ভেষজ শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন চুল। নিয়মিত ব্যবহারে খুশকি দূর হবে। এছাড়া দইয়ের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে ব্যবহার করলেও উপকার পাবেন।

চুল পড়া কমাতে
সমপরিমাণ দই ও নারকেলের দুধ মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি মাথার ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ পর মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন চুল। এটি চুল কমানর পাশাপাশি চুলে নিয়ে আসবে ঝলমলে ভাব।

শুষ্ক চুলের যত্নে
শুষ্ক ও রুক্ষ চুলে প্রাণ ফেরাতে দইয়ের হেয়ার প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। ৩ টেবিল চামচ দইয়ের সঙ্গে ২ টেবিল চামচ নারকেল তেল ও ৪ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে ৩০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন চুলে। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। চুলের রুক্ষতা দূর হবে।

চুল ঝলমলে করতে
দই ভালো করে ব্লেন্ড করে চুলে লাগান। একটু তোয়ালে দিয়ে চুল ঢেকে নিন। ২০ মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন চুল। চুল হবে উজ্জ্বল ও ঝলমলে।

ঘরে তৈরী এলোভেরার ফেসপ্যাক

যেভাবে তৈরি ও ব্যবহার করবেন অ্যালোভেরার ফেসপ্যাক
  • একটি পাত্রে ১ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল নিন।
  • ১ চা চামচ মধু মেশান।
  • আধা চা চামচ লেবুর রস দিন মিশ্রণে।
  • ত্বক পরিষ্কার করে আঙুলের সাহায্যে ঘষে ঘষে লাগান ফেসপ্যাকটি। চক্রাকারে ম্যাসাজ করবেন।
  • ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন।
  • ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ত্বক।
  • ত্বকের ধরন অনুযায়ী ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।
  • সপ্তাহে দুইবার এই ফেসপ্যাক ব্যবহার করুন।  
ত্বকে অ্যালোভেরার ফেসপ্যাক ব্যবহার করবেন কেন?
  • অ্যালোভেরায় রয়েছে ভিটামিন এ, বি, বি১, বি২, বি৩, বি৬ এবং বি১২। এগুলো ত্বকের সুস্থতায় কার্যকর।
  • ত্বকের লালচে ভাব দূর করতে পারে অ্যালোভেরা জেল।
  • অ্যালোভেরায় রয়েছে অ্যান্টি-সেপ্টিক ও অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল উপাদান। এগুলো বিভিন্ন জীবাণু থেকে সুরক্ষা করে ত্বককে।
  • অ্যালোভেরা জেল ও লেবুর রসে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ব্রণ ও ব্রণের দাগ দূর করতে পারে।
  • লেবুর রসে রয়েছে সাইট্রিক অ্যাসিড ও ভিটামিন সি। এগুলো ত্বক উজ্জ্বল করে ও ব্রণের দাগ দূর করে।
  • মধু প্রাকৃতিকভাবে ত্বকে নিয়ে আসে জৌলুস।   
  • মধুতে থাকা প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক উপাদান ব্যাকটেরিয়ামুক্ত রাখে ত্বক।
  • অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে মধু ও লেবুর রস ধীরে ধীরে ব্রণের দাগ দূর করে ত্বক উজ্জ্বল ও কোমল করে।

শীতে ত্বকের যত্ন

  • শীতের সময় ত্বক শুষ্ক হয়ে ফেটে যায়। শুষ্ক ও রুক্ষ হওয়া থেকে ত্বক বাঁচাতে নিয়মিত তেল ব্যবহার জরুরি। ময়েশ্চারাইজারের সঙ্গে ১ অথবা ২ ফোঁটা আমন্ড অয়েল মিশিয়ে নিন। অ্যাভোকাডো অয়েল মেশালেও উপকার পাবেন। তেলমিশ্রিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন গোসলের পর পরই।
  •  
  • ফেসওয়াশ অথবা বডিওয়াশের সঙ্গে সামান্য মোটা দানার চিনি মিশিয়ে নিন। হালকা হাঁটে কয়েক মিনিট ঘষে নিন ত্বকে। এটি ত্বকের মরা চামড়া দূর করবে। ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ত্বক ধুয়ে সামান্য নারকেল তেল ঘষুন ত্বকে। ত্বক নরম ও কোমল থাকবে পুরো শীতকাল জুড়েই।
  •  
  • টক দইয়ের সঙ্গে ওটমিল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। চক্রাকারে পেস্টটি ত্বকে ম্যাসাজ করুন। ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি মরা চামড়া দূর করে ত্বক নরম করবে।  
  •  
  • শীতে ত্বক ও চুলের যত্নে অ্যালোভেরা ব্যবহার করতে পারেন। অ্যালোভেরা জেল সরাসরি চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করুন। কিছুক্ষণ পর ভেষজ শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। ত্বকেও সরাসরি ব্যবহার করতে পারেন এই জেল। এটি ত্বক নরম রাখবে।
  •  
  • চুলের রুক্ষতা দূর করতে নারকেল তেল সামান্য গরম করে চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করুন। তোয়ালে গরম পানিতে ডুবিয়ে নিংড়ে চুল ঢেকে রাখুন ১৫ মিনিট। কিছুক্ষণ পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
  •  
  • ঠোঁট ফাটা রোধ করতে সুইট আমন্ড অয়েল ব্যবহার করেত পারেন ঠোঁটে। রাতে ব্যবহার করলে ভালো ফল পাবেন।
  •  
  • হাত ও পায়ের যত্নে ব্যবহার করুন লেবু। লেবু অর্ধেক করে কেটে বেকিং সোডা মিশিয়ে হাত ও পায়ের ত্বকে ঘষে নিন। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। রাতে ঘুমানোর আগে নারকেল তেল ম্যাসাজ করুন হাত-পায়ের ত্বকে।
  •  
  • পায়ের গোড়ালি ফেটে গেলে গরম পানি ও শ্যাম্পুর মিশ্রণে পা ডুবিয়ে রেখে পিউমিস স্টোন দিয়ে পরিষ্কার করে নিন। পা মুছে গ্লিসারিন ব্যবহার করুন। রাতে মোজা পরে ঘুমাবেন।

