রান্নার জন্য সহজ ও মজার ৪১ টিপস

রান্নার জন্য সহজ ও মজার ৫০ টিপস

১। যথা সম্ভব পাতিলে ঢাকানা দিয়ে রান্না করুন, এতে খাবারের পুষ্টিমান ঠিক থাকে।
২। মাংস রান্নার শুরুতেই লবণ না দিয়ে রান্নার মাঝামাঝি সময়ে লবণ দিয়ে ভালভাবে নাড়ুন। এরপর দেখে নিন পরিমান ঠিক হল কিনা।
৩। তরকারির ঝোল ঘন করতে চাইলে কিছু কর্ণ ফ্লাওয়ার পানিতে গুলে ঢেলে দিন। লক্ষ্য রাখুন যেন কর্ণ ফ্লাওয়ারের মিশ্রণটি ভালমত তরকারির সাথে মিশে যায়।
৪। চাল ধোয়ার পর ১০ মিনিট রেখে দিয়ে তারপর রান্না করুন অথবা রান্নার সময় ১ চা চামচ রান্নার তেল দিয়ে দিন। দেখবেন ভাত সুন্দর ঝরঝরে হয়েছে।
৫। মুরগীর ফ্যাট এড়াতে চাইলে চামড়া ছাড়িয়ে মুরগি রান্না করুন। কারন মুরগির চামড়াতেই প্রধান ফ্যাট থাকে।
৬। সবুজ সবজি রান্নার সময় সবুজ রং ঠিক রাখতে চাইলে এক চিমটি চিনি দিন।
৭। রান্না করার জন্য একদিন আগেই মাংস সেদ্ধ এবং ঠান্ডা করে ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন।
৮। রান্নার সময় গরম পানি ব্যবহার করুন।
৯। ফ্রিজের মধ্যে আঁশটে গন্ধ দূর করতে ফ্রিজে এক টুকরো কাঠ কয়লা রেখে দিন।
১০। মাংস তাড়াতাড়ি সেদ্ধ করতে চাইলে খোসাসহ এক টুকরো কাঁচা পেঁপে তরকারীতে দিন।
১১। মাছ, মাংস বা ডিমের ঝোলে লবণ বেশি হয়ে গেলে তরকারিতে কয়েকটি সিদ্ধ আলু ভেঙে দিন। স্বাদ ঠিক হয়ে যাবে।
১২। মুরগির মাংস বা কলিজা রান্নাইয় ১ টেবিল চামচ সিরকা দিন। এতে মাংসের গন্ধ থাকবে না আবার তাড়াতাড়ি সিদ্ধও হবে।
১৩। মাছ ভাজার সময় তেল ছিটা রোধ করতে একটু লবণ ছড়িয়ে দিন।
১৪। বেরেস্তা করার সময় পেঁয়াজ ভেজে নামানোর আগে সামান্য পানি ছিটিয়ে দিন এতে পেঁয়াজ তাড়াতাড়ি লালচে হবে।
১৫। কাঁচা মাছ বা মাংস ছুরি-চপিং বোর্ডে কাটতে চাইলে বেশ কিছুক্ষণ আগে থেকেই পানিতে ভিজিয়ে নরমাল করে নিন।
১৬। আলু ও ডিম একসঙ্গে সিদ্ধ করুন, আলাদা কাজে ব্যবহার করলেও তাড়াতাড়ি সিদ্ধ হবে।
১৭। স্যুপ রান্নার সময় পাতলা হয়ে গেলে দুটি সিদ্ধ আলু ম্যাশ করে স্যুপে মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন।
১৮। ডাল তাড়াতাড়ি রান্না করতে আগের রাতেই ভিজিয়ে রাখুন।
১৯। সহজে মসলাপাতি খুঁজে পেতে কৌটার গায়ে নাম লিখে রাখুন।
২০। আগামী দিন কী রান্না করবেন তার প্রস্তুতি রাতেই নিনতাহলে সময় বেঁচে যাবে।
২১। রান্না করার সময় অবশ্যই মাছ ও সবজির কম্বিনেশনের ব্যাপারে নজর রাখবেন।
২২। মাছ রান্না করে কাঁচা ধনিয়া পাতা থাকলে তা কুচি করে কেটে বিছিয়ে দিন, স্বাদ অনেকগুণ গুন বেড়ে যাবে।
২৩। ডালে বাগার দিতে রসুন কুচি তেলে ভেজে ডালে দিয়ে দিন।
২৪। মাংশ জাতীয় রান্না করে শেষে বেরেস্তা (পেঁয়াজ কুচি ভাজি) ছড়িয়ে দিন এতে স্বাদ বেড়ে যাবে।
২৫। ডিম সিদ্ব করতে পানিতে সামান্য লবন দিয়ে নিন এতে ডিম খেতে সুস্বাদু হবে। আর ঠান্ডা করে ডিম ছিলুন তাহলে খোসায় লেগে ডিম নষ্ট হবে না।
২৬। চুলায় হাড়ি পাতিলে ঢাকনা থাকলে তা খালি হাতে ধরবেন না।
২৭। ভর্তা বানাতে মরিচ খালি হাতে ঢলবেন না এতে হাতে জ্বলুনি হবে।
২৮। মাছ ভাঁজতে কড়াই হতে নিদিষ্ট দূরে থাকুন। মাছে পানি থাকলে কিংবা ফুটে আপনার গায়ে বা চোখে তৈল পড়তে পারে।
২৯। শুকনা মরিচ ভাজার সময় মরিচ পোড়ার ঝাঁঝে হাঁচি-কাশি রোধে রান্নাঘরের দরজা জানালা ভাল করে খুলে দিন।
৩০। ভাজিতে তেল বেশী পড়ে গেলে ভাজিগুলো কড়াই বা প্যানের এক দিকে সরিয়ে কড়াই কাত করে কিছুক্ষণ রেখে দিন। তেল ভাজি থেকে ঝরে গেলে সংরক্ষন করে অন্য রান্নায় ব্যবহার করতে পারবেন। মাংসের তরকারীতে যদি তেল বেশী হয়ে পরে তবে উপর থেকে চামচ দিয়ে তেল উঠিয়ে ভাজিতে ব্যবহার করলে ভালোই সুস্বাদু লাগে।
৩১। এলাচ সম্পুর্ণ গুড়ো করে ব্যবহার করা ভাল এতে এলাচ কামড়ে পড়ে খাওয়ার মজা নষ্ট হবে না। আবার রান্নাতেও সুগন্ধ হবে।
৩২। সবজীর রং ঠিক রাখতে পাতিল ঢেকে রান্না না করাই ভাল। আর কিছু সবজিকে সামান্য সিদ্ব করে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললে কিংবা বরফ কুঁচিতে রাখলে রান্নার পরও রং ঠিক থাকে।
৩৩। কিছু ভাজিতে কড়াইতে তেল গরম হলে যা দেবেন তার সাথে সামান্য লবণ দিয়ে দিন, তেলের ছিটকা উঠবে না।
৩৪। ডালের মজা বৃদ্ধির জন্য বেশি সময় ধরে রান্না করুন, স্বাদ বেড়ে যাবে ।
৩৫। তেলাপিয়া মাছের গন্ধ দূর করতে তেলাপিয়া মাছ হলুদ ও ভিনিগার/লেবুর রস মাখিয়ে মিনিট ১৫ রেখে রান্না করুন।
৩৬। লাল সর্ষে্র ঝাঁঝ বেশী হয়। হলুদ সর্ষে ব্যাবহার করলে তিতা হয়না। সর্ষে বাটার সময় লবন আর কাচামরিচ এক সাথে বাটলে তিতা হয়না।
৩৭। বর্ষাকালে লবণ গলে যায় তাই এক মুঠো পরিষ্কার চাল পুটলি করে বেঁধে লবণের পাত্রে রেখে দিন।
৩৮। কাঁচের গ্লাসে গরম কিছু নিতে গেলে অনেক সময় ফেটে যায় তাই গরম কিছু ঢালবার আগে গ্লাসে একটি ধাতু নির্মিত চামচ রেখে ঢাললে গ্লাস ফাটবে না।
৩৯। আলু এবং আদা বালির মধ্যে ডুবিয়ে রাখলে অনেক দিন পর্যন্ত টাটকা থাকে।
৪০। যে কোনো খাবার রেফ্রিজারেটরে রাখলে ঢাকনা দিয়ে রাখা ভালো, ফলে এক খাবারের গন্ধ আরেক খাবারে যায় না এবং রেফ্রিজারেটও গন্ধ হয় না।
৪১। শিশি বা কৌটোর মধ্যে বিস্কুট রাখার আগে সামান্য চিনি বা মোটা

(সংগৃহীত)

চিকেন হালিম রেসিপি

রেসিপি "' চিকেন হালিম "'


উপকরণ :
১. মুগ ডাল ভাজা আধা কাপ,
২. মসুর ডাল আধা কাপ,
৩. অড়হর ডাল আধা কাপ,
৪. মটর ডাল আধা কাপ,
৫. ছোলার ডাল আধা কাপ,
৬. মাষকলাই ডাল আধা কাপ,
৭. পোলাও চাল আধা কাপ,
৮. লবণ স্বাদমতো।




প্রণালি :
সব উপকরণ ভালোভাবে ধুয়ে হলুদ ১ চা-চামচ ও মরিচ গুঁড়া ১ টেবিল-চামচ, 

লবণ দিয়ে সেদ্ধ দিতে হবে। সেদ্ধ হলে ভালোমতো ঘুঁটে নিন।

মাংস রান্না :
উপকরণ :
১. চিকেন ১টি ছোট ছোট করে কাটা,
২. হলুদ আধা চা-চামচ,
৩. মরিচ ১ চা-চামচ,
৪. জিরা ১ চা-চামচ,
৫. আদা ১ টেবিল-চামচ,
৬. রসুন আধা চা-চামচ,
৭. গরমমসলা ৩/৪টি করে,
৮. তেল ১ কাপ,
৯. লবণ স্বাদমতো,
১০. পেঁয়াজ ১ কাপ।


প্রণালি :
পাত্রে সব মাখিয়ে মাংস ভালোমতো কষিয়ে রান্না করুন। এবার সেদ্ধ করে রাখা ডাল মাংসের হাঁড়িতে আবার ১৫/২০ মিনিট রান্না করুন।

উপকরণ :
১. পেঁয়াজ বেরেস্তা আধা কাপ,
২. আদা কুচি ১ টেবিল-চামচ,
৩. ধনিয়াপাতা ২ টেবিল-চামচ,
৪. লেবু পরিমাণমতো,
৫. জিরা গুঁড়া ১ টেবিল-চামচ।


পরিবেশন :
বাটিতে হালিম নিয়ে উল্লিখিত উপকরণগুলো দিয়ে পরিবেশন করুন।

সংগ্রহীত
রেসিপি : মাসুমা আলী রেখা, ছবি: তানভীর খান, ক্যানভাস

ত্বকের যত্নে মসুর ডাল



মুখের কালচে ভাব দূর করতে 
মসুর ডালকে রাতে দুধের মধ্যে ভিজিয়ে রাখুন। সকাল বেলায় ডালটা পিষে মুখে লাগান। রোজ যদি মুখে এই প্যাকটা লাগান আপনার চেহারায় কালো ভাবটা দূর হয়ে যাবে। তবে মনে রাখবেন, ডালটা রোজ তাজা তাজা পিষতে হবে আর কাঁচা দুধ ব্যবহার করবেন।

ত্বক সতেজ করতে
মসুরির ডাল পিষে তার মধ্যে মধু এবং দই মিশিয়ে মুখে লাগান। ২০ মিনিট পর হালকা ম্যাসাজ করে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার ত্বক সতেজ হবে।

মুখে বা পিঠের দাগ দূর করতে 
যদি মুখে বা পিঠে দাগ হয়, তাহলে মসুরির ডালের সাথে পোলাও চাল মিশিয়ে পেস্ট করুন। এর সাথে চন্দন পাউডার, মুলতানী মাটি, কমলা লেবুর শুকনো গুঁড়ো মিশিয়ে পেস্ট তৈরী করুন। ৪ চামচ শশার রসও দিন। মুখে এবং শরীরের নানা স্থানে ঐ পেস্টটা লাগান। শুকিয়ে যাওয়ার পরে ধুয়ে ফেলুন।

হাতের কনুইর রুক্ষভাব কমাতে এবং কালো দাগ দূর করতে 
দুধে মসুর ডাল ভিজিয়ে বাটুন। মসুর ডাল বাটা, হলুদ বাটা, পালংশাক বাটা, টমেটোর রস, সূর্যমুখীর তেল একসঙ্গে মিশিয়ে কনুইয়ে লাগান। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন।

রোদে পোড়া দাগ দূর করতে 
রোদেপোড়া দাগ কমাতে মসুর ডালবাটা, কাঁচা হলুদবাটা ও মধু একসাথে মিশিয়ে ত্বকে লাগান।

বলিরেখা দূর করতে 
বলিরেখা দূর করতে কাঁচা হলুদের সাথে মসুর ডাল বাটা দুধের সর মিশিয়ে মুখে মাখুন ফেস প্যাক হিসাবে। নিয়মিত লাগালে অবশ্যই দারুন উপকার পাবেন।

সাধারণ ত্বকের জন্য হলুদের ফেইসপ্যাক


যাদের ত্বক সাধারণ তারা এই সময় একটু বেশি সমস্যায় পড়ে থাকেন। কারন যত্ন না নিলে দ্রুত ত্বক ফেটে যায় এবং ত্বক রোদের সংস্পর্শে আসলেই পুড়ে যায়। এই সময়ে ত্বকের যত্ন নিতে ব্যবহার করুন এই ফেইসপ্যাকটি।
একটি বাটিতে ৩ চা চামচ চালের গুড়ো, ১ চিমটি হলুদ গুড়ো, ১ চা চামচ মধু এবং পেস্ট তৈরি করতে প্রয়োজনীয় শসার রস দিন। এরপর এটি খুব ভালো করে মিশিয়ে মসৃণ পেস্টের মত তৈরি করে ত্বকে লাগান। শুকিয়ে উঠলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে আলতো ঘষে তুলে ফেলুন। ভালো ফলের জন্য সপ্তাহে ২ বার ব্যবহার করুন এই ফেইসপ্যাকটি।

মুখের কালো দাগ দূর করতে রাতে ঘুমানোর আগে টিপস

কী ব্যবহার করবেন?

