মজাদার আইসক্রিম তৈরি করুন ঘরেই কাঠফাটা রোদে আইসক্রিম কিনতে বাইরে বের হওয়ার দরকার নেই

কাঠফাটা রোদে আইসক্রিম কিনতে বাইরে বের হওয়ার দরকার নেই। ঘরেই বানানো যাবে মজাদার আইসক্রিম। দেখুন নাসরিন আলমের দেওয়া আইসক্রিম তৈরির প্রণালি। চলুন আইসক্রিম তৈরি শুরু করি।

 


 চকলেট আইসক্রিম 
 উপকরণ:গুঁড়া দুধ ২ কাপ, পানি আড়াই কাপ, চিনি ২ টেবিল-চামচ, চকলেটের দুটি ছোট বার, ক্রিম ১ টিন, ওভালটিন ৩ টেবিল-চামচ, তরল গ্লুকোজ ১ চা-চামচ, কনডেন্সড মিল্ক আধা টিন, জেলাটিন গোলানো ২-৩ টেবিল-চামচ, সিএমসি পাউডার গোলানো ১ টেবিল-চামচ, কর্নফ্লাওয়ার ১ টেবিল-চামচ। প্রণালি: গুঁড়া দুধ, পানি, কনডেন্সড মিল্ক, চিনি, ওভালটিন ও কর্নফ্লাওয়ার একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। মিশ্রণ প্যানে ঢেলে চকলেট দিয়ে জ্বাল দিন। ঘন হয়ে উঠলে নামিয়ে তরল গ্লুকোজ মেলাতে হবে। কিছুটা ঠান্ডা হওয়ার পর সিএমসি ও জেলাটিন গোলা মেলাতে হবে। ঠান্ডা হওয়ার পর ক্রিম মিলিয়ে বিট করতে হবে। মিশ্রণটি ডিপ ফ্রিজে ২ ঘণ্টা রেখে জমাতে হবে। দুই ঘণ্টা পর পর বের করে বিট করতে হবে চার-পাঁচবার। শেষের বার মেরাং বানিয়ে একসঙ্গে মিলিয়ে জমাতে হবে। ২টি ডিমের সাদা অংশ ও গুঁড়া চিনি ২ টেবিল-চামচ একসঙ্গে বিট করে মেরাং বানাতে হবে। মিলিয়ে চূড়ান্তভাবে জমাতে হবে। ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা জমার পর পরিবেশন করুন। আধা কাপ পানিতে ১ চা-চামচ জেলাটিন গুলিয়ে নিতে হবে। এই গোলা থেকে ১ টেবিল-চামচ। আধা কাপ পানিতে ১ চা-চামচ সিএমসি পাউডার গুলিয়ে নিতে হবে। এই গোলা থেকে ১ টেবিল-চামচ।