ঘরোয়া উপটান: উজ্জ্বল ত্বক ঝটপট

ফেসপ্যাক ১
  • ১ চা চামচ হলুদ গুঁড়ার সঙ্গে আধা চা চামচ লেবুর রস মেশান।
  • ২ টেবিল চামচ দুধের সর ও কয়েক ফোঁটা রোজমেরি এসেনশিয়াল অয়েল মেশান মিশ্রণে।
  • মুখ ও গলার ত্বকে ফেসপ্যাকটি লাগিয়ে রাখুন।
  • শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার লাগান।  
ফেসপ্যাক ২
  • ১টি পাকা কলা চটকে ২ চা চামচ খাঁটি মধু মেশান।
  • ১ চা চামচ লেবুর রস ও কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিন।
  • মিশ্রণটি ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। মুখের পাশাপাশি গলা ও হাতের ত্বকেও লাগাতে পারেন।
  • ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ত্বক ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
ফেসপ্যাক ৩
  • ২ চা চামচ ওটমিলের সঙ্গে ৩ টেবিল চামচ টমেটোর রস মেশান।
  • ১ চা চামচ চিনি মিশিয়ে নেড়ে নিন।
  • ত্বকে লাগিয়ে রাখুন মিশ্রণটি।
  • শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন।
ফেসপ্যাক ৪
  • ১ চা চামচ বেসনের সঙ্গে ২ টেবিল চামচ টক দই মেশান।
  • ১ চা চামচ অ্যালোভেরা জেল ও আধা চা চামচ নারকেল তেল মিশ্রণে দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন।   
  •  উপটানটি ত্বকে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট।
  • কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
ফেসপ্যাক ৫
  • ১টি ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন।
  • মিশ্রণটি মুখ ও গলার ত্বকে লাগিয়ে রাখুন আধা ঘণ্টা।
  • কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
ফেসপ্যাক ৬
  • ১ চা চামচ আলুর রসের সঙ্গে ১ চা চামচ অ্যালোভেরা জেল মেশান।
  • ২ চা চামচ পাকা পেঁপের শাঁস ও ১ চা চামচ গোলাপজল মিশিয়ে নেড়ে নিন।
  • উপটানটি ত্বকে লাগিয়ে রাখুন না শুকালো পর্যন্ত।
  • শুকিয়ে গেলে ধুয়ে নিন পানির ঝাপটায়।

সাদা নখ পাওয়ার সহজ টিপস

ঘরে বসে ফটফটে সাদা নখ পাওয়ার ৬টি উপায়:-

১. টুথপেস্ট:- দাঁত ব্রাশ করার মতোই ব্রাশ করুন নখ। টুথ ব্রাশে টুথপেস্ট তা দিয়ে ঘষে পরিষ্কার করতে হবে নখ। বেশকিছু দিন এই পদ্ধতি চালিয়ে গেলেই পাওয়া যাবে ঝকঝকে নখ।

২. লেবুর-বেসনের পেস্ট:- একটা কাচের পাত্রে বেশ কিছুটা লেবুর রস করে তার সঙ্গে বেসন মেশাতে হবে। লেবুর রস আর বেসনের পেস্ট তৈরি হয়ে গেলে ওই পেস্ট নখের ওপর লাগিয়ে রাখতে হবে।