মুখের দাগ দূর করতে আমরা ব্যবহার করবো লেবু। একটু লক্ষ্য করলেই দেখবেন যে সকল অ্যান্টি স্পট ফেয়ারনেস ক্রিম লেবুর কথা বলে। কারণ একটাই, লেবু প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসাবে কাজ করে। তবে লেবু এই রূপচর্চাটি কেবল রাতের বেলায় করতে হবে এই কারণে যে সূর্যের আলো আপনার ত্বকে রিঅ্যাকশন করতে পারে। রাতের বেলায় রূপচর্চাটি করলে সূর্যের আলো বা গরমে ত্বকের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই এবং ত্বক সম্পূর্ণ ৮-১০ ঘণ্টা পাচ্ছে দাগ দূর করার জন্য।

কী করবেন?

দুটি পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন আপনি। যদি আপনার ত্বক হয়ে থাকে স্বাভাবিক, তাহলে মাত্র ৫ মিনিটের একটি কাজ করতে হবে আপনাকে। যদি শুষ্ক বা সেনসিটিভ হয়ে থাকে, তাহলে সময় লাগবে ৩০ মিনিট।
  • -মুখ খুব ভালো করে পরিষ্কার করে নিন। ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে তোয়ালে দিয়ে মুছে নিন।
  • -যদি স্বাভাবিক বা তৈলাক্ত ত্বক হয়, তাহলে তাজা পাকা লেবুর রস (যে লেবু পেকে হলদে হয়ে গেছে, অর্থাৎ লেমন) সরাসরি মুখের কালো দাগে লাগিয়ে নিন। লেবুর রসের সাথে সামান্য মধুও মিশিয়ে নিতে পারেন। তারপর শুকাতে দিন। এবং লেবুর রস মুখে নিয়েই ঘুমিয়ে যান। স্বাভাবিক বা তৈলাক্ত ত্বকে কোন সমস্যা হবে না। সকালে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ মুছে নিন।
  • -আর যদি শুষ্ক বা সেনসিটিভ ত্বক হয়, তাহলে পাকা লেবুর রসের সাথে মুলতানি মাটি ও মধু মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ ধোয়া মুখে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রাখুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের কালো দাগ মিলিয়ে যাবে।
টিপস-
ত্বকে লেবুর রস দেয়ার পর যদি কোন রকম অস্বস্তি অনুভব করেন, তাহলে অবিলম্বে মুখে ধুয়ে ফেলুন এবং পুনরায় ব্যবহার করবেন না।

চুলের আগার রুক্ষতা রোধে হেয়ার নারেশিং বাম

চুলের আগার রুক্ষতা রোধে হেয়ার নারেশিং বাম-
যা যা লাগবে
  • ৬০ গ্রাম শেই বাটার
  • ৩০ গ্রাম কোকো বাটার
  • ৩০ গ্রাম নারকেল তেল
  • ২০জজবা অয়েল
  • ২০গ্রাম ক্যামেলিয়া সিড অয়েল
  • ৩ গ্রাম ক্যাস্টর অয়েল
  • ১২ গ্রাম আখরোট তেল
  • ২২ গ্রাম প্রাকৃতিক মোম
  • ১ গ্রাম ভিটামিন ই
  • ল্যাভেন্ডার, লেমনগ্রাস এবং রোজমেরী এসেনশিয়াল অয়েল (৩:২:১ অনুপাতে)
এই উপাদানগুলো যেকোনো  মেগাশপে পেয়ে যাবেন।
যেভাবে তৈরি করবেন
  • একটি প্যানে এসেনশিয়াল অয়েল বাদে সব উপকরণ নিয়ে চুলায় দিন। চুলার আঁচ মিডিয়াম রাখুন।  একটি চামচ দিয়ে উপকরণগুলো নাড়তে থাকুন। সব উপকরণ একসাথে ভালোভাবে মিশে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে নিন।
  • কাচ বা টিনের কৌটায় ঢেলে রাখার আগে এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিন।  এবার গরম গরম মিশ্রণটিকে সেট হবার জন্য রেফ্রিজারেটরে রাখতে হবে। এবার আপনার নিজের হাতে তৈরি করা হেয়ার বাম তৈরি ব্যবহার করার জন্য।
ব্যবহার করবেন যেভাবে
– আপনার চুলের আগা খুব বেশি রুক্ষ হলে প্রতিদিন ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া সপ্তাহে ৩/৪ দিন লাগাতে পারেন।
– অল্প পরিমাণে হেয়ার বাম আঙ্গুলে নিন। তারপর দুই হাতে দুই আঙ্গুলে মেখে নিইয়ে আস্তে আস্তে চেপে চেপে চুলের আগায় লাগিয়ে নিবেন।
– হালকা ভেজা চুলে হেয়ার বাম লাগালে খুব তাড়াতাড়ি চুল শুষে নিবে।  চুলে অতিরিক্ত তৈলাক্তভাব থাকবে না।যদি চুলে তেল চিটচিটে হয়ে যায় তবে বুঝতে হবে আপনি বেশি পরিমাণে বাম চুলে লাগিয়ে ফেলেছেন।
মনে রাখবে বাড়িতে তৈরি এই হেয়ার নারেশিং বাম ১ মাস রেখে ব্যবহার করতে পারবেন।নিয়মিত ব্যবহারে চুলের আগায় রুক্ষতা ১০০ ভাগ দূর হবে এমন নয়। তবে চুলের আগায় আগের থেকে কোমলতা আসবে। সবাই সুস্থ এবং সুন্দর থাকুন।

শ্যাম্পুর পর ঝলমলে সুন্দর চুল পেতে

চায়ের লিকার থেরাপি –
ঝলমলে চুলের জন্য দারুণ কাজ করে চায়ের লিকার। চুল যেমনি হোক না কেন তৈলাক্ত, শুষ্ক বা স্বাভাবিক- এই চায়ের লিকার মানিয়ে যাবে খুব সহজে।
এটা তৈরির জন্য দুই কাপ পানি নিন। তার মাঝে ৬ টেবিল চামচ ফ্রেশ চা পাতা দিন। এটাকে এখন অল্প আঁচে চুলায় ফুটতে দিন। ফুটে ফুটে লিকার ঘন হবে। এবং দুই কাপ পানি কমে এক কাপের কম হলে বুঝবেন যে রেডি। এখন এটাকে ঠাণ্ডা করে ছেঁকে নিন। শ্যাম্পু করার পর ভেজা চুলে এই মিশ্রণ মাখুন। ৫ মিনিট পর সাধারণ পানিতে ধুয়ে ফেলুন।

ভিনেগারে চুলের চমক –
শ্যাম্পু করে ফেলছেন? এবার ভিনেগার মেশানো পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন চুল। আধা কাপ ভিনেগার এক মগ পানিতে মিশিয়ে নিন। তারপর সেটা দিয়ে ধুয়ে ফেলুন শ্যাম্পু করা চুল। ৫ মিনিট পর আবার একটু স্বাভাবিক পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। শুকিয়ে নিলেই পাবেন ঝলমলে চুল।

বেকিং সোডায় উজ্জ্বল চুল –
নিস্প্রান চুলকে ঝলমলে করে তুলতে বেকিং সোডার কোন বিকল্প নেই। এ কাপ হালকা গরম পানির মাঝে ১ টেবিল চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন। শ্যাম্পু করা ভেজা চুলে এই মিশ্রণ লাগান। ৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এবার চুলের চমক দেখে নিজেই অবাক হয়ে যাবেন!

প্রাকৃতিক উপায়ে ব্রণের গর্ত নির্মূল করুন

০১. ভিটামিন ই তেলঃ
ব্রনের গর্তের দাগ সারানোর জন্য সবচেয়ে সহজ ও কার্যকর সমাধান হচ্ছে ভিটামিন ই তেল। এটি ব্রণের গর্তে যাদুর মত কাজ করে। প্রতিদিন অল্প পরিমাণে ভিটামিন ই তেলের ব্যবহারে আপনার মুখমন্ডল হয়ে উঠবে দাগহীন,উজ্জ্বল। এটি ব্রণের কালো দাগ সারাতেও সাহায্য করে। ভিটামিন ই তেল বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। আর না পেলে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করুন। প্রথমে সমস্ত মুখ মন্ডল তেল মুক্ত ফেস ওয়াস দিয়ে পরিষ্কার করে নিন । আরপর একটা পরিষ্কার পিন বা সূঁচ এর সাহায্যে ক্যাপসুলটি ফুটো করে তেল নিঃসরন করুন।  তারপর পরিষ্কার হাত দিয়ে মুখে লাগিয়ে নিন। খুব বেশি তৈলাক্ত ত্বক হলে লাগানোর আধ ঘণ্টা পর টিস্যু পেপার দিয়ে অতিরিক্ত তেল চেপে চেপে তুলে নিন। নয়ত সারা রাত লাগিয়ে রাখতে পারেন। সমস্যা খুব বেশি না হলে সপ্তাহে ২-৩ বার এভাবে করুন।

০২. লেবুঃ
লেবু সাইট্রিক এসিদের খুব ভাল উৎস। সাইট্রাস এসিড স্কার সারাতে অনবদ্য। কয়েক গ্লাস লেবুর শরবত পান করলে তার সাইট্রিক উপাদান আপনার দেহের ভেতর থেকে মরা কোষ সারিয়ে ত্বকের রঙ হালকা করতে সাহায্য করে। একটি মাঝারি আকারের লেবুর রস সমপরিমাণ পানির সাথে মিশিয়ে মুখে ঘষুনএতে গর্তের দাগ হালকা হবে। সময়ের সাথে সাথে আপনি পাবেন দাগ মুক্ত ত্বক।

০৩. অ্যালোভেরা জেলঃ
অ্যালোভেরা জেল প্রকৃতির আশীর্বাদ স্বরূপ। এই একটা উপাদান ত্বকের নানা রকম সমস্যা থেকে মু্ক্তি দেয়। টাটকা অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করুন । এখন বিভিন্ন সুপার শপ গুলোতে অ্যালোভেরা পাওয়া যায়। সেখান থেকে কাঁচা অ্যালোভেরা কিনে জেল বের করে নিতে হবে। বাইরে থেকে কিনতে না চাইলে নিজের টবেও লাগাতে পারেন  অ্যালোভেরা। প্রথমেই একটি আস্ত অ্যালোভেরা নিয়ে সেটিকে ছুঁরির সাহায্যে যে কোন এক দিক থেকে কাটুন। কাটলেই দেখবেন ভেতরে স্বচছ্ব  জ়েলীর মত উপাদান, এটি ব্যবহার করুন। দিনে যতবার ইচ্ছা ব্যবহার করতে পারেন। এটি আপনাকে দেবে বিরক্তিকর ব্রণের গর্তের দাগ থেকে মুক্তি।