 শাহি কুলফি 
উপকরণ:গুঁড়া দুধ ২ কাপ, পানি ৩ কাপ, চিনি ২ টেবিল-চামচ, কনডেন্সড মিল্ক আধা টিন, জাফরান ১ চিমটি (১ টেবিল-চামচ গোলাপজলে ভেজাতে হবে), কর্নফ্লাওয়ার ১ টেবিল-চামচ, ডিমের কুসুম ২টি, পেস্তা, কাঠবাদাম ও কাজুবাদাম স্বাদমতো। প্রণালি: দুধ, পানি, চিনি, কনডেন্সড মিল্ক, কর্নফ্লাওয়ার ও ডিমের কুসুম সব একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। ব্লেন্ড করা মিশ্রণ প্যানে ঢেলে জ্বাল দিতে হবে। ঘন হয়ে এলে চুলা থেকে নামিয়ে নেড়ে নেড়ে ঠান্ডা করতে হবে। জাফরান গোলা ও বাদামকুচি দিয়ে নেড়ে মিলিয়ে নিতে হবে। ঠান্ডা মিশ্রণটি কুলফির ছাঁচে ঢেলে ডিপে জমাতে হবে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা।
 লেমন ললি
উপকরণ: পানি ৪ কাপ, চিনি ১ কাপ, লেবুর রস ৬ টেবিল-চামচ, লবণ আধা চা-চামচ, লেমন এসেন্স ৭-৮ ফোঁটা, সবুজ রং প্রয়োজনমতো। প্রণালি: ওপরের সব উপকরণ একসঙ্গে মিলিয়ে ছেঁকে নিতে হবে। আইসক্রিমের ছাঁচে ঢেলে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা ডিপ ফ্রিজে জমিয়ে পরিবেশন করুন।
 ম্যাংগো আইসক্রিম
 উপকরণ: গুঁড়া দুধ ২ কাপ, পানি আড়াই কাপ, কর্নফ্লাওয়ার ১ টেবিল-চামচ, চিনি পৌনে ১ কাপ, ক্রিম ১ টিন, জেলাটিন গোলানো ১ টেবিল-চামচ, সিএমসি পাউডার গোলানো ১ টেবিল-চামচ, তরল গ্লুকোজ ১ চা-চামচ। ম্যাংগো পিউরি ১ কাপ, ২টি ডিমের সাদা অংশ, ২ টেবিল-চামচ চিনি। প্রণালি: গুঁড়া দুধ, পানি, কর্নফ্লাওয়ার ও চিনি একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। মিশ্রণ প্যানে ঢেলে জ্বাল দিয়ে ঘন করে নিতে হবে। গরম অবস্থায় তরল গ্লুকোজ মেলাতে হবে। ঠান্ডা হয়ে এলে জেলাটিন ও সিএমসি মেলাতে হবে। ক্রিম ও ম্যাংগো পিউরি দিয়ে বিট করে ডিপে জমাতে হবে তিন ঘণ্টা। এরপর আবারও বিট করে জমাতে হবে। দুই ঘণ্টা পর পর বের করে ৩-৪ বার বিট করতে হবে। শেষের বার ডিমের সাদা অংশ ও চিনি দিয়ে বিট করে মেরাং দিয়ে বিট করে জমাতে হবে। ইচ্ছামতো সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

সূত্র: বাংলা রেসিপি
বাংলা রেসিপি
বাংলা রেসিপি

নবাবি বিরিয়ানি যেভাবে রান্না


goodlinkbd.blogspot


নবাবি বিরিয়ানি

 উপকরণ: খাসির মাংস ২ কেজি, এলাচ ৬টি, লবঙ্গ ৫-৬টি, আনারসের রস ২ টেবিল চামচ, রসুনের রস ১ টেবিল চামচ, তেজপাতা ৪টি, পেঁয়াজের রস ২ টেবিল চামচ, দারচিনি ৬ টুকরা, জাফরান আধা চা-চামচ, টক দই ১ কাপ, লবণ পরিমাণ মতো, সরিষার তেল আধা কাপ, সাদা গোলমরিচ গুঁড়া ২ চা-চামচ, চিনি ১ টেবিল চামচ, জয়ত্রি গুঁড়া আধা চা-চামচ।

 প্রণালি: মাংস বড় টুকরা করে কেটে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে। ওপরের সব উপকরণ দিয়ে মাখিয়ে ৫-৬ ঘণ্টা রাখতে হবে।

উপকরণ: পোলাওয়ের চাল ১ কেজি, পেঁয়াজ বেরেস্তা আধা কাপ, মাঝারি আকারের আলু ১০-১২টি, জাফরান ১ চা-চামচ, পেস্তাবাদাম কুচি ৪ টেবিল চামচ, কাজু ১ কাপ, কাঁচামরিচ ১৫-১৬টি, ঘন দুধ ১ কাপ, মিষ্টি আতর ৫-৬ ফোঁটা, ঘি ১ কাপ, মালাই আধা কাপ, দারচিনি ৬ টুকরা, আলুবোখরা ১০-১২টি, এলাচ ৪টি, কিশমিশ ২ টেবিল চামচ, লবঙ্গ ৬টি, কেওড়া ২ টেবিল চামচ।