৩. ডেনটিউর ক্লিনার:- দাঁতের পাটি পরিষ্কার করার জন্য ওষুধের দোকানে এক ধরণের ট্যাবলেট কিনতে পাওয়া যায়। এই ট্যাবলেট গরম জলে মিশিয়ে সেই জলে মিনিট পাঁচেক ডুবিয়ে রাখতে হবে নখ।

৪. বেস কোট:- নখের সাদা ভাব ধরে রাখতে সবসমইয় নেল পলিশ লাগানোর আগে লাগানো দরকার বেস কোট। এতে নখ ভালো থাকে।

৫. মইশ্চারাইজার:- শীত হোক বা গ্রীষ্ম। হাত সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ধপধপে সাদা নখ পেতে রোজ নিয়ম করে লাগাতে হবে মইশ্চারাইজার।

৬. নেল হোয়াইটনিং পেনসিল:- নখ সাদা রাখার জন্য দোকানে কিনতে পাওয়া যায় নেল হোয়াইটনিং পেনসিল। প্রয়োজনে গোটা ম্যানিকিউরের কিট কিনে বাড়িতেই করা যেতে পারে ম্যানিকিউর। এতে নখ শুধু সাদাই হবে না, ভালো থাকবেও।

ক্যাস্টর অয়েল: চুল বাড়বে দ্রুত

অয়েল চুলে কীভাবে ব্যবহার করবেন-
  • সমপরিমাণ ক্যাস্টর অয়েল ও নারকেল তেল একসঙ্গে মেশান। মাথার তালুতে ভালো করে ম্যাসাজ করে অপেক্ষা করুন ৪৫ মিনিট। শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন চুল।
  •  
  • ক্যাস্টর অয়েলের সঙ্গে সমপরিমাণ অ্যালোভেরা জেল মেশান। মিশ্রণটি চুল ও মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করুন। চুল তোয়ালে দিয়ে মুড়ে আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। সবচেয়ে ভালো হয় সারারাত রাখলে। শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
  •  
  • ১ টেবিল চামচ মেথির সঙ্গে ৫ টেবিল চামচ নারকেল তেল ও ক্যাস্টর অয়েল মেশান। মিশ্রণটি কুসুম গরম করে চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করুন। চুলেও ব্যবহার করুন। সপ্তাহে দুইবার এটি চুলে লাগান।
  •  
  • ২টি ডিমের কুসুমের সঙ্গে ২ টেবিল চামচ ক্যাস্টর অয়েল মেশান। আধা কাপ পানি মিশিয়ে নেড়ে নিন মিশ্রণটি। চুলে ব্যবহার করে অপেক্ষা করুন ২০ মিনিট। ঠাণ্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে শ্যাম্পু করে নিন। চুলের আগা ফাটা দূর হবে।
  •  
  • ৩ টেবিল চামচ ক্যাস্টর অয়েলের সঙ্গে ১ টেবিল চামচ সরিষার তেল মেশান। মিশ্রণটি মাথার ত্বকে ঘষে ঘষে লাগান। ১ ঘণ্টা পর মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন চুল।