০৪. টমেটোঃ
টমেটোতে আছে ভিটামিন এ; যা সেবামের অতিরিক্ত ক্রীয়া বন্ধ করতে সক্রিয় ভূ্মিকা রাখে এবং ব্রণ ও ব্রণের দাগ দুটোই সারিয়ে তোলে। তাছাড়া এতে আছে প্রচুর পরিমাণে এন্টি-অক্সিডেন্ট, যা ত্বকের ক্ষয়-ক্ষতি সারিয়ে তুলতেও সাহায্য করে। মাঝারি আকারের টাটকা  টমেটো নিন। একে সমান ২ ভাগে ভাগ করুন। এবার দুই গালে প্রথমে ঘড়ির কাঁটার দিকে এবং তারপর ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে ম্যাসাজ করুন। এতে যেমন গর্তের দাগ হালকা হবে, তদুপুরি রোদে পোড়া ভাব-ও কমবে। তাছাড়া এটি অনেক ভালো মেক-আপ রিমুভারের কাজ-ও করে থাকে ।

০৫. অলিভ ওয়েলঃ
অলিভ ওয়েল একটি জাদুকরী উপাদান। এটি শুধু খাদ্যদ্রব্যই সুস্বাদু করে না, এটি ত্বক পরিচর্যায় ও কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এক্সট্রা ভারজিন অলিভ ওয়েল দ্রুত ব্রনের গর্ত সারাতে সাহায্য করে। অলিভ ওয়েলের ময়েশ্চারাইজিং গুণাগুণের কারণে এটি দ্রুত ত্বকের সাথে মিশে যায় এবং গর্ত সারাতে সাহায্য করে। অল্প পরিমাণে অলিভ ওয়েল নিয়ে মুখ মন্ডলে মালিশ করুন এবং ভালো ফল পেতে ঘুমুতে যাওয়ার আগে ব্যবহার করুন ।

০৬. মধুঃ
মধু একটি পরিচিত প্রাকৃতিক প্রসাধনী। প্রাচীন কাল থেকেই রূপচর্চার জন্য মধুর ব্যবহার প্রচলিত। মধুর মিষ্টতা খাবার হিসাবেও খুব ভালো। ফ্যাট কম থাকায় এটি আপনাকে ফিট থাকতে যেমন সাহায্য করে তেমনি নিয়মিত ব্যবহারে সারিয়ে তোলে ব্রণের গর্তের দাগ।

০৭. বরফ কুচিঃ
বরফ কুচির ব্যবহারে ব্রণের গর্ত হালকা হওয়াটা অনেকটা পরীক্ষীত। অনেকেই আছে ঘরে বসে স্কার সারানোর জন্য বরফ কুচি ব্যবহার করে থাকেন। পাতলা কাপড় বা তুলোতে একটা বরফের টু্করো নিয়ে গর্তের জায়গায় ১৫-২০ মিনিট ঘষে লাগান। এতে ত্বকে আরামদায়ক অনুভুতির পাশাপাশি সারিয়ে দেবে গর্তের দাগ।

০৮. ফেস প্যাকঃ
ব্রণের গর্ত সারাতে আপনার ফেস প্যাকে মেশান বেসন, টকদই ও শশার রস। এটি আপনার ত্বককে রাখবে দাগহীন, উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত।
ব্রণ ও ব্রণের গর্ত সারাতে সবার আগে খেয়াল রাখতে হবে খাওয়া দাওয়া এবং জীবন যাত্রা যেন সুস্থ ও পরিকল্পিত হয়। সঠিক ঘুম, খাওয়া  ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাই পারে ব্রণ মুক্ত রাখতে। এতে ত্বকের অন্য্যন্য সমস্যা থেকেও পরিত্রাণ মেলে।

ঘরে বসেই করুন গোল্ড ফেসিয়াল

ত্বকের পুরনো লাবণ্য, উজ্জ্ব্বলতা ফিরিয়ে আনতে গোল্ড ফেসিয়ালের জুড়ি নেই। ত্বকে লুকিয়ে থাকা ধূলো ময়লা, বিষাক্ত পদার্থ বের করে আনার ক্ষমতা সোনার অসীম। নতুন কোষ জন্মানোর জন্য সোনার অবদান অনেক। ৩৫ এর উপরে বয়স হলে এই ফেসিয়াল করলে যৌবনের সেই নরম তুলতুলে ত্বক ফিরে । এবার জেনে নিন কিভাবে ঘরে বসেই করবেন এই ফেসিয়াল।

একটি গোল্ড ফেসিয়াল কিটে থাকে গোল্ড ক্লিনজার, গোল্ড ফেসিয়াল স্ক্রাব, গোল্ড ফেসিয়াল ক্রিম বা জেল, গোল্ড ফেসিয়াল মাস্ক।

– প্রথমে গাঁদা ফুলের নির্যাস থেকে তৈরি গোল্ড ক্লিনজার দিয়ে মুখ ক্লিন করুন তারপর গোল্ড ফেসিয়াল স্ক্রাব দিয়ে মুখের সব মরা কোষ দূর করুন। ৩০ সেকেন্ড ধরে সার্কুলার মুভমেন্টে স্ক্রাব করুন। তারপর উষ্ণ গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

-এবার গোল্ড ক্রিম দিয়ে মুখ ম্যাসাজের পালা। এতে আছে গোল্ড ফয়েল, গোল্ড পাউডার, মধু, স্যাফ্রন, এলোভেরা আর চন্দন। যা আপনার ত্বকে বুলিয়ে দেবে কোমল পরশের ছোঁয়া। হালকা হাতে ১০ মিনিট ম্যাসাজ করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

-এবার ধীরে ধীরে গোল্ড ফেসিয়াল মাস্ক পুরো মুখে লাগিয়ে নিন। আর অপেক্ষা করুন মাস্ক শুকানো পর্যন্ত। তারপর ভেজা কটন প্যাড দিয়ে মাস্ক তুলে ফেলুন। মাস্কে বিদ্যমান হলুদ, গোল্ড ফয়েল, আর এলোভেরা আপনার ত্বকে এনে দেবে সোনালি আভা। এই ফেসিয়াল করার পর ৩০% পর্যন্ত পরিবর্তন দেখতে পাবেন।

বাড়িতেই হোক হারবাল ফেসিয়াল

যা যা লাগবে
হারবাল ক্লিনজিং মিল্ক, ফেসিয়াল স্ক্রাব, টোনার, ময়েশ্চারাইজার, আপনার ত্বকের ধরণ অনুযায়ী প্যাক তৈরির উপাদান।

১ম ধাপ
ফেসিয়াল করার শুরুতে মুখ পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে হবে। এবার একটা ভেজা নরম তোয়ালে রুমাল দিয়ে মুখটা মুছে ফেলুন। এরপর যে কোনও হারবাল ক্লিনজিং মিল্ক পানির সঙ্গে মিশিয়ে মুখে ৫ মিনিট ম্যাসাজ করুন। ম্যাসাজ করার সময় উভয় হাতের চার আঙুলের সাহায্যে নিচ থেকে উপরের দিকে ঘষতে হবে। কপাল, থুতনি ও ঠোঁটের উপরে করতে হয় দুই আঙুলের সাহায্যে। এরপর ভেজা তোয়ালে দিয়ে মুখটা মুছে নিন।

২য় ধাপ
উষ্ণ গরম পানি দিয়ে মুখ ভিজিয়ে নিন। এরপর সমস্ত মুখে ফেসিয়াল স্ক্রাব ম্যাসাজ করুন। এতে ত্বকের মরা কোষ ঝরে যাবে এবং ত্বক মসৃণ ও নরম হবে।

৩য় ধাপ
একটি গামলায় ফুটন্ত পানি নিন। মাথায় তোয়ালে পেঁচিয়ে গামলা থেকে পানির বাষ্প মুখে লাগতে দিন। এভাবে পাঁচ মিনিট থাকতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে ত্বক যদি সেনসেটিভ হয়, ত্বকে ব্রণ বা অন্য কোনো দাগ থাকে তবে এই ধাপটি বাদ দিন।

৪র্থ ধাপ
এবার মুখ মুছে ত্বকের ধরন অনুযায়ী প্যাক লাগাতে হবে। সেক্ষেত্রে-
* তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ব্যবহার করতে পারেন চন্দনের প্যাক। তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে আধা চামচ লেবুর রস, পাকা পেঁপে এবং ডিমের সাদা অংশ মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করে ব্যবহার করুন।
* শুষ্ক ত্বকের জন্য আধা কাপ কলা ও মধু মিশিয়ে ব্যবহার করুন, এতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।
* মিশ্র ত্বক গোলাপ ফুলের পাপড়ির পেস্ট, গোলাপজল, টক দই ও মধু দিয়ে একটি প্যাক তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন। প্যাক শুকিয়ে গেলে মুখ ভালোভাবে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
* ত্বকে রোদে পোড়া দাগ হলে পাকা টমেটোর রস লাগান। পাকা টমেটো প্রাকৃতিক ব্লিচের কাজ করে।

৫ম ধাপ
এক টুকরো তুলোয় টোনার নিয়ে মুখে ও ঘাড়ে লাগান। বাজারে কেনা টোনার না থাকলে শসার রস বা আলুর রস টোনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। তবে চোখের চারপাশে টোনার লাগাবেন না।

৬ষ্ট ধাপ
সব শেষে মুখে লাগান ময়েশ্চারাইজার। মুখটা একটু ভেজা থাকতেই দু’হাতে ময়েশ্চারাইজার লোশন নিয়ে আলতো হাতে লাগান। মুখের যেসব জায়গা বেশি শুষ্ক সে জায়গাগুলোতে দু’বার করে ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে। এতে দীর্ঘ সময়
ত্বক আর্দ্র থাকবে।
প্রাকৃতিক উপাদানের ব্যবহার বেশি হওয়াই ঘরোয়া ফেসিয়াল ঘন ঘন করালেও সমস্যা নেই। তবে সপ্তাহে একবারের বেশি ফেসিয়াল করা ঠিক নয়।

ত্বকের যত্নে চন্দন


# বলি রেখা দূর করে
চন্দন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান সমূহের সমন্বয়ে গঠিত যা আপনার মুখের রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। এর বিরোধী প্রদাহজনক এজেন্ট আছে, যা বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে। চন্দন একটি চমৎকার anti-aging উৎস হিসেবে পরিচিত।

# রোদে পোড়া দাগ দূর করে
রোদে পোড়া ভাব দূর করতে চন্দন বেশ উপকারী। শসার রস, চন্দনের গুঁড়ো, দই ও গোলাপ জল একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে রোদে পোড়া ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। ২০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলুন। এই ফেস প্যাক রোদে পোড়া ভাব কমাবে এবং রোদের পোড়ার কারণে ত্বক জ্বলা কমাবে।

# ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে চন্দনের জুড়ি নেই। মসৃণ ও উজ্জ্বল ত্বকের জন্য হলুদ বাটা ও চন্দনের গুঁড়ো মিশিয়ে লাগান। ২০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের রঙ উজ্জ্বল হবে।

# ডার্ক সার্কেল দূর করে
আপনার যদি ডার্ক সার্কেল থাকে তাহলে অল্প পরিমাণ চন্দনের গুড়ার সঙ্গে গোলাপ জল মিশিয়ে চোখের চারপাশে লাগান। সারারাত রেখে সকালে ধুয়ে ফেলুন। এক সপ্তাহের মধ্যে চোখের চারপাশের কালো দাগ দূর হোয়ে যাবে।

# মুখের দাগ দূর করে
ডিমের কুসুম, মধু ও চন্দন গুঁড়া একসঙ্গে মিক্সড করে লাগালে মুখের দাগ দূর হয়। প্রতিদিন দুই চা চামচ চন্দনের গুঁড়ো ও গোলাপ জল মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। এবার এই প্যাক মুখে লাগিয়ে নিয়ে ১৫ মিনিট রাখুন। এভাবে প্রতিদিন রাখলে মুখের দাগ দূর হবে ও ত্বক উজ্জ্বল হবে।

# উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায়
উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে ১চা চামচ সাদা চন্দন কাঠের পেস্ট নিয়ে, আধা কাপ দুধের সাথে ভালভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। আবার এই চন্দনযুক্ত দুধ খালিপেটে পান করুন। এরপর ৭-৮টি তুলসী পাতা চিবিয়ে নিন। কিছু সময়ের মধ্যেই রক্তচাপ কমে আসবে। ব্রঙ্কাইটিস রোগের ক্ষেত্রেও এই পদ্ধতিটি অবলম্বন করলে উপকার পায়া যাবে

স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্যে ৯টি ভেষজ টিপস

লবণ :