 প্রণালি: চাল ধুয়ে পানি ঝরিয়ে পরিমাণমতো লবণ ও ২ টেবিল চামচ লেবুর রস মাখিয়ে রাখতে হবে। আলু ছিলে সামান্য লবণ মাখিয়ে রাখতে হবে। কেওড়ার পানিতে জাফরান ভিজিয়ে ২০-২৫ মিনিট রাখতে হবে। বিরিয়ানির হাঁড়িতে প্রথমে মাখানো মাংস রাখতে হবে। তারপর আলু দিতে হবে। কাজু ও আলুবোখরা দিতে হবে। কাঁচামরিচ, চাল, গরম মসলা দিতে হবে। কিশমিশ, পেস্তাবাদাম কুচি দিতে হবে। দুধ, মালাই দিতে হবে। ৬ কাপ পানি দিতে হবে। ঘি, জাফরান মিশ্রিত কেওড়ার পানি, মিষ্টি আতর কিছু বেরেস্তা দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে চতুর্দিকে ময়দা মথে আটকিয়ে দিতে হবে। ৫ মিনিট বেশি জ্বালে, ১০ মিনিট মাঝারি জ্বালে, ১৫-২০ মিনিট অল্প জ্বালে রাখতে হবে। ১০-১৫ মিনিট দমে রেখে নামাতে হবে। নবাবি বিরিয়ানি সার্ভিং ডিশে ঢেলে কিছু পেস্তা কুচি ও বেরেস্তা দিয়ে সালাদ ও বোরহানির সঙ্গে পরিবেশন করা যায়।

 সিতারা ফিরদৌস সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, আগস্ট ২৪, ২০১০ -

গরুর মাংসের কোরমা রান্না


 গরুর মাংসের কোরমা 

উপকরণ: গরুর মাংস দেড় কেজি, পেঁয়াজ কুচি ২ কাপ, তেল আধা কাপ, পেঁয়াজবাটা পৌনে ১ কাপ, আদাবাটা ১ টেবিল চামচ, রসুনবাটা আধা টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো, আস্ত ছোট পেঁয়াজ ২০-২৫টি, গোলাপজল ২ টেবিল চামচ, টক দই আধা কাপ, মিষ্টি দই ২ টেবিল চামচ, এলাচ ৬টি, দারচিনি ৮ টুকরা, ঘি আধা কাপ।

প্রণালি: পেঁয়াজের খোসা ছিলে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রেখে দিতে হবে। মাংস মাঝারি আকারের টুকরা করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে আদা, রসুন, লবণ দিয়ে মাখিয়ে তিন-চার ঘণ্টা রাখতে হবে। তেল গরম করে পেঁয়াজ বেরেস্তা করে মাংস দিয়ে অল্প জ্বালে কষাতে হবে। বেরেস্তা মাংসের সঙ্গে মিশে গেলে পেঁয়াজবাটা দিয়ে অল্প জ্বালে রান্না করতে হবে। মাঝেমধ্যে নেড়ে দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে মাংস যেন তলায় না লাগে। ২০-২৫ মিনিট পর টক দই ও মিষ্টি দই দিতে হবে। দারচিনি, এলাচ, গোলাপজল দিয়ে ভুনতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে অল্প অল্প করে গরম পানি দিয়ে ভুনতে হবে মাংস সেদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত। মাংস সেদ্ধ হলে গোটা পেঁয়াজ দিয়ে ২০-২৫ মিনিট রেখে নামাতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে মাংস, পেঁয়াজ দুটোই সেদ্ধ হবে অথচ গোটা গোটা থাকবে।

 সিতারা ফিরদৌস সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, আগস্ট ২৪, ২০১০