চুল দ্রুত লম্বা করতে যা করবেন


  • তেল ম্যাসাজ করুনঃ
    চুলের বৃদ্ধিতে সব চাইতে কার্যকরী উপায় হচ্ছে তেলের ম্যাসাজ। নারিকেল তেল,অলিভ অয়েল চুলের জন্য অনেক ভালো। এই দুইটি তেল একসাথে মিশিয়ে কিংবা আলাদা একটি তেল চুলে ভালোভাবে ম্যাসাজ করে নিন। সারারাত রেখে সকালে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন।
  • ডিমের হেয়ার মাস্কঃ
    ১ টি ডিম, পরিমাণ মতো অলিভ অয়েল এবং মধু মিশিয়ে চুলে লাগান। একটি শাওয়ার ক্যাপ কিংবা কাপড় দিয়ে চুল ঢেকে রাখুন ৩০ মিনিট। এরপর মৃদু শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২/৩ দিন এই মাস্ক ব্যবহার করুন।
  • দুধ বা টক দইঃ
দুধ বা দই চুলকে নরম আর মসৃণ করে চুলের রুক্ষতা দূর করে। ফলে চুল পুষ্টি পাবে এবং চুল ফাটবে না। নারিকেল             তেল, আমণ্ড অয়েল (কাঠবাদামের তেল), আধা কাপ দুধ বা টক দই মিশিয়ে নিন। এরপর এই মিশ্রণটি ভালোভাবে             চুলে লাগিয়ে ৩০-৪০ মিনিট রেখে দিন এবং শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত ২ দিন এই মিশ্রণটি মাথার               ত্বকে এবং চুলে ভালো করে লাগিয়ে ১ থেকে ২ ঘণ্টা রাখুন। দ্রুত ভালো ফল পাবেন।
  • লেবুর রসঃ
    চুলের সৌন্দর্য চর্চায় লেবুর রসের ব্যবহার নানাভাবে হয়। লেবুর রসের সাথে সমপরিমাণ পানি মেশান। এবার চুলে ভালো করে লাগান। ২০-৩০ মিনিট রেখে চুল ধুয়ে ফেলুন।
  • চায়ের লিকারঃ
চুল বৃদ্ধি করতে চায়ের লিকারের তুলনা হয় না। কারণ এটি চুলের কন্ডিশনার হিসেবে খুব ভালো। একটি পাত্রে                   চায়ের লিকার নিয়ে তাতে চুল ডুবিয়ে রাখুন ১০ মিনিট অথবা গোসল শেষে লিকারটি দিয়ে আস্তে আস্তে চুল ধুয়ে                 ফেলুন। এভাবে ২/৩ দিন চায়ের লিকার ব্যবহার করুন আপনার চুলে।
  • ভিটামিন-ই ক্যাপস্যুলঃ
চুলের বিশেষ যত্নের জন্য চুলের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী অলিভ অয়েল নিয়ে এতে ১ টি ভিটামিন ই ক্যাপস্যুল ভেঙ্গে নিন।                  এরপর একে হালকা গরম করে মাথার ত্বকে ভালোভাবে লাগান। ৩০ মিনিট রেখে চুল ধুয়ে ফেলুন। সবচেয়ে ভালো                ফলাফলের জন্য পুরোরাত এই মিশ্রণটি মাথায় লাগিয়ে রেখে সকালে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২/৩ দিন ব্যবহার                    করুন।
এভাবে আপনি ঘরে বসে সহজে আপনার চুল সুন্দর করতে পারবেন এবং চুল দ্রুত বড় হবে।
সতর্কতাঃ
  • চুল মোছার জন্য নরম তোয়ালে ব্যবহার করতে হবে। চুল বেশি ঘষে ঘষে মোছা যাবেনা। এতে চুল ফেটে যায় বেশি। ভেজা চুল আস্তে আস্তে মুছতে হবে।
  • ভেজা চুল আঁচড়ানো যাবে না।