লবণ ছাড়া রান্নার কথা যেন কল্পনাও করা যায় না। খাবার হিসেবে লবণ শরীরের জন্য যেমন উপকারী, অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ তেমনি ক্ষতিকরও বটে! তবে লবণ খাবারে যে স্বাদ যোগ করে, তা অন্য কিছু করতে পারে না। রান্নাঘরের এই উপকরণটি ছোটখাট দুর্ঘটনার চিকিত্‍সাতেও খুবই ভালো ফল দেয়। জেনে নিন লবণ দিয়ে ঘরোয়া কিছু চিকিত্‍সার কথা –
  • ১)রান্না করতে গিয়ে আগুনের বা গরম পানির আঁচ লেগেছে? আক্রান্ত স্থানে সাথে সাথে লবণ লাগিয়ে নিন। জ্বলুনি কমে যাবে এবং ফোসকাও পড়বে না।
  • ২)মাছ কাটতে গেলে অনেক সময় হাতে কাঁটা বিঁধে যাওয়ায় তীব্র যন্ত্রণা হয়। কাঁটা বেঁধা জায়গায় লবণ ঘষে দিন। অথবা পানিতে লবণ গুলে আক্রান্ত স্থান তাতে ডুবিয়ে রাখুন। ব্যথা দ্রুত কমে যাবে।
  • ৩)অল্প দাঁতব্যথা হলে রাতে ঘুমোবার আগে দাঁত ব্রাশ করে এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে কুলি করুন। তারপর আর কিছু মুখে দেবেন না, এমনকি পানিও নয়। পরপর তিনদিন করবেন এভাবে। দেখবেন, দাঁতব্যথা দূর হয়ে গেছে। গলাব্যথাতেও লবণ-পানি সমান উপকারী। উষ্ণ গরম পানিতে সামান্য লবণ মিশিয়ে গড়গড়া করুন, আরাম পাবেন।

আলু :

আলু অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি সবজি। আলু ভর্তা থেকে শুরু করে ভাজি, আলুর ডাল, ঝোল তরকারি সবই উপাদেয়। এই আলুও কিন্তু উপকারে আসতে পারে ঘরোয়া চিকিত্‍সার কাজে।
  • ৪)গরম পানি, তরকারি, ভাতের মাড়, ডাল শরীরের কোনো জায়গায় পড়লে প্রথমে সেখানটা ঠান্ডা পানির ধারার নিচে (রানিং ওয়াটার) ধরে রাখুন কিছুক্ষণ। তারপর কাঁচা আলু থেঁতো করে নিয়ে পুরু করে লাগান। এতে জ্বলুনি কমবে এবং ফোসকাও পড়বে না।
  • ৫)চুলপড়া রোধ করতে, নতুন চুল গজাতে এবং খুশকি দূর করতে কাঁচা আলু সহায়তা করে। কাঁচা আলু থেঁতো করে তার রস চুলের গোড়ায় লাগান সপ্তাহে ২-৩ বার। এর নিয়মিত ব্যবহার চুলপড়া কমে যাবে ও নতুন চুল গজাবে। চুল থাকবে খুশকিমুক্ত ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল।
  • ৬)চোখের ক্লান্তি দূর করতে কাঁচা আলুর তুলনা নেই। আলুর রস চোখের নিচের কালো দাগও দূর করে। কাঁচা আলু থেঁতলে নিয়ে চোখের ওপর রাখুন ১০-১২ মিনিট। নিয়মিত ব্যবহারে চোখের চারপাশের কালো দাগ দূর হয়ে যাবে ও চোখের ক্লান্তি দূর হবে।
  • ৭)ত্বকের সমস্যা দূর করতেও আলুর তুলনা নেই। বিশেষ করে খোসপাঁচড়া ও মেচতা। আলুর রস করে নিয়ে আক্রান্ত জায়গায় তুলো দিয়ে প্রতিদিন লাগান। খুব দ্রুত ফল পাবেন।

রসুন :

রসুন রান্নায় ব্যবহৃত অন্যমত মসলাগুলোর মধ্যে একটি। রসুনের রয়েছে অনেক গুণাগুণ। কিছু সমস্যা দূরীকরণে রসুনের আছে অতুলনীয় ভূমিকা।
  • ৮)অনেক সময় তেলাপোকা বাচ্চাদের এমনকি বড়দেরও মাথার এবং ভ্রূ’র চুল খেয়ে ফেলে। পরে ওই জায়গাটা তেলতেলে হয় এবং চুল গজায় না বলে বিশ্রী দেখায়। আক্রান্ত স্থানে রসুন বেটে পুরু করে লাগিয়ে রাখুন। এভাবে পরপর ১০-১২ দিন লাগান। আবার নতুন চুল গজাবে।

আদাঃ

আদা আরেকটি অনন্য উপাদান প্রকৃতির। এর আছে হাজারো স্বাস্থ্য উপকারিতা।
  • ৯)অ্যাসিডিটির সমস্যা হলে অনেক সময় গা গোলায় ও বমিভাব হয়। এ সমস্যাগুলো থেকে রেহাই পেতে কয়েক টুকরো আদা চিবিয়ে খান। দ্রুত আরাম পাবেন। গ্যাসের সমস্যা খুব বেশি হলে বা হজমে গন্ডগোল দেখা দিলে অল্প একটু আদা থেঁতো ও লবণ এক কাপ উষ্ণ পানিতে মিশিয়ে খান।

সন্তান জন্মের পর কিভাবে ঝুলে পড়া ত্বকের উপশম করবেন

পানি পান করা বাড়িয়ে দিন

পানি আপনার শরীরের সাথে সাথে ত্বকের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। ঝুলে পড়া ত্বকের প্রতিবিধানে, একটি সহজ ও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিকার হল পানি পান করা বাড়িয়ে দেওয়া। শরীর থেকে টক্সিন পদার্থকে দূর করতে ও ত্বককে মজবুত করার জন্য পানি একটি অত্যাবশ্যক উপাদান। প্রচুর পরিমাণে পানি খেলে তা শরীরের অতিরিক্ত কিছু ক্যালোরিকে বার্ন করতে সাহায্য করে আর এইভাবেই আপনার ত্বককেও উজ্জ্বল ও দৃঢ় রাখে।

বেশি পরিমাণে প্রোটিন খান

বেশি পরিমাণে প্রোটিন খেলে তা শরীরে প্রয়োজনীয় পেশির বৃদ্ধিতে সাহায্য করার মাধ্যমে ত্বকের স্থত্তিস্থাপকতাকে উন্নত করতেও সাহায্য করে। সাধারণভাবে বলতে গেলে, প্রোটিনে কোলাজেন রয়েছে, যা ত্বককে দৃঢ় করতে ও এর গঠনবিন্যাসকে উন্নত করতে সাহায্য করে।

ত্বককে এক্সফলিয়েট করুন

ত্বককে মজবুত ও অনেক সময় ধরে দৃঢ় রাখার একটি সহজ উপায় হল, ত্বককে এক্সফলিয়েট (ঘষে ওপরের মৃত কোষের পরত তুলে ফেলা) করা। মহিলারা পেট এবং স্তনের অংশে ঝুলে পড়া ত্বকের সমস্যার সম্মুখীন হয়, যার কিনা প্রতিকারের সহজ উপায়, একটি স্ক্রাবের সাহায্যে ঐ নির্দিষ্ট জায়গা এক্সফলিয়েট করা। স্ক্রাবিং শুধুমাত্র মৃত কোষ দূর করতেই সাহায্য করে না, বরং ঐ নির্দিষ্ট অঞ্চলে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দিতে সহায়ক হয়। আর এইবভাবেই ত্বকের ঝুলে পড়াও প্রতিরোধ করে।

ত্বকের ঝুলে পড়ার উপশমে ব্যায়াম সাহায্য করে

নিস্তেজ ও ঝুলে পড়া ত্বকের প্রতিকারে আপনাকে নিয়িমিত ব্যায়াম করতে হবে। স্বাস্থ্যকর ও উজ্জ্বল ত্বক পেতে, যোগা ও কিছুক্ষণের হাঁটাও আপনাকে সাহায্য করবে। সদ্য শিশুর জন্ম দিয়েছেন এমন মহিলাদের কমপক্ষে ১ বছরের জন্য জিম জয়েন করা উচিৎ না, কারণ এটা তার শরীরের সাথে সাথে ত্বকের পক্ষেও ক্ষতিকর প্রমাণিত হতে পারে। তারচেয়ে আপনি ঘরেই কিছু অ্যারোবেটিক বা কার্ডিয়ো এক্সারসাইজ করতে পারেন। এছাড়াও মাত্র ৩০ মিনিটের যোগা বা ব্রিদিং এক্সারসাইজ, শরীরে রক্ত সঞ্চালন উদ্দীপিত করতে যথেষ্ট। নিয়মিত ব্যায়াম, শরীরকে নতুন কোষ দিয়ে পুরানো কোষকে প্রতিস্থাপন করার সুযোগ করে দেয়। সেইসব ব্যায়ামে মনযোগ দিন যেগুলি আপনার পেটের পেশিগুলিতে দৃঢ়তা আনবে।

আপনার স্তনপান করানো উচিৎ

বেশিরভাগ মহিলারাই মনে করেন যে শিশুকে স্তনপান করালে, ত্বক শিথিল হয়ে পড়ে ও ঝুলে যায় কিন্তু সত্যিটা হল, নিস্তেজ, শিথিল ও ঝুলে পড়া ত্বকের মোকাবিলা করতে আপনাকে আপনার শিশুকে স্তনপান করানো উচিৎ।

লোশন দিয়ে মাসাজ করুন

ভিটামিন-ই, সি ও কে সমৃদ্ধ বেবি ক্রিমের ব্যবহার ঝুলে পরা ত্বকের উপাচার করতে সাহায্য করে। আপনার পেট বা ত্বকের যে জায়গাগুলিতে আপনি ঝুলে পড়া ত্বক দেখবেন, সেইসব জায়গায় ঐ ভিটামিন সমৃদ্ধ ক্রিম মাসাজ করুন। যখন আপনি এই ধরণের লোশন দিয়ে ত্বক মাসাজ করেন তখন তা আপনার শরীরে রক্তের সঞ্চালন বাড়িয়ে তোলে আর এইভাবেই আপনার ত্বককেও দৃঢ় করে তোলে। শিথিল অংশগুলিকে দিনে ১ থেকে ২ বার মালিশ করার চেষ্টা করুন।

স্ট্রেংথ ট্রেনিং

আপনার নিয়মিত ব্যায়ামের মধ্যে স্ট্রেংথ ট্রেনিং-কেও অন্তর্ভূক্ত করতে হবে, যেহেতু এটি আপনার ত্বককে দৃঢ় করার সাথে সাথে ত্বকের ঝুলে পড়া প্রতিরোধেও সাহায্য করে। স্ট্রেংথ ট্রেনিং পেশির সংকোচনকে উদ্দীপিত করে যা শক্তি গড়ে তুলতে ও পরবর্তী সময়ে শরীরে নতুন কোষ ও কলা উৎপাদনে সাহায্য করে।

মন সুস্থ রাখুন

যখন আপনি ঐ ঝুলে পড়া ত্বককে দৃঢ় করে তুলতে সক্ষম হবেন না তখন তা হতাশাজনক হতে পারে এবং আপনি হয়তো মানিসিক চাপ ও বিষণ্ণতা অনুভব করতে পারেন। আপনার পথে হতাশা আসতেই পারে, কিন্তু এই পরিস্থিতির সাথে শান্ত মনে মোকাবিলা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার শরীর ও মনকে বিশ্রাম দিন, কারণ ধৈর্য্যই মূল চাবকাঠি। আপনি মাত্র কয়েকদিনেই দৃঢ় ত্বক পেয়ে যেতে পারবেন না।

রঙিন কাজলের উপকথা

পেনসিল লাইনার
পেনসিল লাইনার দিয়ে কাজল সহজে লাগানো যায়, থাকেও বেশিক্ষণ। ব্র্যান্ডের পেনসিল লাইনার সহজে ছড়ায় না। আবার কিছু লাইনার আছে পানিনিরোধক। ফলে সব ঋতুতেই ব্যবহার করা যায়। পেনসিল লাইনারের মধ্যে নিয়র, জর্ডানা, জ্যাকলিন, আয়োনি, পারসোনি, লা ফেম, মেবিলিন, লরিয়েল, ল্যাক্মে, মিস অ্যান্ড মিসেস অন্যতম। এগুলোর দামও বেশি নয়। ৭০-৩০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়।
ম্যাক, শ্যানেল, ক্লিনিক, গার্লিন ইত্যাদির ভালো কাজ আছে। দাম ১৯০০-২৫০০ টাকা।

লিকুইড লাইনার
এ ধরনের লাইনার সবচেয়ে পুরনো। এর ব্যবহারও সহজ আর ব্রাশের সাহায্যে ইচ্ছামতো লাইনিং করা যায়। মোটা বা সরু ঠিক যেমনটি আপনি চান। প্রচলিত কিছু লিকুইড লাইনারের মধ্যে রয়েছে ল্যাক্মে, লা ফেম, প্রেস্টিজ, রেভলন, আয়োনি, লা-স্পল্যাশ, জ্যাকলিন। দাম ১৫০-৭০০ টাকার মধ্যে।

রঙিন লাইনার
জর্ডানা, জ্যাকলিন, মিস অ্যান্ড মিসেস, এভার বিউটি’র রঙিন লাইনার আমাদের বাজারে সহজলভ্য। এগুলোর দাম ৮০-২৫০ টাকা।

জেল লাইনার
আজকাল জেল লাইনারের ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে আর ব্যবহারও সহজ। জেল লাইনারের সবচেয়ে বড় গুণ হলো এর পিগমেন্টেশন। এটি গাঢ় রং দেবে আর স্থায়িত্বও অন্য সব লাইনারের তুলনায় বেশি। দেশে এভার বিউটি, নিট্রো, মেবিলন ব্র্যান্ডের জেল লাইনার পাওয়া যায়। দাম ২৫০-১২০০ টাকা পর্যন্ত।

অটোলাইনার
অটোলাইনার এক ধরনের পেনসিল লাইনার। এ লাইনার প্লাস্টিক হোল্ডারে থাকে এবং রোলিংয়ের সাহায্যে ব্যবহার করতে হয়। সহজে ব্যবহার করা যায়, তাই দিন দিন মেয়েদের কাচে জনপ্রিয় হচ্ছে। পাওয়া যায় মেবেলিন কোলোসেল, ল্যাক্মে আইকনিক, রেভলন কালার স্টে, মেবিলিন আই ডিফাইনড, লরিয়েল ইনফ্লেবল, মিস অ্যান্ড মিসেস এবং জর্ডানার অটোলাইনার। দাম ২৫০-৭০০ টাকার মধ্যে।

পাউডার বা ডাস্ট লাইনার
আইশ্যাডো পাউডারের মতো কিছু আইলাইনার পাওয়া যায়, যেগুলোকে ডাস্ট লাইনার বলা হয়। এসব পাউডার লাইনার স্মোকি আই মেকআপ করতে বেশি ব্যবহার করা হয়। দাম ১৫০-৩০০ টাকার মধ্যে।

ওয়াটারপ্রুফ লাইনার
ওয়াটারপ্রুফ লাইনারের দাম একটু বেশি হয়। বাজারে রেভলন, লা ফেম, মেবিলিন ব্র্যান্ডের ওয়াটারপ্রুফ লাইনার পাওয়া যায়।

কোথায় পাবেন
বসুন্ধরা সিটি, আলমাস, প্রিয়, বডি লাইন, গাউসিয়া, ইস্টার্ন প্লাজা, মৌচাক ও যেকোনো ভালো কসমেটিকসের দোকানে।

টিপস
প্রসাধনী কেনার সময় অবশ্যই ভালো দোকান থেকে কিনবেন, বিশেষ করে চোখের প্রসাধনী। চোখ স্পর্শকাতর জায়গা, আপনার প্রসাধনীটি নকল হলে ক্ষতির আশঙ্কা।

স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়াতে পায়ের সঠিক যত্ন

১) বন্ধ জুতো পরবেন না

অনেকেই ভাবেন বন্ধ জুতো পরলে পায়ে পানি লাগবে না। আসলে কিন্তু জল-কাদায় মাখামাখি হয়ে জুতোয় পানি ঢুকেই পড়বে আর জুতোর ভেতরটা প্যাচপ্যাচে হয়ে থাকবে। এমন অবস্থায় পায়ে ফাঙ্গাল ইনফেকশন হয়ে বারোটা বেজে যেতে পারে। বরং এমন জুতো পরুন যা সামনে-পেছনে খোলা। এতে বৃষ্টির পানি পায়ের আশেপাশে জমে থাকার সুযোগ পাবে না। আর বৃষ্টি থেমে গেলে পা শুকিয়েও যাবে জলদি। আর হ্যাঁ, কখনোই ভেজা জুতো পরবেন না। অন্য কারও সাথে জুতো শেয়ার করার তো প্রশ্নই আসে না।

২) পা পরিষ্কার রাখুন

প্রতিদিন বাসায় ফিরে ভালো করে পা পরিষ্কার করুন। পায়ে যদি কাদাপানি বেশি লেগে থাকে তবে বাসায় ফেরার জন্য অপেক্ষা না করে অফিস-স্কুল-কলেজে পৌঁছে যতো দ্রুত সম্ভব পা ধুয়ে নিন। বাড়িতে এসে পা ধুতে ব্যবহার করুন হালকা গরম পানি এবং কোনো মাইল্ড সাবান। ঝামা দিয়ে পায়ের গোড়ালি ঘষে নিতে পারেন। এতে জেদি ময়লাও উঠে যাবে। পায়ের আঙ্গুলের মাঝের এলাকা ভালো করে শুকিয়ে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল পাউডার দিতে পারেন। নখ ছোট রাখুন কারণ বড় নখের মাঝে ময়লা জমে ইনফেকশনের সম্ভাবনা বাড়ায়। এছাড়া পা ধোয়ার পর ডেটল জাতীয় তরল পানিতে মিশিয়ে সেই পানিতে পা আরেকবার ধুয়ে নেওয়াটাও ভালো।

৩) পার্লারে পেডিকিউর না করাই ভালো

পার্লারে অনেক সময়ে দেখা যায় একাধিক মানুষের পেডিকিউর করার জন্য একই ইন্সট্রুমেন্ট ব্যবহার করা হচ্ছে এবং প্রতিবার ব্যবহারের আগে ভালো করে পরিষ্কার করাও হচ্ছে না। এসব ক্ষেত্রে পা থেকে পায়ে ইনফেকশন ছড়ানোর সম্ভাবনা থাকে। পার্লারে যদি পেডিকিউর করাতে যেতেই হয় তবে নিজের পেডিকিউওর সেট নিয়ে যান।

৪) খালি পায়ে হাঁটবেন না

বাড়ির বাইরে তো খালি পায়ে হাঁটার চিন্তাও করবেন না। আর বাড়িতেও খালি পায়ে মেঝেতে হাঁটবেন না। এ সময়ে স্যাঁতস্যাঁতে মেঝেতে অনেক জীবাণু থাকতে পারে। বাড়িতেও হালকা একজোড়া চপ্পল পরে হাঁটুন।

৫) ময়েশ্চারাইজ

আবহাওয়া যতই স্যাঁতস্যাঁতে হোক না কেন, রাত্রে ঘুমাতে যাবার আগে পা ভালো করে ধুয়ে, শুকিয়ে পায়ে ময়েশ্চারাইজার মালিশ করে ঘুমাবেন। এতে ত্বকের মরা কোষ উঠে আসবে, ত্বক থাকবে নিরাপদ।

৬) মোজা রাখুন পরিষ্কার

মেয়েরা তেমন একটা মোজা পরেন না, বৃষ্টির সময়ে তো নয়ই। তবে ছেলেরা অনেক সময়ে জুতোমোজা পরে বের হয়ে বৃষ্টির মাঝে পড়ে যান। কেউ আবার মোজা না পরে থাকতে পারেন না। সেক্ষেত্রে একই মোজা পর পর দুই দিন পরবেন না। মোজা ধুয়ে ভালো করে শুকিয়ে নিন। সম্ভব হলে আয়রন করে নিন, এরপর ভেতরে একটু পাউডার দিয়ে পরে ফেলুন।

৭) ফুট মাস্ক

পায়ের ত্বক ভালো রাখতে মুলতানি মাটি, নিম পেস্ট, হলুদ পেস্ট এবং ল্যাভেন্ডার অয়েল অল্প একটু পানির সাথে মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করতে পারেন। এই মাস্ক পায়ে লাগিয়ে আধা ঘন্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন। এরপর পা ম্যাসেজ করে নিন অলিভ অয়েল দিয়ে।

চুলের যত্নে ডিমের প্রোটিন প্যাক

ডিমের প্রোটিন প্যাকঃ

যা লাগবে –
২টা ডিম,
১/২ কাপ অলিভ অয়েল,
১/২ কাপ মধু,
১/২কাপ টকদই,
২ টেবিল চামচ  ভিনেগার (এই পরিমাণটি লম্বা চুলের জন্য ,চুল ছোট হলে সেই অনুযায়ী উপাদানের অনুপাত কমিয়ে নিবেন)

যেভাবে বানাবেন –
উপকরণগুলো খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন। চুল আচঁরে জট ছাড়িয়ে নিন। চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত খুব ভালো করে এই প্যাকটি লাগান। একটি শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে মাথা ঢেকে ৪৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর শ্যাম্পু করে ফেলুন। কন্ডিশনার লাগাতে ভুলবেন না। এই প্যাকটি সপ্তাহে একদিন করে ব্যবহার করুন। ফলাফল দেখে আপনি নিজেই চমকে যাবেন !!!

গরমে চোখের অ্যালার্জি থেকে বাঁচতে

গরমে চোখের অ্যালার্জি থেকে বাঁচতে- 

১. শুষ্ক মৌসুমে যখনই বাইরে বের হবেন ধূলোবালি থেকে রক্ষা পেতে নাকে-মুখে মাস্ক এবং চোখে সানগ্লাস ব্যবহার করবেন।

২. চোখ চুলকালে সঙ্গে সঙ্গে ঠান্ডা পানি দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলবেন।

৩. টিভি বা কম্পিউটারের সামনে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করবেন না।

৪. সাবধানে কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করবেন।

৫. খেয়াল রাখবেন গরুর মাংস, চিংড়ি মাছ, ডিম জাতীয় কোন খাবারের কারণে আপনার অ্যালার্জি হচ্ছে কিনা।

৬. ঘরের কার্পেট নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে।

৭. ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে আই ড্রপ ব্যবহার করবেন।

৮.বাড়িতে লোমশ পোষা কোন প্রাণি থাকলে তার থেকে সতর্ক থাকবেন।

মুখের ব্রণ ও কালো দাগ দূর করার ঘরোয়া প্রাকৃতিক উপায়


    • পেঁয়াজ :
      পেঁয়াজের কথা শুনে অবাক হচ্ছেন? এখনি জেনে নিন, বয়স জনিত কালো ছোপ দূর করতে পেঁয়াজ দারুণ কার্যকরী। একটা স্লাইস নিয়ে আক্রান্ত স্থানে ঘষুন ৫ মিনিট। তারপর ধুয়ে ফেলুন। ভালো ফল পেতে রোজ ব্যবহার করুন।
    • লেবু :
      লেবু ত্বকের কালো দাগ ছোপ দূর করতে অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপাদান। তুলোর সাথে লেবুর রস নিন, তারপর কালো দাগে ৫ মিনিট ঘষে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহে ৩/৪ বার ব্যবহারে উপকার পাবেন। তবে মুখে বা শরীরের কোথাও লেবু লাগাবার পর সরাসরি সূর্যের আলোতে যাবেন ন্রিতি
  • পেঁপে :
    পাকা পেঁপে কালো দাগ দূর করার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ আরেকটি উপাদান।পাকা এক টুকরো পেঁপে নিয়ে আক্রান্ত স্থানে ভালো করে ঘষুন। আধা ঘণ্টা রাখুন, তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে ৩/৪ বার করুন। পেঁপেতে থাকা প্যাপিন মরা কোষ দূর করে ত্বকের রঙ উজ্জ্বল করে তোলে।

  • অ্যালোভেরা :
    কেবল ব্রণ কমাতেই নয়, ত্বকের কালো দাগছোপ দূর করতেও অ্যালোভেরা অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপাদান। অ্যালোভেরা জেল বের করে আক্রান্ত স্থানে মাখুন আলতো হাতে। এমন ভাবে ম্যাসাজ করুন যেন অ্যালোভেরা জেল ত্বক একদম শুষে নেয়। ঘণ্টা খানেক ত্বকে রাখার পর ধুয়ে ফেলতে পারেন।

  • কলা ও লেবুর মাস্ক :
    পাকা কলা ও লেবু মিশিয়ে (একটা কলা ও একটা লেবু অনুপাতে) মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্ট মুখে, গলায়, হাতে, পায়ে যে কোন জায়গায় ব্যবহার করতে পারেন। রোজ লাগান কালো দাগে, ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। দারুণ কাজে দেবে।