  • চুল শুকাতে, চুল ভালোভাবে নরম তোয়ালে দিয়ে মুছে, ফ্যানের বাতাসে বা আলো বাতাসপূর্ণ জায়গায় শুকাতে হবে। কোনক্রমেই হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করা যাবে না।
  • ইলেক্ট্রিক সকল যন্ত্র ব্যবহার পরিহার করতে হবে।
  • চুলের রুক্ষতা কমাতে এবং আগা ফেটে যাওয়ার প্রবণতা রোধ করতে, প্রতিদিন শ্যাম্পু করা বাদ দিতে হবে। কারণ চুল ধোয়ার ফলে, মাথার ত্বকের তেলও ধুয়ে যায়। তাই সপ্তাহে দুই থেকে তিনবারের বেশি শ্যাম্পু করা উচিত নয়। শ্যাম্পুর রাসায়নিক উপাদানও চুলের ক্ষতির কারণ হতে পারে।

নিস্প্রাণ হাত-পায়ে কিভাবে কোমল ভাব আনবেন

কী কী লাগছে তবে দেখে নিন এবার –
  • নারকেল তেল
  • লবণ
  • লেবু
  • কুসুম গরম পানি
  • গ্লিসারিন, গোলাপজল অথবা ময়েশ্চারাইজিং লোশন
যেভাবে করবেন –
হাতের তালু বাবাটিতে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী লবণ নিন। হাত এবং পায়ের জন্য একচা – চামচের খানিকটা বেশি লবণ দরকার হবে। কেবল হাতের জন্য আধচা – চামচেই হয়ে যাবে।
এবার তাতে নারকেল তেল ঢালুন। একটু মিশিয়ে নিয়ে এই মিশ্রণটি ত্বকে লাগিয়ে নিন ভালো করে। এবার আলতো ভাবে ম্যাসাজ করতে থাকুন। দুই/তিন মিনিটের জন্য ম্যাসাজ করতে পারেন বা চাইলে আর সামান্য বেশি সময়ও নিতে পারেন আপনি।
লেবুর ব্যবহার এখানে আপনার ইচ্ছে অনুযায়ী হতে পারে। ত্বক থেকে দাগ – ছোপ দূর করার থাকলে মিশ্রণে কিছুটা লেবুর রস যোগ করে নিন কেবল।
ম্যাসাজ করা শেষে পাত্রে কুসুম গরম পানি নিয়ে তাতে হাত – পা ডুবিয়ে রাখুন। ওই পানিতেই ধীরে ধীরে ত্বক থেকে মিশ্রণ ছাড়িয়ে নিন।আরেকবার পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে শুকনো করে মুছে ফেলুন।
নিজের ত্বকের ব্যাপক পরিবর্তন আপনার মনোযোগ কেড়ে নেবে তখনই। খুব সাথে – সাথেই চামড়ায় কোমলতা টের পাবেন আপনি।বিশেষ করে বহু দিন যদি রুক্ষ নিষ্প্রাণ ত্বক দেখে থাকেন তবে হুট করে এই মোলায়েম ভাবটা আপনাকে অবাক করবে নিঃসন্দেহে।
হাত মুছে নিয়ে এবার পছন্দ বা দরকার মতন ময়েশ্চারাইজিং করুন। ডিপ ময়েশ্চারাইজিং এর জন্য গ্লিসারিন ব্যাবহার করতে পারেন, কয়েক ফোঁটা গোলাপজল মিলিয়ে।বা নিজের প্রিয় লোশনেই শেষ করুন ত্বকচর্চার পাট।
বিশেষ করে রুক্ষতার মৌসুমে এই উপায়টি যেকারোই ভীষণ উপকারে আসবে। কয়েক দিনের টানা প্রয়োগ দীর্ঘ সময়ের নির্জীব ত্বকে প্রাণ ফিরিয়ে আনবে।নারকেল তেল প্রাকৃতিকভাবে ময়েশ্চারাইজিং হিসেবে  খুব কার্যকরী, সাথে লবণ ত্বকের মৃতকোষ দূর করে দিচ্ছে স্ক্রাবিং এর মাধ্যমে। হাত-পায়ের পুরনো মলিনতা চটজলদি কাটিয়ে দিয়ে ত্বকে চনমনেভাব নিয়ে আসতে এই পদ্ধতিটি সত্যিই দারুণ।