চুল বড় করার কয়েকটি ঘরোয়া উপায়

পিঁয়াজ ব্যবহারের পদ্ধতি :
একটি লাল পেঁয়াজ নিন। লাল পেঁয়াজে সালফারের পরিমাণ বেশি থাকে। তারপর পেঁয়াজটি কুচি করে কাটুন ও ভালো করে পাটায় থেঁতলে নিন। একটি নরম পাতলা কাপড়ে এই পেঁয়াজ রেখে চিপে রস বের করে নিন। তারপর এই পেঁয়াজের রস সরাসরি মাথার ত্বকে লাগান। ১৫ মিনিট রাখুন। তারপর মৃদু কোন শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২/৩ দিন ব্যবহারে ভালো ফল পাবেন। বাড়তি পাওনা হিসাবে দূর হবে খুশকি ও অন্যান্য সমস্যা।

ডিম ব্যবহারের পদ্ধতি :
প্রথমে একটি বাটিতে একটি ডিমের সাদা অংশ নিন। এতে ১ চা চামচ অলিভ অয়েল (জলপাই তেল) ও ১ চা চামচ মধু নিন (চুলের দৈর্ঘ্য ও পরিমাণ অনুযায়ী অলিভ অয়েল ও মধুর পরিমাণ বাড়াতে পারেন)। তারপর উপকরণগুলো খুব ভালো করে মেশান। যখন এটি মসৃণ পেস্টের আকার ধারন করবে তখন এত ব্যবহার উপযোগী হবে। মসৃণ পেস্টের মত হয়ে গেলে মাথার ত্বকে আলতো ঘষে মিশ্রণটি লাগিয়ে ফেলুন। ২০ মিনিট পর প্রথমে ঠাণ্ডা পানি ও পরে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত ১ বার এটি ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। ভালো ফল পাবেন।

 গ্রীণ টি ব্যবহারের পদ্ধতি : গ্রীণ টি কম বেশি সবাই বানাতে জানি। বাজারে গ্রীণ টি পাওয়া যায়। প্রথমে গ্রীণ টি বানিয়ে নেবেন। অনেকেই গ্রীণ টিতে মধু বা চিনি দিয়ে থাকেন। কিন্তু চুলে ব্যবহারের জন্য গ্রীণ টি তে চিনি বা মধু দেবেন না। এক কাপ পরিমাণ গ্রীণ টি নিয়ে হালকা গরম থাকতেই পুরো চুলে লাগিয়ে নিন। চুলের গোড়ায় ভালো করে লাগাবেন। ১ ঘণ্টা চুলে লাগিয়ে রাখুন। তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

আলু ব্যবহারের পদ্ধতি :
একটি মাঝারি আকৃতির আলু ঝুরি করে চিপে এর থেকে রস বের করে নিন। এরপর একটি বাটিতে আলুর রস, একটি ডিমের সাদা অংশ ও ১ চা চামচ মধু খুব ভালো করে মেশান। খুব ভালো করে মিশে গেলে, মিশ্রণটি চুলের গোঁড়ায় আলতো ঘষে লাগিয়ে নিন। এভাবে ২ ঘণ্টা রেখে দিন। ২ ঘণ্টা পর একটি মৃদু শ্যাম্পু দিয়ে চুল ভালো ভাবে ধুয়ে নিন।

চোখের নিচের ফোলাভাব দূর করার সহজ উপায়

কেন চোখের নিচের অংশ ফোলার সমস্যা হয়

চোখের নিচ ফুলে যাওয়ার অনেক কারণ রয়েছে। এই কারণগুলো যতোটা সম্ভব বাদ দেয়ার চেষ্টা করা উচিত। এতে করে চোখ ফোলার সমস্যা হবেই না।
  • – ঘুম কম হলে বা ঘুমের সমস্যা থেকে থাকলে চোখের নিচ ফুলে যায়। সুতরাং আপনাকে নিয়ম করে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে।
  • – অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে চোখের নিচ ফুলে যায় অনেক বেশী।
  • – অতিরিক্ত লবণাক্ত খাবার খাওয়ার কারণে দেহে পানি বেশী জমতে থাকে। এতে করেও অনেকের চোখের নিচে ফুলে যায়।
  • – সাইনাসের সমস্যা থাকলে চোখের নিচের ফোলাভাব বেড়ে যায়।
  • – অতিরিক্ত ধূমপান এবং মদ্যপানের কারণেও চোখের নিচ ফুলে থাকে।
  • – পরিবারের সদস্যদের যদি এমন সমস্যা থাকে তাহলে সেটি আপনার জেনেটিক্যাল ব্যাপার, আর সে কারণেই আপনার চোখের নিচ ফোলা।
জেনে নিন তানিজা আহমেদের খুবই সহজ দুটি সমাধান

১) আলুর রসের ব্যবহার

আলুর রসের অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান চোখের নিচের ফলাভাব এবং সেই সাথে কালচে ভাব দূর করতে বিশেষভাবে কার্যকরী।প্রথমে একটি আলু গ্রেট করে নিয়ে চিপে রস বের করে নিন। এবং এই রস একটু ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করে ফেলুন। ঠাণ্ডা আলুর রস তুলোর বলে লাগিয়ে চোখের উপরে দিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। এই ২০ মিনিট রিলাক্স করুন। ২০ মিনিট পর তুলোর বল ফেলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। দেখবেন ফোলাভাব অনেকটাই কমে গিয়েছে।

২) ডিমের ব্যবহার

ডিম ত্বকের জন্য খুবই কার্যকরী একটি উপাদান। বিশেষ করে ত্বকের টানটান ভাব ধরে রাখতে ডিমের সাদা অংশের জুড়ি নেই। একারণেই চোখের নিচের ফোলাভাব দূর করতে ডিমের সাদা অংশ কার্যকরী। একটি ডিম ভেঙে কুসুম আলাদা করে নিন। এরপর ডিমের সাদা অংশ ভালো করে ফেটিয়ে নিন। আঙুলের ডগা দিয়ে এই সাদা অংশ চোখের নিচে লাগান তবে সাবধান থাকবেন যেনো চোখের ভেতরে না যায়। সম্পূর্ণ শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন চোখ বন্ধ করে। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন। চোখের ফোলাভাব খুব সহজেই দূর হয়ে যাবে।
যদি এর চাইতেও সহজ পদ্ধতি চান, তাহলে দুটো টেবিলচামচ ডীপে রেখে ঠাণ্ডা করে নিন। এরপর এই চামচ চোখের উপরে ধরে রাখুন ১০ মিনিট, এতেও ভালো ফলাফল পাবেন।

যদি পেতে চান আকর্ষণীয় সুন্দর নখ

১/ ধরণ সম্পর্কে জানলে ঠিকমতো নখের যত্ন নেওয়া সম্ভব। এতে করে ক্ষতির সম্ভাবনা কমে যায়। ভঙ্গুর, শুষ্ক, নরম ও সাধারণ নখের জন্য আলাদা ধরণের যত্নের প্রয়োজন রয়েছে।শুষ্ক নখের জন্য দিনে অন্তত ১ বার অলিভ অয়েল ম্যাসাজ করুন। ভঙ্গুর নখে ময়েশ্চারাইজারের অভাব থাকায় দরকার বিশেষ যত্নের। তাই এই ধরনের নখের যত্নে ময়েশ্চারাইজার লোশন ব্যবহার করুন।নরম নখে ক্যালসিয়ামের অভাব এবং ময়েশ্চারাইজার বেশি থাকায় অনেকে নখ রাখতে পারেন না। তাই নরম নখের অধিকারীরা পানি থেকে একটু দুরে থাকবেন। নখে খুব বেশি পানি লাগাবেন না।

২/ যত্রতত্র নখের ব্যবহার ত্যাগ করতে হবে। টিনের কৌটা খোলা, কৌটার গায়ে লেভেল উঠানো, যে কোন স্থানে নখ দিয়ে খোঁচা মারা ইত্যাদি ত্যাগ করতে হবে।

৩/ সাধারণত কিডনি বা থাইরয়েডের সমস্যা, পুষ্টির অভাব, আয়রন কিংবা অন্যান্য খনিজ পদার্থের অভাবে নখের ভঙ্গুরতা বৃদ্ধি পায়। সে বিষয়ে সঠিক চিকিৎসা সেবা নিতে হবে।

৪/ নখ ভালো রাখতে নখে পানির ব্যবহার কমিয়ে দিন।  বাসার দৈনন্দিন কাজে পানির ব্যবহার থেকে দূরে থাকুন। প্রয়োজনে গ্লাবস ব্যবহার করুন।

৫/নখের আদ্রতা বজায় রাখতে ভালো ব্র্যান্ডের কিউটিকল ওয়েল ব্যবহার করতে হবে। রাতে শোবার আগে নখে অলিভ অয়েল লাগালে নখ শক্ত আর উজ্জ্বল হয়।

৬/ গোসলের পর নখে ভ্যাসলিন লাগালে ভেজা নখের সুরক্ষা হবে।

৭/ অতিরিক্ত নেইল পলিস বা রিমুভার ব্যবহার ত্যাগ করতে হবে। এতে নখের ভঙ্গুরতা বৃদ্ধি পায়।

৮/নখের শেপের ক্ষেত্রে চারকোনা শেপ পরিহার করাই ভালো। এতে নখ তাড়াতাড়ি ভাঙ্গে যায়।

৯/ নখ কাটার পর ফাইল করার সময় অনেক সতর্ক থাকবেন। কারণ নখ ফাইলের সামান্য ভুলের কারণে নখ ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এতে করে নখের অনেক ক্ষতিও হয়। সবসময় একই দিকে নখ ফাইল করার চেষ্টা করুন।

 ১০/ অনেকেরই নখ কামড়ানোর মতো বাজে অভ্যাস রয়েছে। এ কাজটি নখের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর। নখ কামড়ালে এর শেপ এবড়োথেবড়ো হয়ে যায়। তখন হাত দেখতে অনেক বিশ্রী লাগে। তাই নখ কামড়ানোর মতো বাজে অভ্যাসটি দূর করুন।

১১/ নিউ ইয়র্ক মেডিক্যাল কলেজের চর্ম বিশেষজ্ঞ ডেন্ডি এঙ্গেলম্যান ওমেনসহেলথম্যাগ ডটকমের এক প্রতিবেদনে নখের শোভা বাড়াতে বেশ কিছু খাবারের নাম দিয়েছেন। এই খাবারগুলো নখ সুস্থ রাখে।এগুল হল-
  • ডিম
  • ব্রকলি
  • সামন মাছ
  • নারিকেল তেল
  • মুরগির মাংস
  • বেশি করে ভিটামিন এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন দুগ্ধজাত খাদ্য, ফল-মূল, শুষ্ক ফল এবং সবুজ শাক-সবজি খেলে শরীরের সাথে সাথে নখও কোমল, মসৃণ এবং উজ্জ্বল থাকবে।

সহজ কৌশলে পা কে করে ফেলুন তুলতুলে নরম

যা যা লাগবে
৪ টেবিল চামচ বেকিং সোডা (বেকিং পাউডার নয় কিন্তু)
৬ লিটার পানি
ফুট স্ক্রাবিং করার জন্য ঝামা বা স্ক্রাবার বা ব্রাশ
আপনার পছন্দের যে কোন ময়েসচারাইজার ক্রিম
প্লাস্টিকের প্যাকেট বা পলিথিনের মোজা

যেভাবে করবেন
-বেকিং সোডা গরম পানিতে ভালো করে গুলে নিন। একদম মিশে গেলে সেটায় আপনার পা ২৫ মিনিটের জন্য ভিজিয়ে রাখুন।
-ঝামা দিয়ে পা ভালো করে ঘষে নিন।
-তারপর সাধারণ পানি দিয়ে ধুয়ে, তোয়ালে দিয়ে মুছে পায়ে ভালো করে ক্রিম মেখে নিন একটু বেশী করে।
-এবার এই ক্রিম মাখা পা প্লাস্টিকের প্যাকেটের মাঝে ঢুকিয়ে পা বেঁধে রাখুন।
-২ ঘণ্টা পর প্যাকেট খুলুন। বাড়তি ক্রিম লেগে থাকলে মুছে নিন।
-আর উপভোগ করুন বাচ্চাদের মত নরম পায়ের ত্বক!

মনে রাখবেন
-প্রথমবারেই পার্থক্য দেখতে পাবেন। পায়ের অবস্থা কতটুকু খারাপ সেটার ওপরে নির্ভর করে ৩ থেকে ৭ বার করার প্রয়োজন হতে পারে।
-একবার করার পর ৭দিন বিরতি দিয়ে আবার করবেন। সপ্তাহে একবার করাই যথেষ্ট।

ফেসিয়াল করুন ঘরে বসেই

ঘরোয়া ফেসিয়ালের নিয়ম-কানুন

ধাপ-১:
ফেসিয়াল করার আগে একটু বড় গলার জামা ব্যবহার করুন। মাথার চুল আঁচড়ে পেছন দিকে ভালো করে বেঁধে ফেলুন, যাতে মুখ বা কপালের ওপর এসে না পড়ে। সাবান দিয়ে ভালো করে দুহাত ধুয়ে নিন। অল্প পরিমাণে লোশন নিয়ে মুখমণ্ডল, গলা ও ঘাড়ে ম্যাসাজ করতে থাকুন। ক্লিনজিং করার পরই ফ্রেশনিং করবেন। তুলা পানিতে ভিজিয়ে বাড়তি পানি বের করে নিন। এবার ভেজা তুলায় ৫-৬ ফোঁটা ফ্রেশনার ঢেলে নিন। মুখ, গলা ও ঘাড়ে তুলা বুলিয়ে নিন। আপনার ত্বক স্বাভাবিক বা মিশ্র হলে ফ্রেশনিং করার সময় টোনার ফ্রেশনার বা স্কিন টনিক ব্যবহার করবেন। এবার ময়েশ্চারাইজিং লোশন ভালো করে সারা ত্বকে মেখে নিন। পাঁচ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে নিন।

ধাপ-২:
এবার ফ্রেসপ্যাক লাগানোর পালা। এ ক্ষেত্রে ত্বক বুঝে ফেসপ্যাক নির্বাচন করতে হবে। স্বাভাবিক ত্বকে মুলতানি মাটির মাস্ক, চন্দনের মাস্ক, মধু ও গাজরের ফেসপ্যাক, অলিভঅয়েল ও ডিমের ফেসপ্যাক, বেসন ও গাজরের ফেসপ্যাক, ময়দা ও মধুর মাস্ক লাগাতে পারেন। তৈলাক্ত ত্বকে ওটমিল মাস্ক, মধুর মাস্ক, শসা ও ডিমের ফেসপ্যাক, কমলালেবু ও ডিমের ফেসপ্যাক, আপেল ও মধুর ফেসপ্যাক উৎকৃষ্ট। ত্বক শুষ্ক হলে দুধ ও ময়দার মাস্ক, দুধের সর ও মধুর মাস্ক, মাখন ও মধুর ফেসপ্যাক, বেসন ও মধুর ফেসপ্যাক, দুধের সর ও বাদাম তেলের ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন। মাস্ক বা ফেসপ্যাক মোটামুটি একই জিনিস। দুয়ের মধ্যে পার্থক্য হলো মাস্ক এক ধরনের মিশ্র বস্তুর উপাদানে তৈরি, যা পুরু করে মুখমণ্ডলের ত্বকে সরাসরি লাগাতে হয়। আর ফেসপ্যাক হলো ভিন্ন বস্তুর উপাদান দিয়ে তৈরি।

ধাপ-৩:
মাস্ক মুখে লাগানোর পর মুখ তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায় ও ত্বকের ওপর শক্ত হয়ে প্রলেপ পড়ে। কিন্তু ফেসপ্যাক সে তুলনায় ধীরে ধীরে শুকাতে থাকে। বাড়িতে মাস্ক বা ফেসপ্যাক ব্যবহারের সময় কিছুটা সতর্কতা পালন করা দরকার। যেমন মাস্ক বা ফেসপ্যাক তৈরি করার সময় যে পানি ব্যবহার করবেন সেই পানি দশ মিনিট ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করে নেবেন। মাস্ক বা ফেসপ্যাক রাখার পাত্র হিসেবে কাচ বা চীনামাটির পাত্র ব্যবহার করবেন। মিশ্রণের জন্য প্লাস্টিক বা কাঠের চামচ ব্যবহার করা উচিত। মাস্ক বা ফেসপ্যাক লাগানোর সময় বা লাগানোর পর কথা বলবেন না। চোখ বন্ধ করে ২০ মিনিট বিশ্রাম করুন। এ সময় কচি শসা গোল করে কেটে চোখ ঢেকে দিন। ২০ মিনিট পর প্রথমে কুসুম গরম পানি ও পরে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখের মাস্ক বা ফেসপ্যাক ধুয়ে ফেলুন।

যন্ত্রণাদায়ক পায়ের গোড়ালি ফাটা ও সমাধান

পায়ের গোড়ালি ফাটার কারণ :
  • শুষ্ক জলবায়ুযুক্ত স্থানে বসবাস
  • স্থূলতা
  • সমানে খালি পায়ে হাঁটা বা চটি অথবা গোড়ালি খোলা জুতো পরা
  • নিষ্ক্রিয় ঘর্মগ্রন্থি
  • খুব বেশি শুকিয়ে যাওয়া
  • ময়েসচারাইজারের অভাব
  • পায়ের সঠিক যত্ন না নেয়া
  • অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস
যদি সঠিক ভাবে পা ফাটা প্রতিরোধ করা সম্ভব না হয় তবে এই ফাটা অনেক বেশি গভীর পর্যন্ত চলে যায় যার ফলে রক্তপাতও হতে পারে। তাই পা ফাটাকে অবহেলা না করে এটি প্রতিরোধের উপায় খুঁজতে হবে। খুব সহজেই ঘরে বসে আপনি প্রতিরোধ করতে পারেন এই যন্ত্রণাদায়ক পা ফাটা রোগটি।

চালের গুঁড়ার ব্যবহার
একমুঠো চালের গুঁড়ো নিয়ে এতে ২/৩ টেবিল চামচ মধু, ২ তেবিল চামচ ভিনেগার, ১ তেবিল চামচ অলিভ অয়েল/ আলমণ্ড অয়েল দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে পেস্টের মতো তৈরি করুণ। প্রথমে ১০ মিনিট গরম পানিতে পা ভিজিয়ে নিয়ে এই পেস্টটি দিয়ে পায়ের গোড়ালি ভালো করে স্ক্রাব করে নিন। এতে করে পায়ের মরা চামড়া দূর হবে এবং শুষ্ক ভাবও চলে যাবে।

নিম পাতার ব্যবহার
১০/১৫ টি নিম পাতা নিয়ে ধুয়ে ভালো করে বেটে নিন। এতে ৩ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো ভালো করে মিশিয়ে নিন। এই পেস্টটি পায়ের গোড়ালিতে লাগিয়ে নিন পুরু করে। ৩০ মিনিট রেখে গরম পানি দিয়ে পা ভালো করে ধুয়ে একটি পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে নিন। নিমের অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান দ্রুত পা ফাটা রোধ করবে।

মধুর ব্যবহার
মধুর ময়েসচারাইজিং এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান পা ফাটা ও শুষ্ক ত্বক দুটোই দূর করতে সাহায্য করে। অর্ধেক বালতি পানিতে ১ কাপ পরিমানে মধু ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে এই পানিতে ১৫-২০ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন। এরপর একটি স্ক্রাবার দিয়ে আলতো করে পা ঘষে নিন।

গোলাপজল ও গ্লিসারিনের ব্যবহার
গোলাপজলে রয়েছে ভিটামিন এ, বি৩, সি, ডি ও ই, অ্যান্টিসেপ্টিক এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা পা ফাটা দূর করে। এবং গ্লিসারিন ত্বককে নরম ও কোমল করতে সহায়তা করে। সমান পরিমাণ গোলাপজল এবং গ্লিসারিন মিশিয়ে নিয়ে প্রতি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পায়ের গোড়ালি ও পাতায় ম্যাসেজ করুণ।

কলার ব্যবহার
সব চাইতে সহজ পদ্ধতিটি হচ্ছে কলার ব্যবহার। একটি পাকা কলা নিয়ে তা ভালো করে পিষে নিন। পা ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়ে এই পিষে নেয়া কলাটি পায়ের ওপর লাগান। ১০-১৫ মিনিট পড়ে গরম পানি দিয়ে পা ধুয়ে ফেলুন। এরপর ঠাণ্ডা পানিতে পা খানিকক্ষণ ডুবিয়ে রাখুন।

লেবুর ব্যবহার
লেবুর এসিডিক উপাদান পায়ের ত্বক রুক্ষ হয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে পা ফাটা রোধ করে। একটি লেবু কেটে নিয়ে সরাসরি তা দিয়ে পায়ের গোড়ালিতে ঘষুন। এছাড়া হাল্কা গরম পানিতে লেবুর রস চিপে দিয়ে ১০-১৫ মিনিট ডুবিয়ে রেখে ঝামা ইট দিয়ে ঘষে নিন পায়ের গোড়ালি। পা ফাটা প্রতিরোধ হবে।

লবণ গরম পানির ব্যবহার
অর্ধেক বালতি গরম পানিতে ২ টেবিল চামচ লবণ ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে এতে পা ডুবিয়ে রাখুন ১০-১৫ মিনিট। এরপর ঠাণ্ডা পানিতে পা ডুবান। এতে করে পায়ের ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে। এরপর পা ধুয়ে মুছে নিয়ে ফুটক্রিম বা পেট্রোলিয়াম জেলি ম্যাসেজ করে নিন। খুব দ্রুত পা ফাটা থেকে রেহাই পাবেন।

চুল পরা রোধ করনীয়

চুল পড়া রোধ করতে হলে অবশ্যই এর কারণ অনুযায়ী চিকিৎসা করা প্রয়োজন। নিজে নিজে চিকিৎসা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। নিচে চুল পড়া রোধের কিছু  টিপস দেওয়া হলো- 

১।ধূমপান ত্যাগ করুন।এর কারনে রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্ত হয় , রক্ত নালিকাগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হয় । এর কারনে চুল পড়া বেড়ে যায় এবং চুল বাদামি বর্ণ ধারন করে ।

২। অতিরিক্ত চা বা কফি পান করবেন না। চা বা কফিতে ক্যাফেইন থাকে যা সকল প্রকার চুল ও স্কিনের সমস্যার জন্য দায়ী, তাই মাত্রাতিরিক্ত চা, কফি পান করবেন না।

৩। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় শরীরে আয়রনের অভাবে চুল পড়ে। আয়রনের অভাবে আমাদের দেহে লোহিত রক্ত কণিকার সংখ্যা কমে যায়, যা আমাদের চুলের গোড়ার (হেয়ার ফলিকল) জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। যদি তাই হয়, তাহলে প্রচুর পরিমাণে লাল শাক, কচুশাক খেতে হবে।

৪। ভিটামিন-ই চুল পড়া রোধে ও নতুন চুল গজানোর ক্ষেত্রে খুবই কার্যকরী, তাই প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সমৃদ্ধ ফলমূল ও শাকসবজি খান। ভিটামিন-ই চুলের ত্বকে অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়িয়ে দেয় যা চুল বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে এবং শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে এটি চুল পড়া রোধ করে।

ভিটামিন-ই এন্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে ক্ষতিকারক ফ্রি র‌্যাডিকেল অপসারণের মাধ্যমে স্কিনকে সুরক্ষিত রাখে। নাশপাতি, বাদাম ও জলপাই তেলে প্রচুর ভিটামিন-ই থাকে। অন্যদিকে ভিটামিনের সর্বোৎকৃষ্ট প্রাকৃতিক উৎস হচ্ছে গম, শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, সবজি, ডিম প্রভৃতি।

৫। স্বাস্থ্যকর খাবার বা প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খান। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার শুধু যে চুল শক্ত করে তা নয়, চুল গজাতেও সহায়তা করে। এছাড়া অতিরিক্ত চিনি ও চর্বিযুক্ত খাবারও পরিহার করুন।

৬। ওমেগা- থ্রি (৩) ফ্যাটি অ্যাসিড চুল পড়া রোধে খুব কার্যকর। সাধারণত বিশেষ ধরনের মাছে এই উপাদানটি থাকে। তবে আমাদের দেশে এসব স্যামন, ম্যাকারেল মাছ পাওয়া যায় না। প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-থ্রি (৩) ফ্যাটি অ্যাসিড তিসির তেলে পাওয়া যায়। আর এই তেল পাবেন স্থানীয় বাজারেই। মনে রাখবেন, এই তিসির তেল কিন্তু মাথায় লাগানোর জন্য নয় অথবা রান্নায় ব্যবহার করার জন্যও নয়। প্রতিদিন ২ চা চামচ তিসির তেল সালাদের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে হবে। তাহলেই আপনার চুল পড়া অনেক কমে আসতে পারে। এছাড়া প্রচলিত চুল সুরক্ষার তেল ব্যবহার করার মাধ্যমেও চুলের প্রতি যত্নশীল হোন।