দৈনন্দিন রূপচর্চায় কার্যকরী কিছু টিপস

  • ত্বকের রং আরও ফর্সা করার জন্য টক দই লাগান মুখে। যাদের ত্বক শুষ্ক তাঁরা মধু ও দই মিশিয়ে নিন। মিনিট বিশেক রাখুন মুখে, তারপরে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত তিন দিন এরকম লাগাতে হবে।
  • প্রাণখোলা হাসি শারীরিক চাপ এবং স্ট্রেস মুক্ত হতে সাহায্য করে। একটি ভালো হাসির পরে ৪০ মিনিট পর্যন্ত শরীরের পেশী শিথিল থাকে।
  • কাঁচা দুধে তুলা ভিজিয়ে কয়েকদিন ঠোটে ঘষুন ,কালো দাগ উঠে যাবে।
  • রসুন, পিয়াজ, আমলকী আর কোকোনাট অয়েল একসাথে মিশিয়ে হাল্কা গরম করে মাথায় দিয়ে শ্যাম্পু করুন। এটি চুল বৃদ্ধি করবে আর চুল পরা বন্ধ করবে।
  • একটি হট ওয়াটার ব্যাগে গরম পানি ভরে আপনার কপালে ও ঘাড়ে লাগান। এর ফলে ওই স্থানের মাসেলগুলো রিলেক্স হবে এবং মাথা ব্যথা ও টেনশন কমবে।
  • কয়েকটি পেয়ারা পাতা নিন। তারপর এক গ্লাস পানিতে সিদ্ধ করুন। এবার ওই পানি দিয়ে কুলকুচি করুন। দাঁত ব্যাথা কমে যাবে।
  • তরমুজের বীচি বেটে ত্বকে লাগালে ত্বক ভালো থাকে। এ ছাড়া ত্বকে সরাসরি তরমুজের বীচির তেল লাগালে ব্রণের সমস্যা দূর হয়ে যায়।
  • খালি পেটে ফলের রস পান করা, কিংবা ফল খাওয়া ডায়াবেটিস রোধে খুবই কার্যকর। তবে দেখা গেছে, স্বাদে তিতা ফলের রস খেলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে করোল্লা বা উচ্ছা জাতীয় খাবার সাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। এগুলো জুস বা ভাঁজি করে খাওয়া যেতে পারে। এজন্য অবশ্য আপনার নিয়মিত খাবারের তালিকা পরিবর্তনের দরকার হবে না।
  • ঘাড়, গলায় ও মুখে পাউডার লাগানোর সময় হালকা ভেজা স্পঞ্জ ব্যবহার করুন। কমপ্যাক্ট পাউডার সহজে সেট করবে এবং বেশিক্ষণ মেকআপটিকে থাকবে।
  • নিয়মিত সাইকেল চালালে ওজন কমে। সাইকেল চালালে ক্যালোরি খরচ বৃদ্ধি পায় এবং মেটাবলিজম বা বিপাকের হার বৃদ্ধি করে, যার ফলে ওজন কমতে সাহায্য করে।
  • নেল পলিশ ব্যবহারের আগে স্বচ্ছ নেল পলিশ লাগান। এতে নখ হলুদ হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
  • অনেক সময় কোক, পেপসির বোতল ফ্রিজে রেখে দিলেও ঠাণ্ডা হতে সময় নেয়। এক টুকরো ভেজা তোয়ালে দিয়ে বোতলটি পেঁচিয়ে রাখুন। দেখবেন কিছুক্ষণের মধ্যে কোকের বোতল ঠান্ডা হয়ে গেছে।
  • ছিঁড়ে যাওয়া ব্যাগের বেল্ট আপাতত আটকাতে সেফটিপিন ব্যাবহার করুন।
  • গরম পানি শরীরের বিপাক ক্রিয়া খুব ভালোভাবে সম্পন্ন করে। যার ফলে বাড়তি মেদ কমবে। তবে আরো বেশি কাজ দিবে যদি সকালে খালি পেটে গরম পানির সাথে লেবু মিশ্রিত করে পান করেন। এটা বডি ফ্যাট ভাঙতে সাহায্য করবে।
  • চুল বড় হোক কিংবা ছোট, খুশকি থেকে বাঁচতে চাইলে তা কখনোই ভেজা অবস্থায় আঁচড়ানো যাবে না।
  • টুথ পেস্ট আর লবণ মিশিয়ে নাকে লাগিয়ে রাখুন ১০ মিনিট। তারপর ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন নাকে কোন ব্ল্যাকহেডস এবং হোয়াইটহেডস নেই।
  • যদি মুখে কালো দাগ হয়ে যায় তাহলে শশা, পেঁপে আর টমেটোর রস সম পরিমাণে মিশিয়ে মুখে লাগান৷ এই লেপটা যখন শুকিয়ে যাবে তখন দ্বিতীয় বার আবার এই লেপটা লাগান৷ এইভাবে তিন-চার বার এই লেপটা লাগান৷ ২০মিনিট লেপটা লাগিয়ে রাখার পরে মুখটা ভালো করে উষ্ণ জল দিয়ে ধুয়ে নিন৷
  • মধু ও দুধ একসঙ্গে মিলিয়ে ব্যবহারে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে।
  • রোদে পোড়া দাগ দূর করতেচিনি ও লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে ম্যাসেজ করা যেতে পারে। একটি লেবুর অর্ধেকটা রস করে গোসলের পানিতে বা বাথটবে মিশিয়ে নিলে তা ত্বক ও হাত সুন্দর নরম করবে৷ হাতের নখে হলুদ দাগ থাকলে তার ওপর তাজা লেবুর রস কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখলে, সেই দাগও একেবারে উঠে যাবে এবং নখও শক্ত হবে।
  • কয়েক ফোটা বাদাম বা নারকেল তেল হাতে নিয়ে আস্তে আস্তে চুলের আগায় লাগিয়ে নিন৷ এতে চুলের আগা ফাটা বন্ধ হয়ে চুলকে করবে মসৃণ, সুন্দর৷
  • তক সুস্থ রাখতে রাতে শোবার আগে ভালোভাবে মুখ ধুয়ে  নিবেন। মুখে মেকাপ থাকলে ভালোভাবে তুলে ফেলতে হবে।
  • শুষ্ক তকের জন্য ৩ ৪ চামচ গরম দুধের মধ্যে ১ চামচ মধু আর লেবুর রস মিশিয়ে ভাল করে ফেটিয়ে নিন। এই প্যাকটা ময়শ্চারাইজারের কাজ করবে৷ এই প্যাকটা ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্বলতা বাড়বে।
  • আমলকীর তৈরি তেল চুলের জন্য অনেক বেশি উপকারী। এটি নিয়মিত ব্যবহারের ফলে চুল পরা কমে, চুলের বাদামী ভাব দূর হয়, চুল দ্রুত বড় হয়, খুশকি মুক্ত থাকে, চুল ঘন হয়।

কেন মেক-আপ থেকে দূরে থাকবেন?

১. ত্বক
সৌন্দর্যকে ঠিকঠাক রাখার এই প্রসাধনীগুলোর ব্যবহার আপনার ত্বককে কিছুটা সময়ের জন্যে ভালো দেখায় বটে, কিন্তু এর কিছু স্থায়ী নেতিবাচক প্রভাবও রয়েছে। আর সেটাও কিন্তু ভবিষ্যতে ভুগতে হবে আপনাকেই। প্রসাধনীগুলো তৈরিতে ব্যবহৃত নানা রকমের রাসায়নিক পদার্থ খুব সহজেই আপনার ত্বকের সজীবতা আর ত্বকের কোষগুলোর নষ্ট হয়ে যাওয়াকে ত্বরান্বিত করে। আর তাই সৌন্দর্যবৃদ্ধির এই উপকরণগুলো থেকে দূরে থাকলে আপনার ত্বকই ধন্যবাদ জানাবে আপনাকে প্রথমে।

২. সময়
এক গবেষনায় পাওয়া যায় যে সারা বিশ্বে নারীরা কেবল মেক-আপ করার জন্যেই ৪৭৪ দিন ব্যয় করে থাকেন। অদ্ভূত হলেও শুনতে সত্যি এই তথ্যটি বারবার সবাইকে যেন ছোটবেলায় পড়া সময়ের মূল্য রচনাটির কথাই মনে করিয়ে দেয়। সত্যিই তো! প্রতিদিন ঠিক কতটা সময় প্রসাধনীর পেছনে খরচ করছেন আপনি সেটা কি হিসেবে রাখছেন? সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে, সারাদিন নানা কাজের ফাঁকে বেশ কয়েকবার, রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগেতো রয়েছেই, এছাড়াও আছে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের উপলক্ষ্য। আর তাই প্রসাধনীর ব্যবহার বন্ধ করলে আপনার ত্বকই নয়, এতগুলো সময়ও বেঁচে যায়।

৩. মানসিক সুস্থতা
কেন আপনি প্রসাধনী ব্যবহার করেন? চেহারার অসামঞ্জস্যতা ঢাকবার জন্যেই তো? ভাবুন তো, কয়দিন এমন হয়েছে যে আপনি মেক-আপ করে আপনার সূক্ষ ত্রুটিগুলোকে ঢেকে দিয়ে সবার সামনে হাসিমুখে কথা বলেছেন আর আপনার মাথায় সবসময়ই এই ভয়টা কাজ করেনি যে- মেক-আপটা ঠিকঠাক আছে তো? মুখের দাগটা সবার চোখে পড়ে যায়নি তো? ভেবে দেখুন। কখনোই হয়নি। আর এই সারাটাক্ষণের অস্বাভাবিক মানসিক অস্থিরতা আপনার মানসিক সুস্থতার পথেও বাঁধা হয়ে দাড়ায়। খোলা মনে কোন কিছু করা, বিশেষ করে বৃষ্টিতে বন্ধুদের সাথে হঠাত্ করে ভিজতে যাওয়া আপনার পক্ষে কখনোই সম্ভবপর হয়না। তাই মেক-আপ করা ছেড়ে দিন। নিজের মানসিক সুস্থতাকে নিশ্চিত করুন।

৪. ভালোবাসা
অনেকেই বলে থাকেন যে – মেক-আপ করলে নিজেকে আরো সুন্দর বলে মনে হয়। অনেকের ভালোবাসা পাওয়া যায়। কথাটা কিন্তু একদমই ভুল। আপনার মেক-আপ করা মুখকে তারা কখনোই প্রাধান্য দেবে না যারা আপনাকে সত্যিকারের ভালোবাসে। আর যারা প্রাধান্য দেবে তারা কখনোই আপনাকে ভালোবাসেনি। বরং আপনার ত্রুটিগুলোকে যে বা যারা ভালোবাসবে তারাই আপনার প্রকৃত কাছের মানুষ। মেক-আপ করে তাই অযথাই জীবনের পথে কিছু আগাছাকে তুলে আনবেন না।

৫. দৃঢ়তা
প্রসাধনীর ব্যবহার আপনাকে ক্রমশ নিজে ওপরে থাকা আত্ববিশ্বাস আর দৃঢ়তাকে সরিয়ে ফেলে সেখানে এক ধরনের অসহায় ভাবকে ফুটিয়ে তোলে। কারন আপনি জানেন যে আপনার সমস্ত চেহারার অনেকটাই কিছু পণ্যের ওপর নির্ভরশীল। আপনার মনে তখন এক ধরনের অনুভূতি কাজ করতে শুরু করে যে প্রসাধনীগুলো ছাড়া আপনি আসলে কিছুই নন। কিন্তু আসলেই তাই কি? ঝেড়ে ফেলুন নিজের জীব্ন থেকে মেক-আপ শব্দটাকে আর নিজের যা আছে সেটার ওপরেই বিশ্বাস গড়ে তুলুন।

৬. টাকা
এ কথাটা না বললেই নয় যে বিশ্বের প্রতিটি নারী-পুরুষই কোটি কোটি ডলার খরচ করেন কেবল প্রসাধনীর জন্যে। আপনি নিজেরও কি সেখানে খুব একটা কম অবদান রয়েছে? যে টাকাগুলো আপনি প্রসাধনীর পেছনে খরচ করছেন সেগুলো দিয়ে মৌসুমী ফল কিনে খান। এতে আপনার ত্বক এমনিতেই ভালো থাকবে। প্রচুর পানি খান। আর কিছু না হলে জমিয়ে রাখুন টাকাগুলো। কিছুদিন পরে নিজেকে কোন উপহার দিন।