৭। নতুন চুল গজাতে উদ্দীপনা দেবার জন্য প্রতি সপ্তাহে চুলের ত্বক ম্যাসেজ করুন।

৮। চুলে অপ্রয়োজনীয় ঘষা-মাঝা, অতিরিক্ত আচরানো পরিহার করুন। গরম পানি, ড্রায়ার বা এমন কিছু ব্যবহার করবেন না যা চুলে অতিরিক্ত চাপ তৈরি করে।

৯। চুলকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন।

১০। পর্যাপ্ত ঘুমান এবং বিশ্রাম নিন, কেননা ঘুম ও বিশ্রাম নতুন চুল গজানো ও বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সহায়তা করে।

টিপস
** চুল পড়া বন্ধ করতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খান অথবা ই ক্যাপ নারকেল তেলের সাথে মিশিয়ে হালকা গরম করে চুলে লাগান। ক্যাস্টর অয়েল তেলের সাথে মিশিয়ে ব্যাবহার করতে পারেন।চুল পরা কমে যাবে।
**যেসব চুলের গোরা চটচটে ও উপরিভাগ রুক্ষ সেসব চুল সাধারনত মিশ্র প্রকৃতির চুল।এরকম চুলে সপ্তাহে অন্তত 3 দিন শ্যাম্পু করুন ও কন্ডিশনার ব্যাবহার করুন।শ্যাম্পুর আগে কুসুম গরম তেলে লেবুর রস মিশিয়ে হালকা মাসাজ করে নিবেন।চুল ভাল থাকবে।

চোখের পাশের বলিরেখা মুছার কৌশল


মধুর একটি জাদুকরী প্যাক
-১ টেবিল চামচ মধু হালকা গরম করে নিন। এই গরম মধুর সাথে একটা ডিমের কুসুম ভালো করে মেশান।
-সাথে যোগ করুন মিহি করে গুঁড়ো করা ওটস ১ টেবিল চামচ। মিশ্রণ বেশী ঘন হয়ে গেলে কাঁচা দুধ যোগ করুন।-এবার এই মিশ্রণ চোখের আশেপাশে মেখে রাখুন ঠিক ১০ মিনিট। একটুও বেশী রাখবেন না।
– ১০ মিনিট পর প্রথমে উষ্ণ পানি ও পড়ে সাধারণ পানি দিয়ে মুখে ধুয়ে ফেলুন।
মাত্র এক মাস অবলম্বন করে দেখুন এই পদ্ধতিগুলো সপ্তাহে ৩ বার করে। আর দেখুন কেমন ম্যাজিকের মত তারুণ্যে ভরে উঠেছে আপনার চেহারা।

রুটি ও মাখনের প্যাক
-পাউরুটি হাত দিয়ে গুঁড়ো গুঁড়ো করে নিন।
-এবার মাখন চুলায় বা ওভেনে দিয়ে গলিয়ে নিন।
-এই মাখন দিয়ে রুটির গুঁড়োর একটা মোলায়েম পেস্ট তৈরি করুন।
-এই পেস্ট চোখের পাশে মাখিয়ে রাখুন আধা ঘণ্টা। শুকিয়ে গেলে আলতো করে তুলে ফেলুন। পানি দিয়ে ধোবেন না। কমপক্ষে ৫/৬ ঘণ্টা পর মুখে পানি লাগান।
-মাখনের বদলে হালকা গরম নারিকেল তেল বা অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।

ঘরোয়া উপায়ে পায়ের রোদেপোড়া কালচে ভাব দূর করুন


১. লেবুর রস
লেবুর রসে অ্যাসিড রয়েছে এবং এর ব্যবহার আপনার শুষ্ক ত্বককে আরো শুষ্ক করে তুলতে পারে। তবে খানিকটা লেবুর রসের সাথে তার ৫-৬ গুন বেশি পানি মিশিয়ে তারপর সেটাতে তুলো ভিজিয়ে যদি ভেজা তুলোটা আপনার রোদে পোড়া স্থানে লাগান তাহলে ধীরে ধীরে পোড়াভাবটা কেটে যাবে ( সার্চ হোম রিমেডিস )। এছাড়াও, এই মিশ্রণটিকে বরফ করেও ত্বকে ঘষতে পারেন আপনি।

২. নারকেল পানি
আপনার পায়ের চামড়া যদি কালো হয়ে গিয়ে থাকে তাহলে নারকেলের পানির চাইতে ভালো কোন প্রতিষেধক আপনার জন্যে হতেই পারেনা। এক্ষেত্রে ১০ থেকে ১৫ মিনিট আপনার পাকে নারকেলের পানি দিয়ে ম্যাসাজ করুন (বোল্ডস্কাই )। গোসলের আগে কাজটি করে ফেলুন আর কিছুদিন পরপর করার চেষ্টা করুন। ভালো ফলাফল পাবেন।

৩. টমেটো
টমেটো সানস্ক্রীন হিসেবে ভালো কাজ করে। এছাড়াও বয়স আর রোদেপোড়া দাগ দূর করতেও বেশ ভালো ফলাফল দেয় এই জিনিসটি। তবে পায়ের কালচেভাব দূর করার জন্যে অনেক বেশি উপকারী টমেটো ( ডেইলি মেইল )। প্রতিদিন চেষ্টা করুন সম্ভব হলে টমেটোর পেস্ট পায়ে লাগানোর। এটি পায়ের মরা কোষগুলোকে দূর করে দেবে, সেই সাথে দূর করবে আপনার পায়ের কালচে ভাবকেও।

৪. প্রোটিন প্যাক
ঘরে বসেই মসুর ডাল আর মধু দিয়ে তৈরি একটি প্যাক বানিয়ে ফেলুন আর সেটিকে লাগিয়ে নিন পায়ের কালো চামড়ার ওপর। এক্ষেত্রে মসুর ডালকে গুড়ো করে নিতে হবে আর তারপর সেটার সাথে মেশাতে হবে খানিকটা মধু (টিপস এন্ড বিউটি )। এরপর সেটিকে লাগাতে হবে পায়ে। অন্তঃত ২০ থেকে ২৫ মিনিট অব্দি পায়ে লাগিয়ে রাখুন প্যাকটি। চেষ্টা করুন সপ্তাহে কম করে হলেও তিনবার এই প্যাকটি লাগাতে। এতে করে খুব দ্রুত ফল পাবেন।

৫. পেঁপে
পাকা পেঁপে রোদে পোড়া চামড়ার জন্যে বেশ কার্যকরী ( সার্চ হোম রিমেডি )। রোদে পোড়া চামড়ার ওপর খানিকটা পাকা পেঁপের পেস্ট লাগিয়ে নিন আর সেটাকে ১০ থেকে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। কেবল পায়ের রোদেপোড়া ভাবই নয়, রোদ থেকে জন্ম নেওয়া ভাঁজকেও দূর করে দিতে সক্ষম পেঁপের পেস্ট।

মেছতা ও তার প্রতিকার

মেছতা কী ও কেন হয়?
সূর্যরশ্মির প্রভাবে ত্বকে অতিরিক্ত মেলানিন উৎপন্ন হয়। এতে ত্বকের কিছু কিছু জায়গায় গাঢ় কালো ছোপ ছোপ দাগ দেখা দেয় যা মেছতা বা মেলাজমা (melasma) নামে পরিচিত। গ্রীক শব্দ মেলাজ (melas) থেকে মেলাজমা শব্দের উৎপত্তি যার অর্থ কালো

ত্বকের যে সমস্ত জায়গায় সূর্যরশ্মি বেশি পড়ে সে সমস্ত জায়গা যেমন- উপরের গাল, নাক, ঠোঁট এবং কপালে মেছতা দেখা যায়। (সাধারণত ৩০-৪০ বছর বয়সের মধ্যে হয়)। তবে মাঝে মধ্যে ঘাড়ের পাশে, কাঁধ ও উপরের বাহুতে দেখা যায়। গায়ের রঙ ফর্সা যাদের তাদেরই মেছতায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। বগলে একধরনের মেছতা হয়। সেটি বংশগত এক রোগের কারণে। যার নাম নিউরোফিবরোম্যাটেসিস

সাধারণ মেছতা মানুষের বাহ্যিক সৌন্দর্যকে নষ্ট করে বটে। তবে শরীরের অভ্যন্তরে কোনো ক্ষতি করে না। কিন্তু কিছু মেছতা আছে যেগুলোকে স্কিন ক্যান্সার হিসেবে আখ্যায়িত করা যায়। যেমন লেনটিগো ম্যালিগনা, মেলানোসা ও ব্যাসাল সেল কারসিনোমা। তবে আর্লি স্টেজে এগুলো ধরা পড়ালে নিরাময় করা সম্ভব। রোদে বের হলেই সবার মেছতা হবে এমন কোনো কথা নেই। এখানে বংশগত প্রবণতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। গবেষণায় দেখা গেছে জেনেটিক টেন্ডেন্সি ও সূর্যরশ্মির কম্বিনেশনে মেছতা তৈরি হয়। কিছু কিছু মানুষের দেহে সূর্যের আলট্রা ভায়োলেট রশ্মি পড়ার সাথে সাথে উল্লেখযোগ্য হারে পিগমেন্ট সেল বা মেলানিন বেড়ে যায়, শুধু তাই নয় ত্বকের বাইরের স্তর হয়ে যায় আগের চেয়ে পুরু। যাদের গায়ের রঙ কালো তাদের সেভাবে মেছতা দেখা যায় না। কারণ কালো বর্ণের ত্বকে সূর্যরশ্মি বা আলট্রা ভায়োলেট রে সেভাবে প্রভাব ফেলতে পারে না।

কী করবেন?
-বাইরে বের হওয়ার আগে পর্যাপ্ত পরিমাণ সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। এক্ষেত্রে এসপিএফের মাত্রা যেন ৩০ হয়।
-বাইরে বের হওয়ার সময় স্কার্ফ, ওড়না বা আঁচল মাথায় জড়িয়ে নিন। সম্ভব হলে চওড়া ঘেরের টুপি পরুন।
-ঘাড়-পিঠ ঢাকা, ফুলহাতা জামা পরুন।
ব্লিচিং ফেসিয়াল শতভাগ এড়িয়ে চলুন। এমন ফেসিয়াল ট্রিটমেন্ট নিন যার মাধ্যমে ভিটামিন ‘এ’ অ্যাসিড, ঢাজোরাক ও ডিফেরিন জাতীয় উপাদানগুলো প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া যায়।
সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যবর্তী সময়ে রোদের মধ্যে কম বের হতে চেষ্টা করুন।
জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল গ্রহণ এবং হরমোন থেরাপি বন্ধ করতে হবে।
-বাইরে বের হলে সবসময় ছায়ায় থাকুন। সম্ভব হলে সবসময় ছাতা ব্যবহার করুন।
-রোদ থেকে বাঁচার জন্য সানস্ক্রিন ব্যবহারের অভ্যাস গড়ে তুলুন।
-প্রচুর পরিমাণে পানি, ফলমূল ও শাকসবজি খাবেন, সেইসঙ্গে ত্বক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখবেন। চা, কফি, অ্যালকোহল জাতীয় খাবার খাবেন না। এসব খাবার খেলে মেছতা বেড়ে যায়।

মেছতা দূর করতে কিছু প্রাকিতিক উপটানঃ
১/ সপ্তাহে দুই দিন চালের গুঁড়া ও ডিম একসঙ্গে পেস্ট করে ত্বকে লাগিয়ে ২মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এতে মেছতা দূর হবে ও একইসঙ্গে ত্বক নরম ও কোমল হবে।
২/ টকদই মেছতা দূরীকরণে খুবই কার্যকরী। সপ্তাহে তিনদিন ত্বকে টক দই লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। টক দই মেছতা দূর করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে দেবে বহুগুণ।
৩/ ভিনেগার ও সমপরিমাণ পানি মিশিয়ে ত্বকে লাগালে মেছতা দূর হয়, সেইসঙ্গে ত্বক উজ্জ্বল ও মসৃন হয়।
৪/লেবুর রসে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে। যা সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বককে রক্ষা করে। নিয়মিত লেবুর রস সামান্য পানির সঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে ১০ থেকে ১৫ মিনিট লাগিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৫/মেছতার উপর আঙ্গুলের সাহায্যে ধিরে ধিরে ঘৃতকুমারীর পাতার রস সারা রাত লাগিয়ে রেখে সকালে পরিস্কার ঠাণ্ডা পানি দিয়ে পরিস্কার করে নিতে হবে । এভাবে কিছুদিন করলে মেছতা দূর হবে ।
৬/দারুচিনির পানি সেবনের সঙ্গে দারুচিনি চূর্ন দুধের সরের সাথে মেছতায় লাগালে মেছতা সেরে যায়।