চুলের সমস্যা দূর করতে টক দইয়ের হেয়ার প্যাক

চুলের যত্নে নানা রকম হেয়ার প্যাক ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এর মধ্যে মেহেদি প্যাক অন্যতম। এটি চুল পড়া রোধ করে প্রাকৃতিকভাবে চুল কালার করে থাকে। আরও একটি উপাদান আছে যা চুল নরম-কোমল করে, খুশকি রোধ করে চুলকে মজবুত করে তোলে। তা হল টক দই। অনেকেই জানেন চুলের খুশকি দূর করার জন্য টক দই বেশ কার্যকর। শুধু খুশকি দূর করা নয় চুলের আরও অনেক সমস্যা সমাধান করে দিতে পারে টক দই-এর হেয়ার প্যাক।
চুলের সমস্যা দূর করতে টক দইয়ের হেয়ার প্যাক-

১। চুল নরম কোমল করতে
টক দই, নারকেল তেল এবং অ্যালোভেরা জেল ভাল করে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এই প্যাকটি চুলে ব্যবহার করুন। ১৫ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। প্রাণহীন, নির্জীব, রুক্ষ চুলকে নরম, কোমল, এবং ময়োশ্চারাইজ করে তুলবে এই প্যাকটি। নিয়মিত ব্যবহারে এই প্যাকটি চুলের রুক্ষতা দ্রুত দূর করে দেবে।

২। চুল পড়া রোধ
১/৪ কাপ মেথি গুঁড়োর তার সাথে ১ কাপ টক দই মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। মাথার তালুসহ সম্পূর্ণ চুলে এই প্যাকটি ব্যবহার করুন। ২ ঘন্টা রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন। এটি সপ্তাহে এক বার ব্যবহার করুন। এই প্যাকটি চুল পড়া রোধ করতে সাহায্য করে।

৩। রুক্ষতা দূর করতে
টকদই, বাদাম তেল এবং একটি ডিম ভাল করে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এই প্যাকটি চুলের গোড়া থেকে সম্পূর্ণ চুলে ভাল করে লাগিয়ে রাখুন। ৩০ মিনিট পর চুল শ্যাম্পু করে ফেলুন। ডিমের পুষ্টি এবং তেলে চুলের রুক্ষতা দূর করে দিয়ে চুল স্লিকি করে তোলে।

৪। খুশকি দূর করতে
মাথার তালুর রুক্ষতা, খুশকি দূর করতে এই প্যাকটি বেশ কার্যকর। তিন টেবিল চামচ অলিভ অয়েল টক দইয়ের সাথে ভাল করে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এটি মাথার তালুতে ১০ মিনিট চক্রাকারে ম্যাসাজ করে লাগান। ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি সপ্তাহে দুই বার ব্যবহার করুন।

যেভাবে ঘরোয়া ৩টি উপায়ে ত্বকের দাগ দূর করবেন

১) টমেটো ও বেসনের মাস্ক

বেসন ত্বকের দাগ দূর করতে অনেক আগে থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই ত্বকের নানা ধরণের দাগ দূর করতে এর জুড়ি নেই।
 – ২ টেবিল চামচ বেসনের সাথে প্রয়োজন মতো টমেটো রস মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন।
– এরপর এই পেস্টটি মুখ, ঘাড় ও গলায় ভালো করে লাগিয়ে নিন।
– ১৫ মিনিট পর পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
– সপ্তাহে ২ বার ব্যবহার করবেন এই মাস্কটি।

২) শসা ও লেবুর রসের মাস্ক

লেবুর রসের ব্লিচিং এজেন্ট ত্বকের দাগ ফিকে হয়ে আসতে সহায়তা করে এবং শসা প্রাকৃতিক ময়েসচারাইজার হিসেবে ত্বকের যত্ন নেয়।
– ৩ টেবিল চামচ শসা ও ৩ টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে মিশ্রন তৈরি করে নিন।
– এই মিশ্রণটি মুখ, ঘাড় ও গলায় লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট।
– এরপর সাধারণ পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এই মাস্কটি প্রতিদিনই ব্যবহার করতে পারবেন।

৩) দুধ, মধু ও লেবুর রসের মাস্ক

প্রাচীনকাল থেকেই দুধ ও মধু রূপচর্চায় ব্যবহার হয়ে আসছে। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বিহীন উপাদান বলে এর কদর রয়েছে বেশ।
– ১ টেবিল চামচ দুধ, ১ টেবিল চামচ মধু ও ১ টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন ভালো করে।
– এরপর মুখ, ঘাড় ও গলায় লাগিয়ে রাখুন মাত্র ১০ মিনিট।
– পানি দিয়ে ধুয়ে নিন ভালো করে এবং তোয়ালে আলতো চেপে মুখ শুকিয়ে ফেলুন।
– সপ্তাহে ২-৩ দিন ব্যবহার করলে ভালো ফল পাবেন।